শুভ্র শূন্যতা ।। নাজনীন খলিল ।।


                          শুভ্র শূন্যতা
                           নাজনীন খলিল

আয়না...
 
আয়নাই তোমাকে পরিচিত করে তোমার মুখের রেখাগুলোর সাথে অথবা জাগিয়ে তুলে সুপ্ত নার্সিসিজম, নির্ভর করে তুমি কীভাবে ব্যবহার করছো তোমার নিজস্ব দর্পণটাকে। তবে তুমি যা নও তা দেখতে চেয়ো না। ঠকে যাবে তোমার বুঝতে হবে,  নার্সিসিজমেরও একটা সীমা আছে।
বরং তোমার প্রতিবিম্বটাকে রেখে দাও পাখির চোখের ভেতরে
 

 কানামাছি খেলায় তোমার চোখে বাঁধা রুমালটা প্রজাপতি হয়ে গেলে, হারজিতের কথা মনে থাকে না। সামনে তখন কেবল কতগুলো রং অথবা মিলিত বর্ণচ্ছটার রংধনু। রংগুলো আলাদা করে ফেলো তুমিতো জানোনা কোনটা আসল রং। খুঁজে নাও কিন্তু মুছে ফেলো না ডানার পরাগ। সব রংয়ের উৎস তো এটাই।
আয়নার কাচে যখন বিম্বিত হবে রংগুলো তখন দেখবে সব বর্ণসমন্বয়েই ফুটে ওঠে                                                                           শুভ্র শূন্যতা



---------------------------------------------------------------------------------------
না পড়ে চলে যাবেন না মতামত রেখে যান এখানে পোস্ট করার সময় আপনার ই-মেল পাসওয়ার্ড চাইতে পারে দিন ওটা আপনি গুগলকে দিচ্ছেন একবারই দিতে হবে আর যদি প্রযুক্তিগত কারণে বার বার মতামত পোস্ট করা সত্বেও মতামত যদি পোস্ট না হয় তাহলে সম্পাদকের ফেসবুকের ইনবক্সে পোস্ট করুন পরে এখানে পোস্ট করে দেওয়া হবে নাহলে achenayatri@gmail.com-এ মেল করুন অনেক আন্তরিকতার সাথে আমরা এই কাজটা করি তাই এই লোভটা সামলাতে পারি না সমালোচনা করেই লিখুন কিন্তু লিখুন আশায় আছি ধন্যবাদ

মন্তব্যসমূহ

আমার প্রিয় কবি নাজনীন খলিল এর লিখা আমার কাছে পূর্বাপর সবসময়ের জন্যই প্রিয়। বরাবরই তাঁর লিখায় অসম্ভব এক চিত্র প্রস্ফুটিত হতে দেখি। ব্যঞ্জনাময় প্রিয়-সব কল্প-চিত্রে আমি আমার নিজেকে খুঁজে পাই।

যিনি শব্দ ঝংকারে কণা-ফুৎকারে তুলে আনতে পারেন অসাধারণ দর্পণ। যে শার্শিতে পাঠক তার আপন ভাবনার প্রতিবিম্ব খুঁজে পান। ধন্যবাদ প্রিয় আপা। প্রিয় জায়গায় আপনার প্রিয় সৃষ্টিকে সম্মান জানাই। খুব খুব ভালো এবং সুস্থ্য থাকুন এই প্রত্যাশা। ধন্যবাদ।
Unknown বলেছেন…
অসংখ্য ধন্যবাদ আজাদভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। সঙ্গে থাকুন।