দুধমাখা ভাত



দুধমাখা ভাত

শঙ্কর দেবনাথ














দুধমাখা ভাত
শঙ্কর দেবনাথ কতৃক রচিত একটি বাংলা ছড়ার সংকলন




Dhudhmakha Bhat
A collection of Bengali Rhymes by Sankar Debnath
Rs. 50/-

গ্রন্থস্বত্ব: কৃষ্ণা দেবনাথ
প্রথম প্রকাশ: অনলাইন//অক্টোবর,২০১৫ 
( এটি পূর্বে ২০১৪-এর মে মাসে 'কালদর্পণ' থেকে মুদ্রিত আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। কবির অনুমতিতে 'অচেনা যাত্রী'তে ই-বই আকারে পুনরায় প্রকাশিত হয়েছে)  
প্রকাশকঃ ‘অচেনা যাত্রী’র পক্ষে সুমনা বৈরাগী বিশ্বাস, ‘অখিল-স্মৃতি’ গ্রন্থাগার, নিত্যানন্দ মনোরমা ভবন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সরণি, সুভাষনগর, বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পিনকোড-৭৪৩২৩৫
ইমেলঃ achenayatri@gmail.com
ওয়েবসাইট: www.achenayatri.blogspot.in
মুঠোফোন: +৯১  ৮১৫৯০৯৩৭১০
প্রচ্ছদ: 
বর্ণস্থাপন: শঙ্কর দেবনাথ 

মূল্যঃ পঞ্চাশ টাকা 








উৎসর্গ


কঙ্ক ও রিম্পা-কে

যেন     তোদের জীবন হয়
ছড়ার     মতন ছন্দময়।












মন করে মাত ‘দুধমাখা ভাত’

প্রিয় শঙ্কর দেবনাথ ভাই লেখেন ছড়া খাসা,
সহজ কথা সহজে বলেন, সহজ ভাবনা ভাষা।
মাত্রা মিলের যাত্রা দারুণ, ছন্দ মেটায় আশা,
রঙ্গ-ব্যাঙ্গ তরঙ্গে মন ছড়ায় বাঁধে বাসা।
  
                 বিচিত্র সব বিষয়বস্তু, দারুণ মজায় ভরা,
                 চিত্রকল্প অল্পসল্প মধুর ছন্দে গড়া।
                 শব্দচয়ন, ছন্দবয়ন, নিখুঁত নড়াচড়া,
                 ফুল্‌কি ফুলের, উল্‌কি হুলের, দুল্‌কি মিঠেকড়া।

মন করে মাত ‘দুধমাখা ভাত’ বইটি মনোহর,
ছন্দে-গন্ধে জাল বুনেছেন দক্ষ কারিগর।
মনের কোণে স্বপ্ন বোনে, ছন্দে আঁকা ছবি,
নন্দিত প্রাণ, ছন্দিত ঘ্রাণ, বন্দিত তাই কবি।

                 দেবনাথের এই ‘দুধমাখা ভাত’ সত্যি সফল ভারি,
                 সৃষ্টি সুখের বৃষ্টি বুকের মিষ্টি মজাদারই।
                 চাইছি এ বই ছড়িয়ে পড়ুক সবার ঘরে ঘরে,
                 হৃদয় দুলুক, তুফান তুলুক প্রত্যেকের অন্তরে।

                                       ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
                              মাকড়দহ
                                                  কদমতলা, হাওড়া













বাঘের ফোন

বাঘ মামাজি বললো ফোনে-
ভাগ্নে হরিণ শোনো,
তোমার সাথে এখন থেকে
নেইকো বিবাদ কোনো
এক ঘাটে জল খাবো এসো
ভাগ্নে এবং মামায়,
নদীর চরে ঘুরবো এসো,
ভয় পেয়ো না আমায়

হরিণ বলে- মামা তোমার
বুদ্ধিটা কী খাসা!
সন্ধি করার ফন্দি এঁটেই
চাও মিটাতে আশা?
কিন্তু আমি নেই তো বনে,
সেই তো কবে থেকেই,
নাচ করছি বলিউডে
স্নো-পাউডার মেখেই
এক ঘাটে জল খাই কেমনে,
যাই কেমনে চরে!

রাগ করে বাঘ ফোনটা রাখে,
মনটা খারাপ করে

দুধমাখা ভাত

ডাকছে খোকন মা মা করে
একলা ঘরে বসে,
পড়ছে চোখের জলের ধারা
কষ্ট হয়ে খসে

কোনখানে মা, কার বাড়িতে,
কোথায় গেলে বলো,
মায়ের শোকে খোকার চোখে
দুঃখ ছলোছলো

খেলনাগুলো ফ্যালনা সবই,
আসল মায়ের হাসি,
বেহাগ বাজে, করলে সোহাগ 
সঙ্গী কাজের মাসি

অফিস পাড়ায় ঘর বেঁধেছে
বাবার সাথেও মা যে,
মা হারা ঘর থর সাহারা,
ছোট্ট বুকের মাঝে

হাঁটি পা পা সোনার ছেলের
পায়ের তলার মাটি,
সোনায় সোনায় ভরিয়ে দিতেই
হারিয়ে গেছে মা-টি

ডেকে ডেকেও খোকন সোনা
পায় না খুঁজে মাকে,
এত্তো সাধের দুধমাখা ভাত
যায় যে খেয়ে কাক-এ!


সেই গাছ  এই আজ

প্রাণ দেয়,
ঘ্রাণ দেয়
দেয় ছায়াবুক,
জল দেয়,
বল দেয়,  
দেয় মায়ামুখ

শিস দেয়,
বিষ নেয়,   
বিষহরা হয়,
জ্বরা নেয়,
খরা নেয়,  
দেয় বরাভয়

ধরে রাখে,
ভরে রাখে
মাটি আর মা-টি,
বাসা দেয়,
আশা দেয়,
বন্ধু সে খাঁটি

সেই গাছ,
এই আজ
মানুষেরা কাটে,
মুখ বুজে,
সুখ খুঁজে-
মরুপথে হাঁটে



বন্ধু হবে? এসো!

তোমার বাড়ি আকাশ পাড়ি -
স্বর্গের রঙ মাখা,
আমার বাড়ির নষ্ট দু'চাল
কষ্ট দিয়ে ঢাকা

তোমার পথে আলোর ঝালর,
ফুলের হাসাহাসি,
আমার পথে অমার প্রেতে
জমায় নাচানাচি

তোমার বুকে সুখের নদী
ছলাৎ ছলাৎ করে,
আমার বুকে ধুকপুকিয়ে
ছোট্ট নদী মরে

তোমার চোখে স্বপ্নকাজল
ছায়ার আঁচল মেলে,
আমার চোখে সু-ধার ক্ষুধা
আগুন আগুন খেলে

তবু আমার নেই অভিমান,
কষ্ট এবং দ্বেষও,
হাত বাড়িয়েই দাঁড়িয়ে আছি,
বন্ধু হবে? এসো!



ছন্ন-ছড়া

ষষ্টিচরণ হাঁসকে দেখে
বলেই ফ্যালেন বকপাখি,
রবি বাবুর গান শুনে কন-
নিধি বাবুর টপ্পা কি?

শিয়ালদাতে পৌঁছে বলেন-
এলাম বুঝি ব্যান্ডেলে?
সাইকেলেতে চড়তে খোঁজেন
প্যাডেল গিয়ে হ্যান্ডেলে

আজকাল হয় মতিভ্রম
সব ব্যাপারে ওর না কি,
সাঁঝের বেলাও  অনেক সময়
ভুল করে কন- ভোর না কি?


ভূতগুলো সব শব মানুষের

গভীর রাতে কেঊ গেছো
কি শ্যাওড়া গাছের তলায়,
পেত্নী ভূতের গান শুনেছো
বিকট নেকো গলায়?

আমবাগানের মামদো ভূতের
পুতের নাচন- কোদন,
কেউ দেখেছো? কেঊ শুনেছো
পেঁচোপেঁচির রোদন?

অমার রাতে কেউ দেখেছো
অশথগাছের শাখায়,
কেমন করে বেহ্মদত্যি
চোখ পাকিয়ে তাকায়?

কেউ কি জানো ফেউ কী করে
সমস্ত রাত জুড়েই?
নিশির ডাকে কীসের ঘোরে
সবাই মরে ঘুেরই?

বিলের ঝিলের মাছ ধরে খায়
মেছোভূতের ছানায়,
উড়ুক্কুভূত কেমনে ওড়ে
পালকবিহীন ডানায়?

মুন্ডুকাটা কবন্ধভূত
কেমন ভয়াল বেশেই,
রাত কাঁপিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়
অট্টহাসি হেসেই?

দুই পা রেখে দু 'তাল গাছে
গেছোভূতের কাকায়,
ফুকোয় হুকো কেমন করে
এবং মাথা ঝাঁকায়?

শাকচুন্নির ডাক শুেনছো
অন্ধকারে গাবের?
ভূতের বিয়ে কেউ দেখেছো?
শ্রাদ্ধ ভূতের বাপের?

জানতে গেলে এসব তুমি
পড়বে বিষম গেরোয়,
ভূতগুলো সব শব মানুষের-
রাত বিরেতে বেরোয়

তোমাদের আর আমাদের মাঝে

আমাদের ছিল মাঠ-ঘাট-বন,
কত শত ছিল খেলা,
পড়শি সাথির সাথে মাতামাতি
দুষ্টু বিকেলবেলা

তোমাদের আছে কমপিউটার,
গৃহকোণে একা একা-
বসে বসে গেম যন্ত্রের সাথে -
বন্ধুর নেই দেখা

আমাদের ছিল ঝিঁঝিঁ সন্ধ্যায়
চাঁদনি উঠোন জুড়ে,
ঠাকুমার ঝুলি, মায়ের পাঁচালি,
রামায়ণ সুরে সুরে

তোমাদের আছে টিভি,কার্টুন,
হ্যারি পটারের মুখ-
মোবাইল আর নেটের জ্বালেতে
জড়ানো জটিল সুখ

আমাদের ছিল দিগন্ত চোখ,
বুনো কোনো পাখিডানা,
অনাদর সুখ, কল্পলোকের
ময়ূরপঙ্খী খানা

তোমাদের আছে সোনার খাঁচায়
হীরের শেকল-মালা,
সমাদর ঢাকা বন্দির বুক,
অভিসন্ধির জ্বালা

আমাদের ছিল পিঠে- ভাপাপুলি,
নলেনের গুড়- রস,
তোমাদের আছে চাউ- কাটলেট-
চিকেন- মটন- সস্

আমাদের ছিল ঝোড়ো আম,ঘাম,
ডুব-সাঁতারের নদী,
তোমাদের  আছে এসি রুম আর
শাওয়ার, ফ্রিজের দধি

আমাদের ছিল রাত্রির ঘুম
স্বপ্নলোকের চাবি,
তোমাদের ঘুম অস্থির জলে
খাচ্ছে কেবলই খাবি

তোমাদের আর আমাদের মাঝে
পড়ে আছে ফাঁকা ধু ধু-
দুই চোখ বাঁধা তোমরা এখন
কানামাছি ভো ভো শুধু



ছড়াই প্রাণের জরি

এই ছড়াটি খেই হারানো
ওই ছড়াটি খই,
দুইটি ছড়াই জড়াই  বুকে
পাতাই  রসের সই

দুষ্টু ছড়া  রুষ্টু  ছড়া
মিষ্টি তেতো-টক,
সবার সাথি হবার লোভে
চোখ করে চকচক

ছড়ার সাথে দিন ও রােত 
মজায়  খেলা করি,
ছড়ায় হাসি ছড়ায় ভাসি,
ছড়াই প্রাণের জরি



পুষ্পবৃষ্টি

একটি ফুলের মিষ্টি হাসি
দৃষ্টি ডাগর ভাষায়
হাওয়ায় হাওয়ায় সুবাস ছড়ায়,
জড়ায় ভালোবাসায়

একটি ফুলের মুখটি লাজে
টুকটুকে লাল থাকে
সুযোগ পেলেই দু'চোখ মেলেই
প্রণাম করে মাকে

একটি ফুলের হুলের খোঁচায়
হৃদয় কেবল নাচায়,
ভুলের দেশে স্বপ্ন এসে
মুচকি হেসে বাঁচায়

একটি ফুলের চোখের কোণে
বোনে হলুদ প্রীতি,
সূর্য রঙের তূর্য ধরে
সাহস জোগায় নিতি

সব ক'টি ফুল ছন্দ চটুল -
ফুলকুমারীর ছড়ায়,
সৃষ্টি সুখে মিষ্টি মুখে
পুষ্পবৃষ্টি ঝরায়



বর্ণচোরা

মহান পুরুষ তিনি
সমাজের বরণীয়,
বড় বড় ভাষণেতে
জানান কী করণীয়

অশ্রু ঝরিয়ে কন-
স্বদেশকে বাঁচা রে,
গোপনে জড়িত তিনি
হেরোইন পাচারে



ডাকাডাকি

আকাশেতে মেঘ ডাকে -
বিদ্যুৎ হাসে,
বর্যায় বান ডাকে -
জলে সব ভাসে

পশু ডাকে - পাখি ডাকে -
ডাকে আসে চিঠি,
খোকা ডাকে চাঁদে- চাঁদ
হাসে মিটিমিটি

নিলামের ডাক দিতে
হাঁকডাক করে,
পিছু ডাক শুনে কেউ
কেঊ ফেরে ঘরে

নিশিডাক শুনে রাতে
পথে হলে বের,
মন ডেকে বলে- ভয়
আছে বিপদের

খিদে পেলে পেট ডাকে -
ঘুমে নাক ডাকে,
মরণের ডাক এলে
সবই পড়ে থাকে

ডাকাডাকি দেখে শুনে
মুখে মেখে মউ,
এত ডাকি তবু কথা
কয় না তো বউ



বাঁদর

বাঁদর বলে আদর করে
বিল্লুকে মা ডেকে,
বলেন- এবার ইস্কুলে যাও,
বাঁদরামিটা রেখে

-তোমার মাথায় দেখছি আমি
একটুও নেই ঘিলু,
বাঁদররা কি ইস্কুলে যায়?
- বলেই পালায় বিলু




স্বপ্নদেখা

বাবাঃ    এই ভোলা তুই রাতের বেলায়
             টর্চের আলো জ্বেলে,
               আঁধার ঘরে গাধার মত
                 দেখিস কী চোখ মেলে?

ভোলাঃ    সবাই দেখে অন্ধকারেই
                ঘুমের মাঝে ডুবে,
                 সবকিছু হয় মিথ্যে, যখন
                   সুয্যি ওঠে পূবে
                    তাই তো আমি না ঘুমিয়েই
                   টর্চের আলো জ্বেলে,
                      পষ্ট করেই নিচ্ছি দেখে
                     স্বপ্ন  দু'চোখ মেলে


গচ্ছিত ধন

খোকন মােক প্রশ্ন করে-
বলতে পারো মাম্,
তোমার কাছে আমার আছে
কত্তো টাকা দাম?

হেসে কেঁদে বলেন মা যে-
"জানিস নে তা বোকা!
তুই যে আমার গচ্ছিত ধন,
সোনামানিক খোকা

খোকন বলে- যেখানে সেই
গচ্ছিত ধন রাখা,
কুলপি খাবো, সেখান থেকেই
দাও না দুটো টাকা



অমুক রাজার দেশে

অমুক রাজার দেশে -
মানুষগুলো ফানুস হয়ে
বেড়ায় হেসে ভেসে
 বেলুনগুলো সেলুন খুলে
কামায় দাড়ি গোঁফ,
মাছগুলো সব বাজ চিলেদের
গেলায় বঁড়শি টোপ

ফুলগুলো হুল ফুটিয়ে দিয়ে
মৌমাছিদের মারে,
বাঘের ঘাড়ে হরিণ চড়ে
বেড়ায় নদীর ধারে

নদীর জলে দধির স্রোতে
রসের মালাই ভাসে,
গাছপালা সব নাচ করে আর
খিলখিলিয়ে হাসে

শেয়ালগুলো দেয়াল তুলে
অট্টালিকা গড়ে,
ইঁদুরগুলো সিঁদুর মেখেই
গিন্নিগিরি করে

ব্যাঙগুলো সব ঠ্যাং দুলিয়ে
আকাশগাঙে নাচে,
ছোট্টখোকা থোকা থোকা
ফুল হয়ে রয় গাছে



আজব দেশের কথা

আজব দেশের জীবজন্তুর
আজব আচরণ,
শিয়াল করে শিক্ষকতা,
বিড়াল করে ফোন

কুকুর কাঁধে রাইফেল নেয়
খাকি পোশাক পোরে,
বাঘ সিংহ ট্যাঙ্কে চড়ে
বেড়ায় যুদ্ধ কোরে

ট্যাক্সি মোটর চালায় গরু,
ঘোড়ায় চালায় ট্রেন,
ইলিশমাছে জাহাজ চালায়,
ঈগল চালায় প্লেন

টিভির মাঝে ময়ূর নাচে
কোকিলে গান গায়,
কাজ না পেয়ে মানুষগুলো
নাক ডেকে ঘুম যায়



নেহাৎ তুমি আছো বলেই  (রবীন্দ্রনাথকে)

জ্বলছে আকাশ    ঝলসে মাটি  
বইছে ধুলোঝড়,
দলছে ঘাসের      সবুজ শরীর  
ডুবছে  বাড়ি ঘর

শুকিয়ে গিয়ে     কুকিয়ে মরে   
ছোট্টনদীর মন,
লুকিয়ে একা     মরছে ধুকে    
অষ্টাদশী বন

শোকের ছলে    চোখের জলে 
পুড়ছে একা রাত,
স্বর্গলোকের      মর্গে পচে     
স্বপ্নলোলুপ হাত

বেহাত সবই     যে হাত ভরে  
থাকতো শুধু ফুল,
নেহাৎ তুমি      আছো বলেই   
স্বপ্নে ভেজে কুল



বয়েস

আন্টি বলেন কানটি ধরে -
জানিস হাঁদা মেনি,
তোর বয়েসে ইন্দিরাজি
ছিলেন কত ব্রেনি?

- সবই জানি, বললো মেনি
মুখটা করে নত,
প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যখন
বয়েস তোমার মত



দশের ছড়া  রসের বড়া

এক ডাকে প্যাঁক প্যাঁক করে, দুই
বললো এসে- তুই,
প্যাঁক ছেড়ে আয়, দেখ না চেয়ে
নাচছে কেমন জুঁই

তিন নাচে ধিন তাধিন তাধিন,
চার এসে কয়- ছাড়,
নাচন ছেড়ে হাসন রাজার
গান করি একবার

পাঁচ ছিল গাছতলায় বসে,
ছয় ছিল তার পাশে,
কূজন শুনে দুজন মিলে
দৌড়ে ছুটে আসে

সাত এসে হাত লাগায় ঢোলে,
আট দিল হাততালি,
ঢোলেরর তালে ধিনতা বোলের
আওয়াজ ওঠে খালি

নয় এসে রয় দাঁড়িয়ে দূরে,
দশ হেসে কয়- বস্,
দাঁড়িয়ে কেন? বাড়িয়ে দু' পা
চলুন চাটি রস

দশজনেতে জুঁই বনেতে
বসায় গানের মেলা,
খোকন সোনার সংখ্যা গোনার
এই তো মজার খেলা



"- কার ছড়া"

ক- এর সাথে খোকন সোনা
যেই জুড়ে দেয় আ-কার,
কা কা করে ডাক দিয়ে সে
বসলো মাথায় কাকার

হ্রস্ব ই-কার বিকার চোখে
দাঁড়ায় কাকের পাশে,
ফাঁক বুঝে কাক, কাকি হয়েই
মিটমিটিয়ে হাসে

দীর্ঘ  ই-কার স্বীকার করে
কাকের কাছে গেলেই,
নীল আকাশে যায় উড়ে কাক
কাকির পোশাক ফেলেই



বাঘ-হরিণের ছবি

সোঁদরবনের বাঘ এঁকেছে
তোতনমনি খাতায়,
লোলুপ চোখে বাঘটা কেবল
এদিক-সেদিক তাকায়

বাঘের পাশে নাদুসনুদুস
হরিণ আঁকে যেই,
লাফ দিয়ে বাঘ হরিণের ঘাড়
মটকে দিলো সেই


বুড়ো-বুড়ি

খবরটা নয় উড়ো,
চিনদেশেতে আছে যে এক
পাঁচ বছরের বুড়ো
সার ও জলের অভাবে তার
বয়স বাড়েনি যে,
আটকে গেছে পাঁচের প্যাঁচে-
খরায় জ্বরায় ভিজে

তার যে আছে বুড়ি,
বুড়ি তো নয় থুড়ি থুড়ি,
সন্ধিতে থুত্থুড়ি
খাবার দাবার ভালোই পাবার
জন্য বয়সটা তার,
হাফ না ছেড়েই, লাফ মেরে তা
বাড়ছে অনিবার
হাজার বছর বয়স নিয়েই
মজায় ম'জে বুড়ি,
পাঁচ বছরের বুড়োকে দেয়
বগলে সুড়সুড়ি

খবরটা নয় উড়ো,
লিখে গেছেন ভ্রমণকথায়
মার্কো পোলোর খুড়ো



পেটুক 

লোকটা নাকি ভীষণ পেটুক 
আজগুবি তার খাওয়া,
সকালবেলায় গিলেই সে খায়
একশো কেজি হাওয়া

আটটাতে সে গাঁট্টাসহ
কানমলা খায় রোজ,
পাঁচশো ধামা ধাক্কা খেলেই
কিঞ্চিত হয় ভোজ

রোজ দুপুরে খায় সে গুনে
গালি দু'দশ ঝুড়ি,
সঙ্গে নাকি ঝোল করে খায়
দোলনা পঁচিশ  কুড়ি

কিল-লাথি-চড় গেলাস বিশেক
নিত্যি করে আহার,
তাতেই নাকি ভালোই থাকে
শরীর ও মন তাহার

রোজ বিকেলে টিফিন করে-
  তিনশো আছাড় খেয়ে,
সঙ্গে  সে খায় আচ্ছা ধোলাই
কয়েকশো কাপ চেয়ে

রাত্রে সে খায় চুমুক দিয়েই
ধমক হাজার পিস্,
বোকার মতো ধোকার সাথে
দশ বাটি খায় কিস্

শরীরে তার মেদ বেড়ে যায় -
সেই ভয়েতেই রোজ,
ডিগবাজি খায় বিহান রাতে
  চারশো কুড়ি ডোজ




পড়া

পড়িস না তুই কেন ভোলা?
স্যার বললেন রাগে,
বললে ভোলা -পড়লে যে স্যার
ভীষণ ব্যথা লাগে

হরি-ললিতের সাধু-চলিত
শঙ্কর দেবনাথ

"চলিত ভাষায় বলবে কথা,
লিখবে সাধু ভাষায়",
পাঠ দিতেছেন ব্যাকরণের
হরি মাষ্টারমশায়
চন্দ্র সাধু  চাঁদ কিবা চান
শব্দ দুটো  চলিত,
বলতো এবার কী বলেছি?
কী বুঝেছিস ললিত?

ললিত করে কাঁচুমাচু ,
সব বুঝেছি তবে,
চরণ ও পদ শব্দ দুটোর
চলিতটা কী হবে?

মাষ্টারে কন ভেংচি কেটে
সব বুঝেছব্যাঙ,
চরণ, পদের চলিত তো পা,
আরো চলিত ঠ্যাং

ব্যাকরণ না জেনে স্যার
ভুল করেছি আমি,
জেনে বুঝেও ভুল করেছেন,
আপনী খোদ আসামী
লেখার সময় গ্রামার মেনে
লিখব ললিতচরণ,
বলার সময় ললিত ঠ্যাং,
নয়কো নড়ন চড়ন
ব্যাকরণের নিয়ম জানেন,
কিন্তু  মানেন তা কি?
হরিপদ হয় হরিঠ্যাং,
সেটাও জানেন না কি?



দাদুর দাড়ি

দাদুর ছিল মস্ত দাড়ি
হস্ত দশেক লম্বা,
হতেও পারে একটু বেশি,
নয়তো কিছু কম বা

সেই দাড়িতে উঠোন-বাড়ি
দিতেন তিনি ঝাড়ু,
নিতেন তিনি ছাগল মাঠে
তাতেই বেঁধে দারুণ

হঠাৎ উড়ে বসলো জুড়ে
মৌমাছিদের ঝাঁক,
দাদুর দাড়ির সারির মাঝে
বানালো মৌচাক

সেদিন থেকেই বেদিন দাদুর,
মধুর গন্ধ শোঁকেন,
নড়ন- চড়ন বন্ধকরণ,
দেখতে আসে লোকে

লোকের ভীড়ে শোকের মাঝেও
চোখের কোণে হাসেন,
মৌমাছিরা সত্যি তাকে
বড্ড ভালোবাসে

জানতো না কেউ দাদুর খবর,
মানতো না কেঊ তাকে,
রাতারাতিই আনলো খ্যাতি
মৌমাছিদের চাকে



গাছের ছবি

গাছ লাগাও আর সবুজ জাগাও,
  ভাগাও মরু খরা,
শ্লোগান শুনে রবির মনে
ইচ্ছেরা দেয় ধরা

গাছ লাগানোর নেই জমি ওর-
তাই সারাদিন রবি,
ঘরের দেয়াল ভরেই লাগায়
হাজার গাছের ছবি




পদ্ম হয়ে হাসে

ঘাসের বুকে শিশির হাসে -
কাশের বুকে ঢেউ,
নীল আকাশের ক্যানভাসে ওই
স্বপ্ন আঁকে কেউ

আলতাপরা আলতো পায়ে
কাদের ঘরের বউ,
শিউলি কুড়ায়, গন্ধ উড়ায়,
ছড়ায় সুখের মউ

সোনার আলোর ঝিলিক-ঝালর
হাজার তারার দেশে,
কার ইশারায় চাঁদ দিশা'রা-
আঁধার তাড়ায় হেসে

কোন দরদের গরদ পরে
শরৎরানি আসে,
মন- সাহারার গদ্যগুলো
পদ্ম হয়ে হাসে



চোর-দারোগার কথকতা

চোর বলে- দারোগা,
আগে ছিলে যা রোগা,
হঠাৎ কেমন করে
ভুড়ি হলো শরীরে,
এই ভেবে আমি শুধু
আফশোসে মরি রে
সাধু সেজে কেমনে যে
এত বড়ো মারো ঘা,
মার খেয়ে মরি আমি,
রটে ক্লেম বারো গাঁ

দারোগা বলেন- চোর,
স্বভাবটা বাজে তোর,
নীতিকথা, ধর্ম ও
লঘু-গুরু মানিস নে,
না বলে পরের মাল
নেয়া পাপ, জানিস নে
আমাকে সবাই দেয়,
না নিলেও করে জোর,
তোর ভয়ে খিল মেরে
রাখে লোক ঘর-দোর
আমাকে বন্ধু ভেবে
কাছে ডাকে দশজন,
তুই ব্যাটা মহাপাপী,
আমি সাধু সজ্জন




দাদু-দিদুন

টাক ডুমা ডুম টাক
দাদুর মাথায় টাক
টাকের উপর চক দিয়ে রোজ
দিদুন কষেন আঁক
টাক ডুমা ডুম টাক
দিদুন ডাকেন নাক
নাকের উপর বাজান দাদু
তাক ধিনা ধিন তাক



ছড়াছড়ি

ছড়া খায় গড়াগড়ি
শিশুদের মুখে,
ছড়ি শুধু খোঁচা মারে
ধাড়িদের বুকে

কাতুকুতু দিয়ে ছড়া
হাসি দেয় ছেড়ে,
ছড়ি দেয় মিথ্যের
ভিতটাকে নেড়ে

ছড়া আর ছড়ি মিলে
কড়াকড়ি চালে,
শিশু গড়ে, ডিস্যু মারে
বুড়োদের গালে



তবু

আমার  বুকের মাঝে আছে
           ছোট্ট সে এক পাখি,
             ছটফটিয়ে  মরে
যদি   হৃদয় বলে ডাকি

আমার  চোখের ভেতর আছে
             মিষ্টি সে এক নদী,
              মুক্তো হয়ে ঝরে
তাকে   অশ্রু বলি যদি

আমার   মনের কোণে আছে
             দুষ্টু সে একজন,
              লক্ষ্মী বলি তাকে
তবু     জ্বালায় সারাক্ষণ




মোবাইল

মোবাইল জপমালা আজ ঘরে বাইরে,
টেপাটিপি ছাড়া কারো কোনো কাজ নাইরে

হাটে মাঠে পথে ঘাটে গ্রামে আর গঞ্জে,
মোবাইল প্রেমে মজে সকলের মন যে

কচি সোনামনি থেকে ধাড়ি খুকু খোকারা,
কানা খোঁড়া ছুড়ি ছোড়া চৌকশ ও বোকারা-

মোবাইল জ্বরে আজ সকলেই ভোগে যে,
দিন রাত ঘোরে কাটে ঘুম নেই চোখে যে

ট্রেনে বাসে দুরে কাছে এখানে ও ওখানে,
হ্যালো হ্যালো চারদিক বুকে হাতে ও কানে

জপমালা ফেলে রেখে হাজি সাধু সন্ত,
মোবাইলে মজা জপে দিল খুশবন্ত

যন্ত্রের মন্ত্রের ঘোরে সব ঘুরছে,
রণে বনে জলে থলে হ্যালো যেন উড়ছে

জয় জয় মোবাইল জয় হ্যালো হ্যালো,
ব্যাচারাম বেচো আর খ্যালারাম খেলো



সাপ-বেজি

সাপ বললো- বেজি!
তুই নাকি খুব তেজী?
আনতে পারিস মাথায় ব্যাঙের
মাংস দু'দশ কেজি?

বেজি বললো- সাপ!
তুই কি আমার বাপ?
যা খুশী তাই বলবি আর
করবো তোকে মাফ?





দশের ছড়া - রসের বড়া

ওয়ান নাকি জোয়ান ভারি
জোর নাকি খুব গায়ে,
টু বলে- থু, ফেলবো তোকে
ল্যাং মেরে দুই পায়ে

থিরি বলে- আই এ্যাম শ্রী
বীর বাহাদুর সিং,
ফোর বলে- তোর নেই গায়ে জোর
মিথ্যে সাজিস কিং

ফাইভ বলে জিভ ভেংচে -
বক বকানি রাখ,
সিক্স বলে- রিস্ক নিস না যেন
চুপটি করেই থাক

সেভেন বলে- দেবেন নাকি
টেক্কা আমার সাথে?
এইট বলে- দে ইট আমি
দেখাই ভেঙে মাথে

নাইন বলে- আইন কড়া 
লাইন দিয়ে দাঁড়ান,
টেন বলে- দেন খাতা ও পেন
কয় রানে কে হারান-

লড়াইটাকে রাখছি লিখে
থাকছি দু'চোখ মেলে,
ছোট্ট সোনা সংখ্যা গোনা
শিখছে হেসে খেলে



বিপদ

নিচ্ছেন ব্যাকরণ
শিক্ষক বি,বি,কে,
বললেন- হাত তোল,
উত্তর দিবি কে?

বল দেখি কেনা তুই
বিদ্যুৎ কী পদ?
কেনা বলে- জানি স্যার,
নিশ্চয় বিপদ



মধুরেণ

Talk  মোটে টক নয়
মধুরেণ সুর তো,
বুঝে নিও লোক তারা
সোজা নয়, ধূর্তi

রুঢ়কথা
শঙ্কর দেবনাথ

ব্যাঙ্গমা নেই, ব্যাঙ্গমী নেই,
শুক-সারিরাও নেই,
আছে শুধুই ব্যঙ্গ মাগো,
অসুখ সারি এই

রূপকথা নেই, রূপহারা সব
রুঢ়কথায় ভরা,
ফুলপরী নেই, ফুলটাইমই
পরীক্ষা আর পড়া

পক্ষ আছে লক্ষ্যে যাবার
কোথায় পক্ষীরাজ?
গান হারিয়ে "গান"-এর ভয়ে
কাঁপছে পক্ষীরা আজ



ছড়ারা ছড়িয়ে থাকে

ছড়ারা ছড়িয়ে থাকে
সকালের আলোর ছটায়,
ঘাসেদের নরম বুকে
শিশিরের ফোটায় ফোটায়

ছড়ারা ছড়িয়ে থাকে
ফুলেদের হাসির মায়ায়,
দখিনা হাওয়ায় মিশে
গাছেদের ছায়ায় ছায়ায়

ছড়ারা ছড়িয়ে থাকে
পাখিদের পাখায় গানে,
কুলুকুল নদীর জলে
জোছনার রঙের  বানে

ছড়ারা ছড়িয়ে থাকে
শিশুদের আধেক ভাষায়,
দুষ্টু মিষ্টি সুখে
জননীর স্বপ্ন- আশায়




টোপ

ঝোপ বুঝে ঠিক কোপটা মারো
টোপটা ফেলো খুঁজে,
লাভ বুঝে বাপ পাপ- পুণ্যের
মাপটাকে নাও বুঝে

নিয়ম রীতির ভয় ভীতি আর
প্রেম প্রীতি সব ঝুট,
মোদ্দা কথা যোদ্ধা সাজো
বোদ্ধা হয়েই কুট

টোপটা ফেলে চোখটা মেলে
কোপটা মারো ঘাড়ে,
নাকের ডগায় ঢাকের কাঠি
আখের সুখের পাড়ে

জল লাগে না বল লাগে না
ভাবছো পাগল কী রে,
যথায় তথায় কথার খেলায়
দাও ভিজিয়ে চিড়ে



সাহসী

ভয় বলে কিছু নেই
জেনে রাখো সত্যিকে,
ভীতুরাই ভয় পায়
ভূত প্রেত দত্যিকে

বেচারাম ভীতু নয়
সাহসী সে খুব যে,
এই ভেবে পড়শিরা
থাকে সব চুপ যে

একদিন মাঝরাতে
বেচারাম চেঁচিয়ে -
বাঁচাও বাঁচাও - বলে,
মাগো মরে গেছি রে

পড়শিরা ছুটে আসে
জানতে কী ঠিক ঠিকই,
এসে শোনে, গায়ে তার
পড়েছিল টিকটিকি


গাধার পাধা

রাত দুপুরে বিকট সুরে
সাধছে গলা গাধা,
ব্যাম ব্যা করে সপ্ত স্বরে
সা রে গা মা পা ধা

খেয়াল ভুলে শেয়াল বলে -
ও ভাই গায়ক দাদা,
তোমার সুরের ধরণ দেখে
পাচ্ছে ভীষণ কাঁদা

বললো গাধা- আমার গানে
দিচ্ছ কেন বাঁধা,
কন্ঠ সাধা ছাড়া কি কেউ
নামজাদা হয়, হাঁদা?

শেয়াল বলে- যে হাল আমি
দেখছি তোমার দাদা,
হবেই তুমি ভবিষ্যতে
গায়ক হা-নামজাদা



বন্দি শিশুর মনটি

সাগর ডাকে ডাগর চোখে
জল থৈ থৈ ভাষায়,
স্বপ্নডিঙায় ভাসিয়ে নিতে
হাসিয়ে অথৈ আশায়

আকাশ ডাকে মেঘের ফাঁকে
নীলের ঝিলে আয়,
তারায় তারায় আয় না হারাই
আলোর অসীমায়

বাতাস ডাকে হাত বাড়িয়ে
নাড়িয়ে তরুলতা,
চল না ঘুরি অচীনপুরী
যেইখানে রূপকথা

ফুল ডাকে রঙ দুল দুলিয়ে
ভুলিয়ে মধুর ঘ্রাণে,
আয় না হাসি ফুলপরিদের
সঙ্গে রঙিন প্রাণে

পাহাড় তাহার দেখিয়ে বাহার
ইঙ্গিতে কয় রোজ,
কল্পলোকের গল্প মনের
মধ্যিখানে খোঁজ

বনের পাখি মনের সুখে
মুক্ত ডানায় ভেসে,
মুক্তি সুখের স্বপ্ন বুকে
দেয় এঁকে রোজ এসে

রুটিন বাঁধা হাসা কাঁদা
ছুটিহীন এই মন,
ভাল্লাগে না পাল্লা দেওয়ার
জ্বাল্লা সারাক্ষণ

মায়ের শাসন বাবার ত্রাসন
পড়ার কড়া ভাষণ,
মানুষ হওয়ার ফানুস হয়েই
ফাটছে শিশুর মন

ছিপ নিয়েছে কোলা ব্যাঙে
মাছ নিয়েছে চিলে,
বন্দি শিশুর মনটি এখন
খায় অজগর গিলে



মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
শুভেচ্ছা শঙ্কর দেবনাথকে। অচেনা যাত্রীর প্রয়াসকেও সাধুবাদ জানাই।
শংকর দেবনাথ বলেছেন…
বইটির অনলাইন সংস্করণ করার জন্য অমিত কুমার বিশ্বাস কে ধন্যবাদ।