তারপর হঠাৎ
শূদ্রক উপাধ্যায়
তারপর হঠাৎ রাস্তার শেষ অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে অবেগ ছুড়ে ফেলে দেব যত্ন করে সাজিয়ে রাখা ডাস্টবিনে, খুলে ফেলব একে একে সব পোশাক, বেড়ে ওঠা সুখী চামড়া, পাহাড়িয়া সুর, ঝর্নার নৃত্য, নদী, মাস্তুল, সাঁওতালি বাঁশি, সখ করে কিনে আনা হলুদ পাঞ্জাবি, মায়ের পাকা চুলে জমে থাকা জ্যোৎস্না, শ্যাওলামাখা ঘর, বাড়িওয়ালার চিৎকার , লাল মাটির মেয়েটির কথা , ছাতিম ফুল, ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা মন খারাপের চিঠি, মোটা চশমার মেয়েটিকে বলতে না-পারা কথা, ট্রাম লাইন, ভাসা ভাসা অক্ষর, সন্ধ্যের স্মিত আলোয় প্রথম চুম্বন, নীল পোশাকি কথার ভিড়, নিচু হয়ে থাকা কান্নার শব্দ...
কিছুই তো হয়নি পাওয়া; ঘাম-শব্দ পথের পাশেই রাত কাটিয়েছে রক্ত; বিকেলের স্রোত কুড়োতে কুড়োতে একদিন বুড়ো হয়ে গেলে তোমার হয়তো মনে পড়বে কতটা যন্ত্রণা নিয়ে কাটিয়েছি বসন্ত উৎসব, কতবার আশ্রয়হীন হয়েছি ভেতরে ভেতরে আর আমার চোখ ক্রমশ বিদ্যুতের ঝলকানি দেখতে দেখতে একটা বিন্দুতে মিশে যাচ্ছে; সাদা কালো রক্ত ডেকে দিচ্ছে অতীত! আর ঠিক এই মুহূর্তে একবার শামুকের স্বচ্ছ জলে ঠোঁট ধুতে চাই...
না। পড়ে চলে যাবেন না। মতামত রেখে যান। এখানে পোস্ট করার সময় আপনার ই-মেল পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। দিন। ওটা আপনি গুগলকে দিচ্ছেন। একবারই দিতে হবে। আর যদি প্রযুক্তিগত কারণে বার বার মতামত পোস্ট করা সত্বেও মতামত যদি পোস্ট না হয় তাহলে সম্পাদকের ফেসবুকের ইনবক্সে পোস্ট করুন। পরে এখানে পোস্ট করে দেওয়া হবে। নাহলে achenayatri@gmail.com-এ মেল করুন। অনেক আন্তরিকতার সাথে আমরা এই কাজটা করি। তাই এই লোভটা সামলাতে পারি না। সমালোচনা করেই লিখুন। কিন্তু লিখুন। আশায় আছি। ধন্যবাদ।
মন্তব্যসমূহ