![]() |
ছবি:গুগল ইমেজেস |
মুক্তগদ্য
বিপরীত
সায়ন্ন্যা দাশদত্ত
একহাতে কালো আর একহাতে ভোর নিয়ে আমি বাসরাস্তায় দাঁড়াই। ঘুমন্ত শিশুটি আর এলোমেলো ছেঁড়া
কাগজের ভেতর আমার ধুলোভর্তি পা-জোড়া অসীম
শূন্যে ভাসে। আমার কাঁধে
ঝোলা। আমার
ঝোলাভর্তি শব্দ, কষ্ট, কবিতা। ফেরি করব ভেবে প্রথম বাসটি মিস্ করে
দিই। ঝাঁকুনি
দিয়ে বাসটি মোড়ের মুখে হটাৎ ফুরিয়ে
যায়। আশেপাশের
বাতাসবাতাস ভোরে তখনও অল্পবিস্তর কুয়াশা লেগে থাকে। গুমটি দোকানে ঝাঁপ ওঠে। জলছড়া, ঝাঁটপাটের
পর ধূপ জ্বালিয়ে কাদের যেন ওরা গোপন
নামে ডাকে।
বাঁ-পাশের দীঘিতে দশ-বিশটা শাপলা মাথা দোলায়। ওদের গায়ে রোদ! এরকম একটি ঐশ্বরিক মুহূর্তে আমার মা-কে মনে পড়ে যায়। মা... মায়ের কুঞ্চিত চোখ, নীরব সিঁথি, ফুলে-ওঠা-শিরা, নোয়া আর ব্রোঞ্জের চুড়ি... খানিকবাদে ময়লাটে আঁচল আর খুব চেনা আমিষ গন্ধে আমি... আমি যেন কেমন একটা ধুলোবালি হয়ে যাই মনেমনে। আমার ঝোলাভর্তি কষ্ট এবং কবিতারা ক্রন্দন করে ওঠে।
আরো কিছুটা হেঁটে চলার পর বুড়োবাবার মাজার। সমস্তরাত সেখানে মোমবাতি জ্বলে; এখনও টুকটাক অবশেষ পড়ে। বিবর্ণ পতাকাটির ডাকনাম আতর। আমি নতজানু; ভেতর এবং বাইরে। আশেপাশে সুগন্ধ। আমি কবিতা নামিয়ে খানিক বসি। বাতাসের বেগ বাড়ে। শেষবার উড়ে যেতে যেতে অচেনা চাকাগুলির ভিড়ে কেবল কিছু দাগ রেখে যাই হেসে।
বাঁ-পাশের দীঘিতে দশ-বিশটা শাপলা মাথা দোলায়। ওদের গায়ে রোদ! এরকম একটি ঐশ্বরিক মুহূর্তে আমার মা-কে মনে পড়ে যায়। মা... মায়ের কুঞ্চিত চোখ, নীরব সিঁথি, ফুলে-ওঠা-শিরা, নোয়া আর ব্রোঞ্জের চুড়ি... খানিকবাদে ময়লাটে আঁচল আর খুব চেনা আমিষ গন্ধে আমি... আমি যেন কেমন একটা ধুলোবালি হয়ে যাই মনেমনে। আমার ঝোলাভর্তি কষ্ট এবং কবিতারা ক্রন্দন করে ওঠে।
আরো কিছুটা হেঁটে চলার পর বুড়োবাবার মাজার। সমস্তরাত সেখানে মোমবাতি জ্বলে; এখনও টুকটাক অবশেষ পড়ে। বিবর্ণ পতাকাটির ডাকনাম আতর। আমি নতজানু; ভেতর এবং বাইরে। আশেপাশে সুগন্ধ। আমি কবিতা নামিয়ে খানিক বসি। বাতাসের বেগ বাড়ে। শেষবার উড়ে যেতে যেতে অচেনা চাকাগুলির ভিড়ে কেবল কিছু দাগ রেখে যাই হেসে।
মন্তব্যসমূহ