অণুগল্প ।। শান্তনু হালদার ।। 'অনন্ত' ও 'ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট' ।।

অনন্ত
ঈষৎ হলদেটে নিউজপ্রিন্ট খাতায় অনন্তকে আঁকতে চেয়েছিল সুপর্ণা। মনের রং-পেন্সিল দিয়ে   তৈরি করবে অনন্তের এক আস্ত অবয়ব। রং-তুলি হাতে সারাদিন কেটে যায় সুপর্ণার। তারপর সূর্য ঢলে পড়ে আকাশের কোলে। সমস্ত আলো নিভে যায়। অবশেষে অনন্ত আসে। গোল গোল চোখে সুপর্ণার আঁকার খাতায় চোখ পড়ে অনন্তের। সে বলে, ‘ধুর পাগলি, কী এঁকেছ এসব হিজিবিজি!   সুপর্ণা বলে, ‘তোমাকে এঁকেছি সারাদিন ধরে!’ তারপর অনন্ত একগাল হেসে বলে, ‘তুমি তো ভারি মজার। আমাকে কি আঁকা যায়? আমি না অনন্ত...!





ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
শ্যামলবাবু বুড়ো বয়সে ফেসবুক করা শিখেছেন ফ্ল্যাটতুতো নাতি-নাতনিদের কাছ থেকে।  শ্যামলবাবুর ফেসবুকে অনেক বন্ধু। হঠাৎ সেদিন একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এল। সুনামির মতো। নাম নীলিমা সরকার। নাম আর প্রোফাইল পিকচার দেখেই হঠাৎ চমকে উঠলেন তিনি। ‘এ কি! এ যে...!’ তারপর এক ক্লিকেই ওঁরা বন্ধু। কিছুক্ষণ পর শ্যামলবাবুর ফেসবুকের ইনবক্সে একটা মেসেজ আসে।
-‘এভাবে সারাটা জীবন একা একা...
 এটুকু পড়তে পড়তে একটু থেমে পকেট থেকে রুমাল বের করে চশমার ঘোলা কাঁচ মুছলেন। মনে পড়ে আলপথ ধরে হাতে হাত রেখে ওদের হেঁটে যাওয়া। ডেস্ক থেকে উঠে জালনা দিয়ে আকাশটাকে একভাবে দ্যাখেন...দ্যাখেন নীলিমাকে...!  



মন্তব্যসমূহ