বাবার চশমা...

                  



             সু বী র  স র কা র



বাবার চশমা
              সোনার ফ্রেম 









BABAR CHASMA, SONAR FRAME
AN  E-BOOK OF BENGALI POETRY 
BY SUBIR SARKAR







প্রথম প্রকাশ: আগস্ট ২২,২০১৪  (অনলাইন) 
প্রকাশক:  দ্বৈপায়ন-এর পক্ষে শ্রীমতী সুমনা বৈরাগীবিশ্বাস, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু  সরণি,  সুভাষনগর, বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ , ভারত, পিনকোড:৭৪৩২৩৫  
                    
গ্রন্থস্বত্ব: পম্পা রায় সরকার
প্রচ্ছদ: গুগল ইমেজেস 
মূল্য: বিনামূল্যে পড়ুন। 
                    









                                     উৎসর্গ
  
                        তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়
                  অনার্য আনোয়ার
                            

                     দুই বাংলার দুই প্রিয় তরুণ স্বজন আমার 
                     খুঁটিতে হেলান দিয়ে যারা ভাবছেন 
                                          বাড়িটাড়ির কথা








সম্পর্ক
নাম ও সম্পর্ক ভিজিয়ে
শহরময় কা কা
কথায় সুর ছিল
খুঁটিতে হেলান দিয়ে 
বাড়িটাড়ির কথা






ইতিহাস
ইতিহাসেরও ইতিহাস থাকে
মিছিলকে শোকার্ত হতে দাও
শব্দে সাজাতে পারলে ভালো হত
ঘাড়টা হেলাতে গিয়ে
হাঁটুর ওপর থুতনি
হাঁটুর ওপর হাত।




খসড়া
এই এত এত ধানখেতের ভিতর 
কোথাও কি তুমি আছো!হাসিমুখে 
কথা বলো।নির্জনতা তাড়াও!
মুখাগ্নির জন্য পাটকাঠি
খসড়া চূড়ান্ত হতে দেরি
টুপি ক্রমে
উঁচু ও বিস্তারিত




মিথ
বিরতিহীন দিবস
নির্জন হতে গেলেই 
                রক্তচক্ষু
দর্শকআসন থেকে দেখি
বমিটি হলুদ
হিসেব রাখছি সবকিছুর
এবং আপনি ঘোড়ার 
                    পিঠে





ডাইরি
নদীর পাড়ে নেমে যাওয়াটা তো 
                             অভ্যেস
অন্তত একটা দাঁড়াবার জায়গা
শ্যাওলার খাঁজ
শক্ত ও পুরোন
কচুকন্দের ঝাড়
শিকড় বেরিয়ে 
               থাকে
না গল্প
এত যে খোলা হাওয়া
মিথের দ্বারস্থ হই
সীমাহীন ভুল
গল্প ও না গল্পের মধ্যে আমি 
                        চুপচাপ




গান
খাদ্য নেই। পানীয় আছে।
সারা মুখ ঘামে ভেজা
টুপিটা সামলে নিয়ে
আস্তে আস্তে তর্জনী
নির্ঘাত ঢোলে কাঠি
গান ও ঘাসবন




ম্যাজিক
এমনই বাড়ি।
বাবুইয়ের বাসার মতো নড়বড়ে
কুঁজো হয়ে ঢুকতে
                 হয়
গর্তে ভরা রাস্তায় ম্যাজিক
                       ভ্যান
মরা মাছের চোখ।
গুছিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছে
                      হয়
কোলাহলমুখর পৃথিবী
ডানার কাঁপন
রক্তে শর্করা 
রক্তে হিমোগ্লবিন
              কম
নিছকই গল্পগাছা
গান ও নাচ ঢুকিয়ে দাও
আলোবাতাসের গন্ধ
রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘ
অবসর ভেঙে ফিরে
                আসে





হাঁস
শীতের পাখি অথবা বুনো হাঁস
হুকুম মেনে লাফানো শব্দরা
টি-পট। কান্নার সূত্র।
যদির পরিবর্তে সংশয়
                   বসছে



করাতকল
করাত চালিয়ে তছনছ করাতকল
সহজেই রাজি হয়ে যাই
হো হো হাসি স্তব্ধতা ভাঙলেই
আয়ু ও শখ মুখ
           ঘুরিয়ে




কাহিনি
বাবার চশমা, সোনার ফ্রেম
যৌবনে টেনিস খেলতেন
বাধ্য হয়েই সাইকেল চালাবে
                       শিম্পাঞ্জী
পরিহাসের প্রতিশব্দ ঠাট্টা
কাহিনিটি শুনি আর তাকিয়ে
                        থাকি




লণ্ঠন
দূরত্ব ও হুইসল নিয়ে বাজি ধরতেই 
                                  পারো
হতাশা প্রকট।
ঘাসের মাদুর।লণ্ঠন।
আপাতত জমিয়ে 
                বসছি





দেশ
বরং পায়রা কিনে উড়িয়ে দেব
ভ্রমণের কথায় শান্ত 
                  পৃথিবী
ভুলে যেতে সময় লাগে না
হিংসা প্রিয় হয়ে 
              ওঠে
দেশ বলতে দেশকাল
দেশ বলতে টিকটিকি







প্রতিবেদন

অন্ধ ও সতর্ক।
ডেকে যাও কুকুরের 
                  ডাক
নৌকোডুবির গল্প
হাতের ওপর থুতনি

ঘুম জমে যাচ্ছে
ঘাম জমে যাচ্ছে
দুয়ারে পালকি
তিনি সম্পর্ক 
          ভাঙছেন





বাজনা
বিকেলে বিবাহবাজনা
গানের সাথে জুড়ে যাওয়া 
                        রাত্রি
কোনদিন দেখা হবে না জানি
নিঝুম রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে 
                     হয়
সর্বত্র ছড়ানো মানুষ
হাওয়ার শিহরণ।




দুপুর
আপাদমস্তক এক গমখেতের ভিতর যখন
দুপুর ঘুমায়,দুকুল ছাপিয়ে হাওয়া এলে
সমস্ত চিরকূট উড়িয়ে জমিয়ে তুলতে থাকো 
নিঃসঙ্গতা।অধুনান্তিক কুলজঙ্গলগুলিই তো
গোপন আস্তানা যা কিনা হাসি ও হাহাকারের
দিকেই ঝুঁকে পড়ে।পরবর্তীপর্বে অবধারিত 
আস্তাবলগুলি।ফুটনোটে বসে পড়ে পেঁচারা
দুপুরের ভাঙা ঘুমে আমরা রাস্তা 
                               হারাই

ডাইরি
ছোট ছোট শব্দে কথা বল
তোমাকে ভাল লাগার এটা একটা 
                               কারণ
নখ ক্রমে দর্পণ হয়ে ওঠে
পথের পিছনে 
            প্রান্তর।





আখ্যান
রচিত আখ্যানের অংশ হতে গিয়ে হোঁচট
খাই। আনতে পারো দূরের খবর! লোকালয় 
পেরোলে মাছের বাজার। হাড়িয়া ম্যাঘের 
ছায়ায় হাঁটি। কান্না চেপে রাখি। কোথাও
কাঠিঢোল। লিপি ও মুদ্রা। বাহির 
খোলানের পাখি
              পর্যটনে










আপনার ভালোলাগা-মন্দলাগা জানান কবিকে। 
 subirsarkar25@gmail.com
 কথা ৯৫৯৩৮৩৫৪৯৩ 

মন্তব্যসমূহ

নামহীন বলেছেন…
খুব ভালো লাগলো।
Unknown বলেছেন…
সুবীরদা, আহা কী পড়িলাম...
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
এক টানা পড়ে নিলাম টুকরো টুকরো কথা... খণ্ড খণ্ড চিত্র ... আর পূর্ণাঙ্গ বোধ ... শুভেচ্ছা কবি সুবীর'দাকে
tapan bagchi বলেছেন…
সুবীরের কবিতার বাক্যগুলো দূরান্বয়ী। আমার বুঝতে কষ্ট হয়। হয়তো আগামী প্রজন্মের পাঠােকর কাছে সহজবোধ্য হবে। আমি সেকেলে পাঠক বলে বুঝতে অক্ষম। আমাকে আারো যোগ্য হতে হবে।
নাজনীন খলিল বলেছেন…
"দূরত্ব ও হুইসল নিয়ে বাজি ধরতেই
পারো "



বাহ্‌! এইসব ছোট ছোট কথাগুলোই যে খুব ব্যাপক---খুব স্পর্শ করে যায়।

অনেক বেশি ভালোলাগা।
Chaitali বলেছেন…
শক্তিশালী কবিতা। আরও আরও পাঠ করতে চাই। আরও লিখুন।
দ্বিপেন রায় বলেছেন…
দাদা খুব ভালো লাগলো। কবিতাগুলো মন ছুয়ে গেলো