মানিক সাহা

অরণ্যের কোল ঘেঁষে কয়েকটি রঙিন মাছি

বিস্তির্ণ মাঠ জুড়ে ধান এবং নক্ষত্রের আলো।
মনোরম রাতের সৌরভে
চিৎ হয়ে পড়ে আছে যুবতীর তাজা মৃতদেহ।

ঝিঁ ঝিঁ পোকাদের মত ঘুম জড়িয়ে আসছে।
চাঁদের পোশাক নিয়ে কয়েকটি কাক
উড়ে এসে রাত নামাল।
এখন সৎকার গাথা গাওয়া হবে-
রক্তের গন্ধে
তেমন সুরই তো বাজছে বলে মনে হয়!

পাহাড়ি রোদের রঙ
জলপাই গাছের হাসির মতো লাল।
অনেক কথা বলার সময় যেমন হয়,
তেমন করে মেঘ জড়িয়ে যাচ্ছে
এ ওর পায়ে।
এমন দৃশ্য
তেমন করে ধরতে পারলে,
রক্তের গন্ধে আমাদের আর ঘুম
                  ভেঙে যেত না।

পুলিশের অপেক্ষায় দিন ক্ষয়ে যেতে থাকে।
সে এমন ভয় পাওয়ানো রঙে মেতে উঠল কেন?
বাতাস জাপটে ধরে উদ্দাম জীবন-বাসনা!
তাকে কেউ যেতে দিচ্ছে না।
যেতে দেবার ছলনায় তারা রঙিন হয়ে উঠছে।
যেতে দেবে বলেই তারা গুলি ছোঁড়ে
এবং পাখি হয়ে উড়ে যায়।

অরণ্যের কোল ঘেঁষে কয়েকটি রঙিন মাছি
সারাদিন আগুন বিক্রি করে।
ভয়াবহরকম বেগুনী রঙের সেইসব দিন।
তাদের ঠোঁটের স্পর্শে চামড়া পুড়ে যায়
এবং ডুবে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে
বংশবৃদ্ধি করে।

কয়েকটি ভাঙা আঙুল পড়ে থাকবে
এটাই স্বাভাবিক।
বেহেস্তের দিকে যেক'টি চোখ-
তাদের অশ্রু মিলিয়ে যাওয়ার আগেই
মিডিয়ার পালক জুটে যাবে কপালে।
এমন কেন হল?
কেউ তার উত্তর দিতে পারছে না।
কেবল চোখের আকাশ জুড়ে অনন্ত মেঘ
ভরা বর্ষার মায়া-প্রাসাদ তৈরি করছে।

অনেক প্রতিলিপি বেরিয়ে আসছে-
জলবাতাস, খেতখামার, উড়ন্ত স্লিপিং পিল
মজলিশি ট্রেনে ছুটি এবং মাছরাঙা ঘিরে ধরল
                             বাসরের গান
এখন একটু জিরিয়ে নিতে চাইলে
প্রজন্মকাল আমাদের ঘুমিয়ে থাকতে হবে।




মন্তব্যসমূহ