দশে দশ
কবি মলয় গোস্বামী তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দশটি প্রশ্নের মুখোমুখি
“কবি মলয় গোস্বামী বাংলা কবিতার
সম্পদ। গত শতকের শেষ-সত্তরে আবির্ভূত এই কবি আটের দশকের মাঝামাঝি পাঠক ও
সমালোচকদের কাছে ছিলেন বিশেষ প্রিয়। বিশিষ্ট সমস্ত পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখেছেন
তখন। তাঁর রচিত অনেক কাব্যপঙ্ক্তিই কাব্যপ্রেমীর মুখে মুখে ফিরত। পরবর্তীতে কী এক
অভিমানে কবি নিজেকে লুকিয়ে ফেলেন, হয়ে ওঠেন প্রকাশবিমুখ। যদিও বহুমুখী প্রতিভার
অধিকারী মলয় গোস্বামী আজও কবিতা-গল্প-উপন্যাস রচনার পাশাপাশি সংগীতচর্চা ,
চিত্রাঙ্কন, নাট্যচর্চায় অক্লান্ত। বনগাঁয় বাস করার সূত্রে এই প্রতিভাধর মানুষটির
সঙ্গ পাই, এ আমার পরম সৌভাগ্য। আবার এত শক্তিমান কবিকে বাংলা কবিতার জগতে উপেক্ষিত
থাকতে দেখে কষ্টও পাই খুব।”
-বিভাস রায়চৌধুরী
(হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে
তব বিবিধ রতন ।। ভূমিকা ।। শ্রেষ্ঠ কবিতা ৫০)
১। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রায়
চল্লিশ বছর কবিতাচর্চা করছেন। কবিতার ভাষা ও আঙ্গিকের কত-না বদল হল এর মধ্যে।
এ-প্রসঙ্গে নিজেকে কোথায় রাখবেন আজ?
মলয় গোস্বামী: দেখবে মোটামুটি দশ
বছর পরপর কবিতার ভাষা পালটে যাচ্ছে। আঙ্গিক কিন্তু এত দ্রুত পালটাচ্ছে না। আমার
কবিতাতেও তাই দেখছি। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তন করলে কবিতার
সৌন্দর্য ব্যহত হয়। সময়ই এই পালটাবার কাণ্ডারী। আমি এর মধ্যে নিজেকে কোথায় রাখব,
এই ভেবে কখনও মাথা খারাপ করিনি। তবে মনে হয়েছে, এবং আমার কবিতাকে লক্ষ্য করে
দেখেছি আমি অধিকাংশ কবিতাতেই একটা ছবি প্রবেশ করিয়ে দিই। চল্লিশ বছর আগেই আমি একথা
বুঝতে পেরেছিলাম, ছবির ভাষা সর্বজনীন এবং অপরিবর্তনীয়। ধরা যাক – দা ভিঞ্চির
‘মোনালিসা’ আজও একই ভাষায় উপভোক্তাদের সামনে আসীন। অতএব ভাষা ও আঙ্গিক পালটালেও
কবিতার মধ্যে উৎকীর্ণ ছবিটি কিন্তু জীবিত থাকবে। কতটা থাকবে কতটা পেরেছি বা পারিনি
তা অন্য ব্যাপার।
২। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: আপনার কাব্যগ্রন্থগুলির নামকরণ এত মায়াময়, অথচ
তাদের শীর্ণকায়, বিলুপ্ত দশা। এ কি একরকম আত্মহননের প্রবপণতা নয়?
মলয় গোস্বামী: আমি তো এরকমই। যারা আমায় কাছ থেকে ভালোবেসে দেখেছে,
অবাস্তব অসংসারী বলে মৃদু স্নেহমাখানো ভর্ৎসনা করেছে, তাঁরা জানে আমি একেবারেই
অগোছালো। অনেকে বলে আমার নাকি প্রতিভা আছে। আমি হেসে অবিশ্বাস করেছি। কারণ আমার
সংসার তো তা বলে না! যাই হোক, যদি প্রতিভা থেকে থাকে তাহলে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা
অনুযায়ী বলতে চাই—প্রতিভার গৃহিনীপনা আমার নেই। মাঝে মাঝে ভাবি, এ জীবন ফুঃ!...
তবে এই ষাটোত্তীর্ণ বয়সে ওইসব শীর্ণ
বিলুপ্তদশা কাব্যগ্রন্থগুলি দেখে চোখে জল আসে! মনে হয় আমার সন্তানকে ঠিকমতন খেতে
দিতে পারিনি বলেই ওঁরা বিলুপ্ত দশায় চলে গেল! তবু তোমরা বললে, এই-ই ভালো।
৩। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: আধুনিকতা আর চিরায়ত—কবিতার এই দুই বিভ্রান্তিকর
দ্বন্দের কি কোনও প্রয়োজন আছে?
মলয় গোস্বামী: তোমরাই তো বললে
বিভ্রান্তিকর। আমি এইসব শুনে গোপনে খুকখুক করে হাসি। আরে, সার্থক-শিল্প তো সবই
চিরায়ত হয়ে যাবে! আধুনিকতা তো একটা বিন্দু-সময়, মুসুরি ডালের একটি দানার মতন।
ক্ষণিক পরেই সে অনাধুনিক বা চিরায়ত দিকগামী। এ নিয়ে এত মাথা খারাপ করার কি আছে?
শেষে ঐরকম হয়ে যাবে-‘তোমার পূজার ছলে ভুলেই থাকি...।
৪। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: দশক বিভাজনের যে ‘Golden Conspiracy’, তাঁকে
কীভাবে দেখেন?
মলয় গোস্বামী: আমিই বছর কুড়ি আগে
কলকাতায় একটি কবিতার সভায় বলেছিলাম, ‘কবিতায় ডেকাইজম ইজ আ গোল্ডেন কন্সপিরেসি’।
অনেকে বললেন, কবিতার আলোচনা, কবিতার সংগ্রহ এসমস্ত করার ক্ষেত্রে এই দশক বিভাজন
বেশ প্রয়োজন।
তখন
‘বিভাজন’ শব্দটা আমার মাথায় বেশ জোরে ধাক্কা মেরেছিল। ওঁরা বলে কী! ধরা যাক একটা
সংগ্রহ বের হল সত্তরের। কুড়িজন কবির কবিতা স্থান পেল। এটা কি ঠিক হল? রবীন্দ্রনাথ
কোন দশকের? কবিতা তার পরম্পরার পথ ধরেই আসে। বুনন ঘরানার সুদীর্ঘ ইতিহাস এই কলাকে
এগিয়ে নিয়ে যায়। বিভাজন মানেই সেই সূত্র ছিন্ন করে। যাক গে... সোনালি ষড়যন্ত্রের
কথা থাক। থাক গে যাক।
৫। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: কবির
ব্যাক্তিগত ও সামাজিক বিশ্বাস তার লেখায় কতটা প্রভাব ফেলে?
মলয় গোস্বামী: আমূল প্রভাব ফেলে।
সামাজিক বিশ্বাস আর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ওপরেই মানুষ তার অনন্য বৈশিষ্ট্য খুঁজে
পায়। কবি কি তার থেকে আলাদা হতে পারেন?
৬। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: কবিতার
দায় কী- এ সময়ে শিল্পের আদৌ কোনও দায় আছে কি?
মলয় গোস্বামী: এ খুব জটিল ও দুরূহ
প্রশ্ন। এক এক সময় এক এক রকম উত্তর এগিয়ে আসে। এই জন্যেই কবিতা আজও বেঁচে আছে
রহস্য হয়ে। রবীন্দ্রনাথ বলছেন, অন্যের মনে সৌন্দর্যের উদ্রেক করা ছাড়া কবিতার কোনও
উদ্দেশ্য নেই...
আমার এই সময় মনে হচ্ছে সমাজ পালটানোর দায় কবিতার
নেই। আবার মনে হচ্ছে- তাহলে কবিতায় কেন বারবার সমাজের ক্লেদাক্ত ছবি উঠে আসে? কেন
কবি কবিতার মধ্যে মাজায় হাত দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান? শিল্প দায় আদায়ের প্রশ্ন হয়তো মাঝে
মধ্যে তুলতে পারে, তবে সমাধানের দায় তার নয়।
৭। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: সম্প্রতি
‘ছোঁয়া’ থেকে প্রকাশিত হল আপনার ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা ৫০’। কবিতার শ্রেষ্ঠত্ব কী? তার
মাপকাঠিই বা কী?
মলয় গোস্বামী: কবিতার শ্রেষ্ঠত্ব
হয় না। এই রকম নামকরণ তো একরকমের প্যাকেজ। যে বা যাঁরা সম্পাদনা করছেন, তাঁর মতে
এগুলো তাঁর ভাললাগা ভালো কবিতা। শ্রেষ্ঠ মানে এক্ষেত্রে, ভালো। পাঠক তাঁর নিবিড় ও মগ্ন পাঠসময়ে এক একটি কবিতাকে
কখনও শ্রেষ্ঠ বলে ভাবতে পারেন। কবি তা জানতে পারেন না।
৮। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: আপনি
কবিতা লেখার পাশাপাশি গল্পউপন্যাস ছাড়াও ছবি ও গানের চর্চা করেন। এইউ বহুবিধ
শিল্পসৃজন আপনাকে কীভাবে সাহায্য করে?
মলয় গোস্বামী: এই সমস্ত শিল্পই
আমার কবিতার বন্ধু। নাটকও আমার চর্চার আর একটি দিক। এ-ও সাহায্য করে কবিতাকে।
বিমূর্ত, পরাবাস্তব অঙ্কন কলা ছোটো বয়স থেকেই আমাকে টানে। তাই আমার যৎকিঞ্চিৎ ছবি
চর্চাও এই রূপ নেয়। লক্ষ্য করে দেখি কবিতাও যেন অ্যাবসার্ডিজম সুররিয়ালিজম-কে
সঙ্গে নিতে চায়। ৭১-এ মনে হয় আমার হাতে বাদল সরকারের ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ নাটকটি আসে।
৭২-এ মঞ্চস্ত করা হবে। এর আগে যে-সমস্ত নাটক আমি করেছি, সেই সমস্ত নাটকের সমস্ত
ভাবনা ও আঙ্গিককে চুরমার করে ঢুকে পড়ছে ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’। তখন কবিতা লিখছি সামান্য।
আর তা সবই প্রায় রিয়ালিস্টিক। ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ নাটকের মরম-ছবি আমার কবিতার আঙ্গিক
ও বিষয়ভাবনাকেই যেন ছারখার করে দিল। দেখতে পাই– আমার কবিতায় মাঝেমাঝেই সংলাপ এসে
কেমন যেন করে ওঠে। আমি বাধা দিয়েও তাদেরকে ঠেকাতে পারি না। সঙ্গে রয়েছে আমার ছোট্ট
বেলা থেকে টেনে নেওয়া সংগীতচর্চা এবং বাদ্যযন্ত্রচর্চা। এবং কবিতাতেও ঢুকে পরছে সংগীতের
নানা ব্যাঞ্জনা এবং ছন্দ। মিলিয়ে মিশিয়ে যেন ঘনঘোর। নাটক ও বাদ্যযন্ত্রের শৃঙ্খলা
ও সংযম এসে কবিতাকে সাহায্য করতে আরম্ভ করে। এই শৃঙ্খলা ও সংযম থাকলে কবিতার
রূপলোক বহুগুন শক্তি ধারণ করে। এবং আমরা তো এটা জেনেছি যে সমস্ত কলাকেই শেষ
পর্যন্ত সংগীতের দিকে চলে যেতে হবে। বিষয়টিকে বুঝতে হবে। বলতে চাই—বাণী, বিষয় সব
ছাড়িয়ে সংগীত একেবারে শেষে এক সৌন্দর্যময় অনুভবে গিয়ে পৌঁছায়। কবিতাকেও এইদিকে
যেতে হবে। তাই লিখে ফেলি, “তবে বলো দেখা হলো পাতালযামিনী”। কবিতাকে যে আমি চেষ্টা
করি এক সাঙ্গীতিক অনুভবের দিকে নিয়ে যেতে, যেখানে বিষয়বক্তব্য প্রয়োজনহীন হয়ে
যাবে। পেরেছি কী পারিনি, তা অন্য ব্যাপার। হয়তো পারিনি। কিন্তু এই কবিতা-ভাবনা এসেছে
আমার সংগীতচর্চার কারণেই, আসলে দেখো, সংগীতে
কিন্তু বুদ্ধি ও জ্ঞানের ব্যাপারটি নেই। শুধু অনুভূতি, অনুভব। মনে হয়েছে আমার, এই বিষয়টিই কবিতার পরম উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এখন মনে হয় কবিতা বিষয় ছেড়ে
দিয়ে সম্পূর্ণ মূর্ছনার দিকে চলে যাক...। এই সমস্ত ভাবনাই এসেছে আবার সঙ্গীতচর্চার
জন্যে। আর আমি যে নানারকম ছন্দে লিখে থাকি, এই ব্যাপারটিকে সাহায্য করেছে আমার
বাদ্যযন্ত্রচর্চা। কখনও কখনও আমি আমার
একটি কবিতাকে পরে গল্পের রূপ দিয়েছি। কখনও কখনও আমার উপন্যাসের বীজকে ধরতে চেয়েছি
একটি ছোটো কবিতায়। সমস্ত কলা একাকার হয়ে আমার কবিতায় প্রবেশ করেছে। আর কবিতাও
তাদেরকে নিজের করে নিয়েছে।
৯। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: একজন
কবিতামগ্ন মানুষ হিসেবে আপনার শত্রু কারা ও কেন?
মলয় গোস্বামী: এ তো সাংঘাতিক
প্রশ্ন! আমার শত্রু আছে নাকি? আমি তো নিকেজে অজাতশত্রু বলেই জানতাম! যদি শত্রু
থেকেই থাকে তাহলে এই লেখার জন্যেই। সে সব ভেবে এই বয়সে আর কী লাভ! এমনিতেই তো কবিতাই
আমার শত্রু। আমার সংসার বলে। আত্মীয়রা বলেন। সংসার বলে, “তুমি কবিতা লিখে কী পেলে?
কী দিলে ছাইভস্ম ছাড়া?” আমি তখন বিমূঢ় হয়ে
যাই। সত্যিই তো দিতে পারিনি স্ত্রীকে, সংসারকে, সন্তানকে! তেমন করে তো প্রকাশ্যে
ভালোবাসতেই পারিনি! মনেমনে তো খুব ভালোবাসি। কিন্তু ভালোবাসার প্রকাশ তো কিছু
জাগতিক মাধ্যমেই করতে হবে। তখন বুঝি কবিতাই আমার শত্রু। তবু যখন কেউ ঘরে থাকে না,
তখন আমার হাজার হাজার কবিতার গায়ে হাত বুলোই। বলি খুব নিচু স্বরে, “তোরা আমার
শত্রু, কিন্তু তোদেরকে ফেলে দিতে পারি না, পুড়িয়ে দিতে পারি না কেন বলতে পারিস?”
এ ছাড়া আর কে শত্রু! কী আর এমন লিখেছি যে শত্রুরা ঘিরে
থাকবে! তবু কারা যেন আমার লেখা বারবার আটকে দেয়, কারা যেন প্রকাশনী সংস্থায় বলে
আসে, ওঁর বই ছেপো না। প্রকাশকের চেয়ে নেওয়া পাণ্ডুলিপি ন-বছর পরে ফেরৎ নিয়ে আসি। কারা যেন
আন্দোলন করে হাউজের মধ্যে গিয়ে বলে, ও ব্যাটা ছদ্মনামে পত্রিকায় লিখে পয়সা
কামাচ্ছে। ওঁকে ভাতে মারো। কালো তালিকাভূক্ত করো। যাক গে এসব। ভাবলে মন খারাপ হয়।
তবে কত তরুণেরা আমায় ভালোবাসে, শুধুতো আমার এই ফ্যাঁদড়া জীবনে গুটিকয় কবিতা লেখার
জন্যেই। এই-ই বা কম কিসে?
১০। তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়: একজন কবিতাপ্রয়াসী তরুণের প্রতি আপনার বার্তা
কী? প্রত্যাশাই বা কী?
মলয় গোস্বামী: হাঃ হাঃ। বার্তা?...
আমি বার্তা পেলাম, কঠিন অংক এক কষতে দিলাম!... বার্তা দেওয়ার মূর্খামির মধ্যে আমি
নেই।
তবে কবিতা প্রয়াসী তরুণেরা যদি
কিছু না মনে করেন তাহলে দু-একটা কথা আমি বলতে পারি। নিজের মতন লেখাই ভাল। অশিক্ষিত
পটুত্বের দিন নেই। ছন্দ জেনেই তবে তা পরিত্যাগ করা উচিত।
“ বাক্যং রসাত্মকং কাব্যং”-
বলেছেন আমাদের দেশের ত্রয়োদশ শতাব্দীর বিশ্বনাথ। বুঝতে হবে বাক্যটি রসপূর্ণতা পেলে তবেই তা কাব্য হবে। রসই আসল।
কবিতা লিখতে হলে সংগীতশিল্পী হওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে সংগীত সম্পর্কে বেশ গভীর
ধারনা থাকা প্রয়োজন। বাক্যের ধ্বনিকেই ধরার প্রয়াস রেখে যেতে হবে। মস্তিষ্কের
যন্ত্রপাতি দিয়ে কবিতা লেখার চেয়ে হৃদয়ের আলোয় অনুভবকে ধরা বেশি প্রয়োজন। এই যে বলছি—এও
কিন্তু বার্তা নয়।
কবিতা প্রয়াসী তরুণদের কাছে আমার প্রতাশ্যা
আপনাদের কবিতা পড়ে যেন কিছু সময়ের জন্যও নতুন আলোর সন্ধান আমি পাই। আমি বিশ্বাস
করি আমাদের তরুণ কবিরাই কবিতার অন্য এক পৃথিবীর সন্ধান দেবেন, যা আজও আমরা পাইনি।
তবে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ করব, আপনারা যেন কবিতার কাছে আপনাদের একাকিত্বকে
গভীরভাবে নিবেদন করেন। এর মূল্য সুগভীর।
মন্তব্যসমূহ