অশোকে কিংশুকে... ।। পুস্তিকা ।। ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২১ ও ১৪২২-এর ।।

ছবি সৌজন্যেঃ গুগল ইমেজেস্‌ 


বসন্তের  শব্দের মতোই হোক আমাদের এই সাক্ষাৎকার  

প্রিয় বন্ধু,
বসন্তের পাখিদের ঠোঁটে এখন 'শিমুলভাষা' রং লেগেছে মনে কিংবা বাতাসের  শরীরে। এবার বন্ধুর কাছে আরো বেশি বন্ধু হবার পালা। হোক না দেখা একটু আদরের রং মেখে। আজ এই রং ওড়ানোর ফাঁকেই  চলবে  'ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা -১৪২১' প্রদান অনুষ্ঠান । সঙ্গে থাকছে কবিতাপাঠ ও লোকসংগীত। এবার  পুরস্কার পাচ্ছেন  তীর্থঙ্কর মৈত্র, মধুমঙ্গল বিশ্বাস, সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ, সঞ্জয় ঋষি  ও সৈকত ঘোষ । আজ কবিতাসহ আপনার উপস্থিতিতে শিমুল-পলাশ মেখে ‘চাকার দেশে’ বসন্ত  সেজে আছি বহুক্ষণ জানি, হাত বাড়াবেন!     
                                                                      শূদ্রক উপাধ্যায়
                                                            প্রধান সম্পাদক, ইতিকথা এখন                                                                                       চাঁদপাড়া,উত্তর ২৪ পরগনা
                                                                   ISSN: 2394-1456

সময়ঃ রবিবার ।। পয়লা মার্চ , ২০১৫।।  বিকেল চারটে
স্থানঃ কবি বিনয় মজুমদার-এর বাসভবন ।। শিমুলপুর ।। ঠাকুরনগর ।। উত্তর ২৪ পরগনা
                          
ছবি সৌজন্যেঃ গুগল ইমেজেস্‌ 





স্মরণ ।। অভিজিৎ রায় 
অভিজিৎ রায় (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ - ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, লেখক ও ব্লগার। তিনি বাংলাদেশের মুক্ত চিন্তার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী কিন্তু তিনি তাঁর স্ব-প্রতিষ্ঠিত সাইট মুক্তমনায় লেখালেখির জন্য পরিচিত। ২৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৫ একুশে বইমেলা থেকে বেরোনোর সময় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে আহত করে।
    স্ত্রী রফিদা আহমেদ বন্যা ও কন্যা তৃষা-এর সঙ্গে অভিজিৎ ।  ছবি সৌজন্যেঃ অভিজিৎ রায়ের ফেসবুক । 


অভিজিৎ রায়ের পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. অজয় রায়।  অভিজিৎ পড়াশুনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট), পি.এইচ.ডি. করেছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে (এন.ইউ.এস.) বসবাস করতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরে। 
২০০১ সালের দিকে সমমনা কয়েকজন লেখকদের নিয়ে তৈরি করেন ‘মুক্তমনা’ সাইট। ২০০৭ সালে  মুক্তবুদ্ধি, বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার আর মানবাধিকার ও সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্যক অবদান রাখার প্রেক্ষিতে তাঁর মুক্তমনা সাইট অর্জন করেছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি পদক তবে ধর্মের অসারতা, মৌলবাদিতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে তিনি যথেষ্ট সমালোচিত। একারণে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
ইন্টারনেটে, ম্যাগাজিনে আর দৈনিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন তিনি। লেখার বিষয় ছিলো আধুনিক বিজ্ঞান, নাস্তিকতা, সমকামিতা এবং দর্শন। তার প্রকাশিত বইগুলো হল-


১) অভিজিতের কলম ২) অভিজিতের মস্তিষ্ক  ৩) বন্যার বুড়ো আঙুল  ৪) অভিজিতের চশমা।  ছবি সোউজন্যেঃ অরুনাভ রহমান অঞ্জন, অভিজিতের বন্ধু। 
·         আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ (২০০৫)
·         মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে (২০০৭)
·         স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি (২০০৮)
·         সমকামিতা: বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান (২০১০)
·         অবিশ্বাসের দর্শন (২০১১)
·         বিশ্বাস ও বিজ্ঞান (২০১২)
·         ভালবাসা কারে কয় (২০১২)
·         শূন্য থেকে মহাবিশ্ব (২০১৪)


অভিজিতের মৃত্যুতে বিনয় মজুমদারের বাড়ি নীরবতা পালন। ছবিঃ সম্পাদক 


২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত্রি ৮:৩০-এ  বইমেলা থেকে ফেরার পথে  ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের  মসজিদের উলটো দিকের  সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন সড়কে  সন্ত্রাসীদের হামলার  শিকার হন। তাঁর মাথা ও গলায় কোপ মারা হয়। স্ত্রী বন্যা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। তারপর অস্ত্রগুলি ফেলে রেখেই দুষ্কৃতীরা উধাও হয়ে যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান অভিজিৎ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চাপাতির ঘায়ে তাঁর মাথা ঘাড় থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের তোড়জোড় করতে করতেই সব শেষ হয়ে যায়। মরণোত্তর দেহ দান অঙ্গীকারবদ্ধ থাকায় অভিজিৎ-এর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অভিজিতের একটি মৌলবাদী সংগঠন তাদের সোশাল সাইটে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
এই পাশবিক কাণ্ডে সমস্ত সভ্য সমাজ স্তব্ধ। শোকাহত।  
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া   




        ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২১ 


 ছবিঃ সম্পাদক 


                                          তীর্থঙ্কর মৈত্র

বাংলা কবিতার এক যথার্থ সেনাপতি তীর্থঙ্কর মৈত্র বিভিন্ন সময়ে মহানগরের বাতাস লাগলেও ভুলে জাননি আপনার চেনা দেশের ঘ্রাণ তাইতো ফিরে ফিরে এসেছেন ফিরে এসো চাকা’-র দেশে আর এখান থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন চৌদিকে জোছনারা তবে কদিন ভীষণ চুপ থাকুক উবু হয়ে বসুক আপনার শব্দের সামনে কিছুক্ষণ
জন্ম ২ জুন,১৯৫৯ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের খুলনা জেলায় বাগেরহাটের কাশিমপুর গ্রামে বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগরের শিমুলপুর  গ্রামের বাসিন্দাপড়াশুনা করেছেন ঠাকুরনগর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তিনি  কর্মজীবনে তিনি সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা ও কিছুকাল অঙ্কনশিক্ষক হিসাবে জীবিকা  নির্বাহ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবকিছু ছেড়ে মূলত কবিতাকেই আঁকড়ে ধরেছেন আর তার  জন্য তাকে ভয়ঙ্কর জীবনযাপনের সম্মুখীন হতে হয়েছে তীর্থঙ্কর সম্পূর্ণ এক গ্রামীন পরিবেশের মানুষ অধিকাংশ সময় গ্রামে কাটলেও তাকে কিছু সময় শহরে কাটাতে হয়েছে কবির বিভিন্ন সময়ে সম্পাদিত পত্রিকা 'বিনয়ের পরিমন্ডলে' 'অনুরাধা'  কবিতা পাক্ষিক সম্মান পান ১৪০৬- এখনও পর্যন্ত তীর্থঙ্করের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সাতটি-'হে মেঘের ভাস্কর্য ;(১৯৮৭),'সমুদ্রের বিস্তারের মতো তুমি'(১৯৯৪),'রানু এক জ্বর'(১৯৯৭),বৃষ্টির ভালো হোক(১৯৯৯),বসন্তের গিটার (২০০১), শালিকের ঠোঁটে খড় (২০০৯), ‘এসেছে নতুন ঘোড়া’ ( ২০১৫)।  
পুরস্কার / সম্মাননাঃ ‘কবিতা পাক্ষিক সম্মাননা-১৪০৬’ , ‘অচেনা যাত্রী প্রথম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মান-১৪২১’, রণতরী পুষ্প রায় সাহিত্য সম্মান-১৪২১’, 
এই বসন্তে তাঁর বসন্তের গিটার’-এর জন্য ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২১ প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত 

তীর্থংকর মৈত্র-এর হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন বিভাস রায়চৌধুরী।  ছবিঃ সম্পাদক 

                সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ
     
সাহিত্য-সেতু নির্মাণে সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ এক যথার্থ শিল্পী শব্দের পারাপারে ভালো থাকুক বংলাভাষা উদ্যান ভরে উঠুক অফুরন্ত শিমুলভাষা-পলাশভাষা’-
জন্মঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২
 বর্তমান ঠিকানাঃ সেনপাড়া, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রকাশিত গ্রন্থঃ দুশো-র বেশি     
      এই বসন্তে তাঁর অনূদিত কাব্যগ্রন্থ মরূদ্যানের পাঁচ ফুল’ –এর জন্য তাঁকে ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২১ প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত  


সৈয়দ মাজহারুল পারভেজের হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন কার্তিক নাথ।  ছবিঃ সম্পাদক । 
  


                             মধুমঙ্গল বিশ্বাস

    মধুমঙ্গল বিশ্বাস বাংলা সাহিত্যের আর এক নাবিক পল্লিগ্রামের বৃষ্টিবিন্দু মেখে হেঁটেছেন দূর-বহুদূর জানি, আরো দূর হাঁটবেন কবিতার কমণ্ডলু নিয়ে
জন্ম ২ জানুয়ারি, ১৯৬৪  বর্তমান ঠিকানাঃ কুটুমবাড়ি, মিলনপল্লি, হৃদয়পুর, কলকাতা- ১২৭ দৌড়’, ‘হৃদয়পুর  সবুজের কাছাকাছি’ –এই তিনটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন তিনি এর মধ্যে দৌড় তিরিশ বছরে পা দিয়েছে রয়েছে দৌড় প্রকাশনিও, যেখান থেকে ১২৫-টিরও  বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ জীবন যখন তালপাটি খালে , ‘সোনালি আঁধার’ , ‘অগ্নিতে শ্রাবণে’, ‘দিনান্তের সংলাপ’, ‘যৌবনের ধান’, ‘অন্ধকারের সিঁড়ি’, ‘মাধুকরীর আগে’, ‘আগুনের মমি’, ‘প্রাগৈতিহাসিক ঘুড়ি’, সর্বনাশের আলো’, ‘আরণ্যক খাঁড়ি’ ইত্যাদি।
সম্মাননাঃ ত্রিপুরা থেকে প্যেছেন সাহিত্য সম্মাননা।  
      এই বসন্তে আপনাকে তাঁর জীবন যখন তালপাটি খালে কাব্যগ্রন্থের জন্য তাঁকে ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২১ প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত    

মধুমঙ্গল বিশ্বাসের হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন সুরঞ্জন প্রামানিক।  ছবিঃ সম্পাদক ।

                            সঞ্জয় ঋষি
এই সময়ে বাংলা কবিতা একজন উল্লেখযোগ্য যোদ্ধা সঞ্জয় ঋষি
জন্মঃ ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮৩
ঠিকানাঃ বাণীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা। 
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ ছুঁতে চাই, অথচ’, ‘২৬ অক্টোবর
পুরস্কারঃ ১৪২১ বঙ্গাব্দে i-সোসাইটি থেকে কবিতার জন্য বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন।
সম্পাদকঃ সুতরাং, ধ্রুবতারা। সুতরাং প্রকাশনা থেকে ২০ টির-ও বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে।     
এই বসন্তে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ২৬ অক্টোবর’ –এর জন্য  তাঁকে ইতিকথা এখন যুব সাহিত্য সম্মাননা-১৪২১ প্রদান  করতে পেরে আমরা গর্বিত  
সঞ্জয় ঋষি-র হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন রণবীর দত্ত।  ছবিঃ সম্পাদক । 

                               সৈকত ঘোষ
সৈকত ঘোষ বাংলা কবিতায় একজন উল্লেখযোগ্য তরুণ সৈনিক
জন্মঃ ১৭ জানুয়ারি, ১৯৯০
ঠিকানাঃ নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা
কাব্যগ্রন্থঃ রং বেরংয়ের অবাস্তব’(২০১২ ), ‘@প্রেম’ (২০১৩ ) , ‘ঘুমন্ত পৃথিবীর রেপ্লিকা’ (২০১৪ ) ,’ জরাসন্ধের বিছানা’ ( ২০১৫) । 

সৈকতের কাব্যগ্রন্থ ‘@প্রেম’- এর জন্য  ইতিকথা এখন  যুব সাহিত্য সম্মাননা-১৪২১ প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত    
     
সৈকত ঘোষের হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন রণজিৎ হালদার।  ছবিঃ সম্পাদক । 




                   ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২২

                           বিভাস রায়চৌধুরী
জন্ম ১৯৬৮ সালে  সীমান্ত শহর বনগাঁয় তিনি নব্বই দশকের এক স্বতন্ত্র কবি  বাংলা ভাষা যতদূর ততদূরই তার বিস্তার ইদানিং ‘Poem Continuous: Reincarnated Expressions’ ( Translated by Kiriti Sengupta) প্রকাশের পর তাঁর অসামান্য কাব্যপ্রতিভা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে তথা বিদেশেও। ভালোবাসা    জীবনের ডামাডোলের   সুতীব্র ঝাল মেশানো তার কবিতার ছত্রেছত্রে  হারানো জীবনের  উপর অলৌকিক টর্চ নিয়ে অতল গভীরে নেমে পড়ে তার কবিতা পুরস্কার পেয়েছেন অনেক, তবু  আগের মতোই মাটিতে পা রেখে হেঁটে যান নতুন গ্রামের কাঁচামাটিতে, সেখানেই যে পেয়েছেন কবিতার মতো আরও কত কি! 
কাব্যগ্রন্থঃ নষ্ট প্রজন্মের ভাসান’ (১৯৯৬), উদ্বাস্তু শিবিরের পাখি(১৯৯৬) , শিমুলভাষা, পলাশভাষা’(১৯৯৯), ‘জীবনানন্দের  মেয়ে’(২০০২),‘চন্ডালিকাগাছ(২০০৬), যখন ব্রিজ পেরোচ্ছে বনগাঁ লোকাল’(২০০৮) , ‘পরজন্মের জন্য  স্বীকারোক্তি’(২০১১), ‘সমস্ত দুঃখীকে আজ’ (২০১২), ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’(২০১৩), ‘Poem Continuous: Reincarnated Expressions’ ( Translated by Kiriti Sengupta) (2014)  অনন্ত আশ্রম’(২০১৫)   
উপন্যাসঃ কলাপাতার বাঁশি’, ‘অশ্রুডানা’, ‘বাইশে শ্রাবণ   
পুরস্কারঃ   কৃত্তিবাস পুরস্কার-১৯৯৭ , পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (অনিতা-সুনীলকুমার বসু স্মৃতি পুরস্কার)-২০১৩, 'অচেনা যাত্রী ও দ্বৈপায়ন সাহিত্য সম্মাননা- ১৪২২' 
ঠিকানাঃ চাঁপাবেড়িয়া, বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা   
তাঁর সারাজীবনের সাহিত্যচর্চার জন্য ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২২ প্রদান করতে পারব বলে আমরা গর্বিত 
বিভাস রায়চৌধুরীকে  শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন শূদ্রক উপাধ্যায়।  ছবিঃ সম্পাদক । 

                                 পিন্টু রহমান
কুমার নদের পাড় ঘেঁষে ঘরবসতি। ১৩ অক্টোবর ১৯৭৫ চুয়াডাঙ্গা জেলার কুমারী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পৈত্রিক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার অন্তর্গত বাজিতপুর গ্রামে।
সম্পাদকঃ জয়ত্রী সাহিত্য পত্রিকা।
গল্পগ্রন্থঃ পাললিক ঘ্রাণ (২০১৪), পরাণপাখি ( ২০১৫)।

 তাঁর গল্পগ্রন্থপা ললিক ঘ্রাণ’-এর জন্য তাঁকে ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২২ প্রদান করতে পারব বলে আমরা গর্বিত    
পিন্টু রহমান। ছবিঃ ফেসবুক। 

                                তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়
তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮১ ইংরাজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এই কবি পেশায় শিক্ষক শৈশব কেটেছে শহর থেকে দূরেগ্রামে এক সময় বিভূতিভূষণ একা একা হেঁটে বেড়িয়েছেন এই সব স্থানেবনগাঁয় পরে আগমন তমাল শূন্য দশকের অন্যতম সেরা প্রতিভা না না,তমাল এ কথা বলতে যাবে কেন, এ কথা বলছি আমরা যাঁরা কবিতাভুক, যাঁরা কবিতার রাজ্যটাকে মোটামুটি চিনি বা জানি তমাল বরং প্রচার বিমুখ নিজেকে লুকিয়ে রেখে ক্রমশ নির্মাণ করে চলেছেন কাব্যের রেশম তাকে কিছু বলতে হয় না তিনি প্রান্তিক মানুষ তাঁর জমিতে জো-এসেছে বহু যুগ আগে আর তিনি লাঙল নিয়ে আজো ফসল ফলিয়ে চলেছেন কখনও সে জমিতে বারুদের গন্ধ পেয়ে থমকেছেন, ভয় পেয়েছেন, এমনকি শিশুর  মতো কেঁদে ফেলেছেন একান্তে
তমালের কাব্যগ্রন্থঃ সমস্ত সন্ধ্যার শেষে ( ২০০৩), অদেখা বিষুব রেখা ( ২০১৫)
সম্পাদকঃ 'ফসিল' কবিতাপত্র
পুরস্কার/ সম্মানঃ শারদ সম্মান(বনগাঁ মহকুমা পুলিশ প্রশাসন ও প্রেস ক্লাব)-২০১২
ঠিকানাঃ দত্তপাড়া, বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা  

 তাঁর কাব্যগ্রন্থ অদেখা বিষুবরেখা’-এর জন্য আপনাকে ইতিকথা এখন যুব সাহিত্য সম্মাননা -১৪২২ প্রদান করতে পারব বলে আমরা গর্বিত   

তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন  শূদ্রক উপাধ্যায়। ছবিঃ সম্পাদক 
                           তিতির  
তিতির সাহিত্য পত্রিকা ।। চতুর্দশ বর্ষ ।।
কথাসাহিত্য সংখ্যা ।। বইমেলা ২০১৫ ।।
সম্পাদকঃ সঞ্জয় সাহা।।
ঠিকানাঃ মাথাভাঙ্গা, কোচবিহার।।

 এই অসামান্য  সংখ্যাটির জন্য সম্পাদক সঞ্জয় সাহা’র হাতে ‘ইতিকথা এখন সাহিত্য সম্মাননা-১৪২২’ তুলে দিতে পারব বলে আমরা গর্ব অনুভব করছি। 



উল্কা ও মৌলীর সাথে আবীর খেলছেন কবি গৈরী মৈত্র। ছবিঃ সম্পাদক। 



মন্তব্যসমূহ