![]() |
গুগল ইমেজেস |
জিপসির ডায়রি থেকে ১
শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
-ভাই। কী আঁকছো ওটা?
-দুঃখ আঁকছি।
-ধুর। দুঃখ আবার আঁকা যায়! কবিত্ব করছেন?
-না সত্যিই ।এই দেখুন।
এই চোখগুলো চেনেন? সমুদ্রে ভেসে ভেসে এসেছিল একদিন।
পড়ে ছিল তটে। আপনি জানেন না?
-ওহ। সেই বস্তাপচা আয়লান। বুঝলাম। আর ওই আধন্যাংটো মেয়েটা? ধর্ষিতা। তাই তো? এই ব্যাপারগুলো আপনারা এতো ক্লিশে করে
ফেলছেন যে আজকাল আর তেমন দুঃখটুঃখ হয় না।
-তা বেশ তো। করবেন না দুঃখ। আপনাকে দুঃখ
পেতেই হবে একথা কে বলল?
-তার কী উপায় রেখেছেন? ভোর ভোর
মর্নিংওয়াকে বেরিয়ে দেখি রাস্তাময় এইসব এঁকে রেখেছেন।
কাজ নেই আপনাদের? যুবসমাজটা পচে
গেল। কোথায় চাকরিবাকরির পরীক্ষা
দেবেন, তা না...
-চাকরি নেই যে...
-শুনুন। খিস্তি আমিও জানি। সকাল সকাল
বেকারত্ব মারাবেন না। আচ্ছা।
ওইটা কে?
-ওটা তুলিকা। আমিই নাম দিয়েছি। আসল নাম জানি
না। ওদেশ থেকে কয়েকঘন্টার জন্য
এসেছিল আমার শহরে। ব্যাস।
পাচার হয়ে গেল। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন তুলিকার মতো কুমারী কিশোরী মেয়েদের অনেক দাম...।
আর ওই যে দেখুন। ওর নাম রফিক। আলু চাষ করে।
অনেক ধারদেনা। সহ্য করতে পারল না। বিষতেল খেয়ে ফেলল...
-বুঝলাম। তা এত দুঃখ এইসব রাস্তায় এঁকে রেখে কী লাভ? চাকার দাগে
বেলা গড়াতেই তো মুছে যাবে। বরং গ্যালারিতে যান। এক্সিবিশন করুন।
-সেটাই তো চাই।
-কী চান?
-মুছে দিতে।
-কী?
-দুঃখ।
( অপ্রকাশিত গল্প)
প্রিয় পাঠক, আপনার মতামত জানান, ব্লগে, এমনকি সরাসরি শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী-কে, ফেসবুকে বা মেলে। আইরিন সুলতানার ফেসবুক ঠিকানা https://www.facebook.com/suddhendu.chakraborty
ই-মেল dr.suddhendu.chakraborty@gmail.com
![]() |
গুগল ইমেজেস |
মন্তব্যসমূহ