![]() |
ছবি:গুগল ইমেজেস |
জিপসির ডায়রি থেকে ২
শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
অপাংশু খুব ভালো ছেলে। রোজ ভোরে ওঠে। তারপর দাঁতমাজা, চান করা। তার পর ঘড়ি ধরে ওলা বুক করে। কলেজ মোড় নামে ঠিক সকাল সোয়া ন’টা। অফিসে সবাইকে গুড মর্নিং-গুড আফটারনুন বলে। বস তার সেক্রেটারি শেফালীকে বন্ধ ঘরে করবার সময়ে বাইরে
থেকে দরজা গার্ড দেয়। অন্য সময়ে
শেয়ারবাজারে কোম্পানির আমানত আগলে রাখে হীরকরাজার দেশের বাঘের মতো। হ্যাঁ। অপাংশু আদর্শবান। সে বিয়ে করেনি। তার কাছে যৌনতা ট্যাবু। তা বলে সে নিরেট---এ-কথা ভাবলে চলবে না। অফিসে সদ্য জয়েন করা পম্পার তার প্রতি হাবভাব সে বেশ
বুঝতে পারে। কিন্তু আমল
দেয় না তেমন, এড়িয়ে যায়। মাথা নিচু
করে থাকে।
সাড়ে পাঁচটা বাজলে তবেই সে অফিস থেকে বেরোয়। বেরিয়ে সোজা বাড়ি। ফিরেই এককাপ লেবু চা চিনি ছাড়া, এক চিমটে বিটনুন। তারপর প্রাণায়াম। পঁচিশ মিনিট। সাড়ে আটটায় সেদ্ধ সবজি আর স্যুপ। অপাংশু সাত্ত্বিক। সে আমিষ ছোঁবে না। রাতে বিছানায় শুতে যাবার সময়ে শুধু কৃষ্ণনাম করে সে।
শুধু
শেষরাতে অপাংশু নামক ছেলেটি উঠে
বসে। ল্যাপটপ খোলে। উদোম হয়ে বসে। তারপর চ্যাট করে বলিভিয়ার ভার্জিনিয়ার সঙ্গে। মৈথুন চলে। চলতেই থাকে। ভার্জিনিয়াকে কখনো তার বেশ্যা মনে হয়, কখনো-বা প্রেমিকা, কখনো-বা বোন
আর কখনো মা। তারপর সে
ঘুমিয়ে পড়ে আবার অপাংশু হয়ে উঠবে বলে।
( অপ্রকাশিত গল্প)
প্রিয় পাঠক, আপনার মতামত জানান, ব্লগে, এমনকি সরাসরি শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী-কে, ফেসবুকে বা মেলে। আইরিন সুলতানার ফেসবুক ঠিকানা https://www.facebook.com/suddhendu.chakraborty
ই-মেল dr.suddhendu.chakraborty@gmail.com
মন্তব্যসমূহ