সম্পাদকীয়




একটা উড়িয়া কিংবা ভোজপুরি গান জেবিএল থেকে গাঁক গাঁক করে বেরিয়ে আসছিল, আর তাকে ঘিরে কিছু উঠতি যুবক জামা খুলে খালি গায়ে হাত–পা ছুঁড়ছিল     অবিরাম। পাশে ফ্লেক্স, তাতে লেখা ‘অমর একুশে’! জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ভাই কী  চলছে?’ আমার কথা শোনার মতো সেখানে কেউ ছিল না। তবু একজন বলল, ‘বস, জিও এক্কুশ, লেট্‌স ডান্স!’
-তা বলে আজকের দিনে? এভাবে?
-ক্যানো আংকল, কালীপুজোয় কি সারাদিন শ্যামাসংগীত বাজে নাকি?
 ব্যাস, ঝরে গেল!
ওদিকে ঝরে গেল অভিজিৎ রায়। অথচ এভাবে ঝরার কথা ছিল না। আর যারা এই সব ঝাড়াইমাড়াইয়ের গুরুদায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন তারাতো আহ্লাদে আটষট্টি খানা!  আশ্চর্য! এর মধ্যেই আমরা বেঁচে আছি। না বেঁচে ‘ক্ষ্যাপা তুই যাবি কোথায়?’ নল আছে, স্যালাইন-সুঁচ আছে – এসব রাষ্ট্রীয় আড়ম্বর ঢুকিয়ে তোকে বাঁচিয়ে রাখব  আমরাই, আর আমরাই তোকে চিমটি কাটব অনন্তকাল।
তবু সত্যের ভূত পাগলকে আরও পাগল করে! নিজের লেজ নিজেই কামড়াতে থাকে। নিজের শরীরও। নিজের রক্ত নিজেই চেটেপুটে খায় পৈশাচিক উল্লাসে!  



মন্তব্যসমূহ