গল্প:২ ।। আঁধারের ফুল ।। পিন্টু রহমান ।।

                      আঁধারের ফুল

                       পিন্টু রহমান

        ভাতের থালাটা কয়েক মুহূর্ত শূন্যে ঘুরপাক খেতে খেতে মেঝেতে আছড়ে  পড়ে। চারদিকে ভাত আর ভাত, খইয়ের মতো ছড়ানো ছিটানো ভাত। কক্ কক্ আওয়াজ তুলে অভুক্ত মুরগীর পাল ছুটে আসে। হালিমা স্থির থাকতে পারে না বহু চেষ্টার পরেও তার ধৈর্যের বাঁধে ফাটল ধরেউত্তেজনায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ভূমিকম্পের মতো কাঁপুনি অনুভূত হয়। মেরুদণ্ড বরাবর উষ্ণ রক্তের প্রস্রবণ বয়ে যায়। মনে হয়, এখুনি বোধহয় শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবে!
            দাঁতে দাঁত চেপে অত্যাচার হজম করলেও ভাতের অপমান নীরবে হজম করতে অভ্যস্থ নয় সে। স্বামীর চোখে চোখ রেখে দ্রোহের আগুনে ঝলসে ওঠে,ভাতের উপর খেপিচু ক্যান, ভাত তুমার কী ক্ষতি করিচে? মাত্তি হয় আমাক মারো,  যেত হাউস তেতো মারো-মাত্তি মাত্তি মারি ফেলো!
       রুগ্ন শরীরে কুলায় না অল্পতেই মেয়েটি হাঁফিয়ে ওঠে। কথার মাঝে খানিকটা বিরতি দিয়ে ক্ষোভের সাথে পুনরায় বলে, এরাম ভাতারের ভাত না খায়ি মরি যাউয়া অনেক ভালো, তাতে গোরে যায়ি আজাপ ইট্টু কম হবে!
-ভাত! আহারে ভাত!
-তোর জন্যই মাথার ঘাম পায়ে ফেলা! হাঠে হাটে তেজারতি করা!
         আক্কাছ আলির মগজে ঘুণপোকার বসবাস। কোনোরকমে চান্দি গরম হলেই  হয়, তখন আর দিক্বিদিক হুশ থাকে না হিংস্র চিতার গতিতে বৌয়ের ’পর ঝাপিয়ে পড়ে তলপেট বরাবর লাত্থি মারে চুলের মুঠি ধরে টানাহ্যাঁচড়া করে। প্রশ্বাসের সাথে   উগরে আসে পুঞ্জিভূত সব ক্ষোভ-আক্ষেপ, বোল শালির মাগি বোল, ডাক্তারের কাছে  যাবি কি না বোল!
       কয়েক মুহূর্ত থেমে আক্কাছ আলি পুনরায় বলে, না গেলি তোক ঠাপি ফেলবো,  চৌদ্দগুস্টি ফল্লা কোরবু, কিচু না বুলি বুলি শালীর মাগী আমাক গিরাজ্জি কচ্চে না! ইবার তোর কুন নাঙ ঠেকাই দেকি!
আঘাতে আঘাতে শরীর বেয়ে রক্ত চুঁইয়ে পড়লেও হালিমা তার সিদ্ধান্তে অবিচল। মেয়েটি ভাঙবে তবু মচকাতে নারাজ! বিশ্বাসের জোরে ভরপুর হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, নাহ, যাবো না, মরি গেলিউ ওকেনে আমি যাবো না! ঐ পাপের কাজ আমি কিচুতেই কোরবু না!
          ঢিলা হয়ে যাওয়া লুঙ্গির গিট শক্ত করে বাঁধতে বাঁধতে আক্কাছ আলি স্ত্রীকে কটাক্ষ করে শোনায়, ইস, মাগীর হাউস কত, তিন-তিনবার বিয়ান দিয়ুউ হাউস মিটিনি-আবারু বিয়াতি চায়!
-হ, বিয়াবো, তাতে তুমার কী?
আক্কাছ আলির মেজাজে যেন ঢোলের বাড়ি পড়ে, আমার কী মানে, ওই মাগি তুই কি  জানিস এই সুংসার কেরাম করি চলে? সায়ুই যুত থাকলি আরু কী যে কত্তিস!
       হালিমার শক্ত-সামর্থ্য গড়ন। মেরে সুবিধা করতে পারে না।  বাধ্য হয়ে হাতে লাঠি তুলে নেয়। কিশোরী ফুলি এতক্ষণ সাক্ষীগোপালের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেও আর তা সম্ভব হয় না ছুঁটে গিয়ে বাবার পা জড়িয়ে ধরে, আর মারুনা গো, আমার মা যে মরি যাবেনে!
বাবার পা জড়িয়ে ধরে মেয়েটি অঝোরে চোখের জল ঝরায় আর বিলাপ করে, ও আল্লা একুন কী হবে! আমার মা’ক তুমি বাঁচাউ, তুমি ছাড়া মা’র যে আর কেউ নি, কিচ্চু নি!
ফুলির চিৎকারে যদি প্রতিবেশীরা ছুটে না আসতো, স্বামীর হাত থেকে হালিমাকে যদি ছোঁ মেরে কেড়ে না নিত, তবে অত্যাচার হয়তো আরো খানিকটা দীর্ঘ হতো।
       হালিমার জীবনাকাশে রাজ্যের অন্ধকার। কতিপয় বিশ্বাসের কাছে তার হাত-পা বাঁধা রয়েছে। তা না-হলে, যা করার সে নিজেই করতো। পেটে কিলঘুষি মেরে হালিমা আক্ষেপ করে, তুই কি আর বাসা বান্দনের জাগা পালিনি! এই ডালে ক্যান মত্তি আয়চিস!
এমন দৃশ্যে সন্তনহীনা জাহানারার মাতৃহৃদয় কেঁদে ওঠে। চোখের পাতায় জলের ধারা ছলছল করে, এরাম কতা কতি নিরে বুইন, আল্লা বেজার হবে। সেদিন মন্ডল বাড়ির তালিমি শুনলাম আল্লা নাকি তিনার বান্দাগের দুনিযায় দি-পেটাইনির ৭২ হাজার বছর আগে খাউয়ার পাটি দেয়!
       সমবয়সী আরো কয়েকজন জাহানারার কথায় একমত পোষণ করে কথা তারাও শুনেছে। তাছাড়া এই দুনিযাই তো শেষ না, মৃত্যুর পরেও জীবন আছে! উপস্থিত সকলের মধ্যে হাহুতাশরোজকিয়ামত, পুলসিরাত, পরকাল, মিযান, হাশর,  জান্নাত-জাহান্নাম প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়। হালিমাকে ওরা না যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

                             দুই
            পৌষের মাঝামাঝি। সন্ধ্যা নামতে না নামতে অনেক রাত কুয়াশার চাদরে সময় হামাগুড়ি দেয়। ছেলেমেয়েদের সাথে হালিমা খেতে বসে। ছোটটার বয়স প্রায় বছর তিনেক। সারাক্ষণ কেবল ঘ্যানঘ্যান করে। অসুখবিসুখ নিত্যসঙ্গী। অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় তুলসী পাতার রস খাওয়ালেও আজ তার ব্যাত্যয় ঘটেছে। বুঝতে পারে, সারারাত ধরে ছেলেটি ঘংঘং করে কাশবে। তার কাশির দাপটে কোনকোনও দিন  রাতের আভিজাত্য যেন খানিকটা ম্লান মনে হয়। পরম আদরে হালিমা তার ছেলেটির বুকে, পিঠে, গলায় ও পায়ের তালুতে গরম সরিষার তেল মালিশ করে। মার পানে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে ফুলি জিজ্ঞেস করে, তুমার ভাত কই মা, তুমি খাবা না?
হালিমা আমতা আমতা করে বলে, না মা, তুই খায়ি নে।
হয়তো কোনো এক সত্য আড়াল করতেই হালিমার মধ্যে সংকোচ। মেয়ের চোখে চোখ রাখতে পারে না। আলতো করে গা’য়ে-মুখে হাত বোলায়। একরত্তি মেয়ে তার। অল্প বয়সেই সংসারের টুকটাক কাজকর্ম শিখে ফেলেছে। মা অসুস্থ হলে সে নিজেই রান্না করে, ঘরে-বাইরে দু’হাত দিয়ে সামাল দেয়। চোখের মারপ্যাঁচে অনেক কিছুই বুঝে নেয়। হালিমার অভুক্ত থাকার বিষয়টিও তার নজর এড়াতে পারে না। তাই খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে, খাবানা ক্যান মা, আগে খায়ি নেও তো তুমি! পাছে না  হয় অন্য কাজ করুনে।
হালিমার মুখে তবু আপত্তি, তুই খায়ি নে মা, আমি পাছে খাবোনে।
-পাছে না, একুনি তুমি খাওসারাডা দিন তুমি না খায়ি আছো যে!
হালিমার মধ্যে তথাপি ইতস্তত ভাব। আড়ষ্টচিত্তে বলে, ও নি তুই ভাবিস নি, তোর বাপ আসুক তকুন খাবোনে!
মা’র কথা শুনে ফুলি এবার অবাক না হয়ে পারে না, এ-সব তুমি কি বুলচু মা! যে  লোকটা তোমার জীবন নিয়ি ছিনিমিনি খেলচে, বাদে-বাদে মাইরধর কচ্চে, তার জন্যিই এতো দরদ!
মেয়ের কথায় হালিমা আপত্তি করে, না রে মা, মেয়ি হয়ি জন্মালি মেলা কিচু সতি হয়। তাছাড়া স্বামীর পা’র নিচিই তো স্ত্রীর বেহেস্ত!
           ছেলেমেয়েরা ঘুমিয়ে পড়লেও গভীর রাত  অবধি হালিমা নির্ঘুম। কান  খাড়া করে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে। আহা, বেচারা বোধহয় সারাদিন খায়নি! দেরি করে ফেরার অভ্যাস যে নতুন নয়, বিয়ের পর থেকেই হালিমা তা দেখে আসছে। মানুষটার যেদিন কাজকর্মে মন বসে না, যেদিন আয়-ইনকাম ভালো হয়, সেদিন আলমডাঙা থেকে ফেরার পথে হয় কুমারীবাজার না হয় হাড়গাড়ি বাজারে বন্ধুদের সাথে তাস খেলতে বসে। দুনিয়ার সব টান ভুলে খেলার নেশায় বুদ হয়ে পড়ে থাকে। তাসের বাজিতে আক্কাছ আলি যেদিন হেরে যায় হালিমা সেদিন বেশ বুঝতে পারে। হাসিখুসি ভরা মানুষটার মধ্যে রাজ্যের হতাশা জমা হয়। কোনকোনও দিন না খেয়ে শুয়ে পড়ে। কিছু জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দেয় না, কেবলি দীর্ঘশ্বাস ঝরায়।
           তলপেটের চিনচিনে ব্যথাটা এক-একবার যেন আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে! মাঝে মাঝে সে ব্যথা শরীরময় ছড়িয়ে পড়ে। অসহ্য যন্ত্রণা! মুখ খেমটি মেরে শুয়ে থাকে। কখনো বা স্ফিত পেটে হাত বোলায়। কৌতূহলী দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। তখন মনে হয় নতুন মানুষটা যেন তার সাথে খেলা করে! দিবানিশি স্বপ্ন দেখায়! মিষ্টি একটা মুখ, ছোট ছোট দুটি চোখ, ঐ চোখে যেন মায়ার কাজল পরানো!
        হাওয়ার ডানায় ভেসে আসা খটাখট শব্দ শুনে হালিমা খাতুন বিছানার উপর উঠে বসে। ফুলির বাপ এসেছে মনে হয়! তবু নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েক মুহূর্ত  অপেক্ষা করে।
            এবার আর শব্দ নয়, আক্কাছ আলির কণ্ঠধ্বনি ভেসে আসে, হালিমা, ও হালি, ঘুমি পড়িচু না কি?
হালিমার স্মৃতির তানপুরায় হঠাৎই যেন ঢোলের বাড়ি পড়ে! অতীত স্মৃতির মুখরতা তাকে ভূমিকম্পের মতো নাড়া দেয়। প্রথম যখন এ-বাড়িতে বউ হয়ে আসে ফুলির বাপ তখন খুব আদর করতো। বাবা-মা’র চোখ ছাপিয়ে প্রায় প্রতি রাত্রেই এটা ওটা নিয়ে আসতো। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে জেগে গল্প করতো। ভবিষ্যতের রঙিন স্বপ্ন এঁকে বিভোর হতো-
সারাজীবন অভাব থাকবে না। সংসারে সুদিন আসবে। ছেলেমেয়েদের মানুষ করবে। স্বর্গের সুখ এসে লুটোপুটি খাবে। নাঃ! এসবের কিছুই হয়নি! স্বপ্নের ফানুস ধুলোর   পৃথিবীতে পা দেইনি। ঐ ছবির সাথে আজকের ছবির কোনই মিল নেই সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। আসলে দুর্বল মুহূর্তে মানুষ যে-সব ছবি আঁকে তার সবটাই বোধহয়  অলিক, মিথ্যে!
        হালিমার শরীর ঘেষে আক্কাছ আলি অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। বোধহয় স্ত্রীর মনোজগতের খবর নিতে চায়। আলতো করে কপালে হাত দেয় খুব শীতল হাতের স্পর্শ। শরীরের রোমগুলো কাঁটা দিয়ে ওঠে। কুসুমস্বচ্ছ চোখে স্বামীর কাছে জানতে চায়, হাতির নাকাল দিন গেলো, পেটে কিচু দিয়ুচ?
সে-কথার উত্তর না দিয়ে আক্কাছ আলি উলটো জিজ্ঞেস করে, একুন কেরাম লাগচে বৌ? তুমার কি খুপ লাগি? কেনে যে মাতাটা বিগড়ি গেলো, কিচু বুজতি পাল্লাম না!
         হালিমার ক্ষোভ-অভিমান যেন কর্পূরের মতো মুহূর্তে বাতাসে হারায়। চোখের কোণ বেয়ে ফোটাফোটা জল গড়িয়ে পড়ে। আজব দুনিয়া এই আলো তো এই অন্ধকার! হালিমা নিজেও উঠে বসে। দৃষ্টির সীমারেখা সংকুচিত না করে বলে, তুমি ভাবু না ফুলির বাপ, যা করার আমিই কোরবুনে।

                                    তিন
           প্রচ্ছন্ন কিছু ভাবনা মাথার মধ্যে আচ্ছন্ন হলেও ঐ ভাবনায় হালিমার চরম অরুচি। বরং সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অবিরাম পা চালায়। ভোরের আলো ফুটে ওঠার আগেই ফুলিকে নিয়ে সে শহরের পথ মাড়াবে।
বাজিতপুর।
হাড়গাড়ি।
জনশূন্য মাঠ।
কুমারী
কামালপুর।
            অতঃপর লালব্রিজের নিচ দিয়ে শহরের গা-এ পা রাখতেই হালিমার বুকের ভিতরটা  আঁতকে উঠেছিল। মনে হয়েছিল মা-মেয়েকে অতিকায় একটি দানব তার পেটের মধ্যে পুরে নিল। শুধু কি তাই, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বদ্ধভূমির স্মৃতিফলকের সামনেও মুহূর্তর জন্য থমকে দাঁড়িয়েছিল। অসংখ্য চোখ যেন ক্রুদ্ধ চোখে তাকে উপহাস করেছে, ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তার মধ্যেও ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু এতসব ইঙ্গিত সে থোড়াই কেয়ার করে না।
         হালিমা ফিরবে অব্যশই ফিরবে। তার আগে সে নতুন জীবনের স্বাদ নিতে চায়। আঁধারের ফুল আঁধারে বিসর্জন দিয়ে সমাজের মুখরক্ষা করতে চায়ফেরার তাগিদ যে নেই ঠিক তাও না, আঁধারের যে সিঁড়ি বেয়ে ওরা পথে নেমেছে ঐ পথেই ফিরতে হবে। তা না-হলে যে সমাজের মুখরক্ষা করতে চলেছে ওই সমাজের চৌকাঠেই তার পা আটকে যাবে।
           কিন্তু চাইলেই কি সব হয় হয় না। ফুলিরও সময়মত ফেরা হয়নি। ডাক্তারের অব্যবস্থাপনার সাথে যোগ হয়েছে রাস্তার দূরাবস্থা। তবে একটি বিষয়ে মেয়েটি নিশ্চিত--আনাচে কানাচে গজিয়ে ওঠা ক্লিনিকগুলো যেন ডাইনোসরের উত্তরপ্রজন্ম। অন্যদিকে সভ্য শহরের ড্রেনগুলোও অসভ্য জানোয়ার। মা-কালীর মতো ওরাও শুধু রক্ত চায় অনেক রক্ত। আর ওদের সেবায় যারা ছুরি হাতে অপেক্ষা করছে তারা আর যাই হোক, ডাক্তার নয়। কেননা, মানুষের গলায় ছুরি চালাতে ওদের বিন্দুমাত্র বুক কাঁপে না।
          এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা মাড়িয়ে মা-মেয়েকে বহনকারি ভ্যানটি গ্রামের পথে এগিয়ে চলে। তপ্ত দুপুরের জনশূন্য রাস্তা। থেকে থেকে ঝাঁকুনি ওঠে, প্রচণ্ড ঝাঁকুনি!  হালিমার শরীর জড়িয়ে ধরে ঐ ঝাঁকুনি থেকে ফুলি নিজেকে কোনোমতে রক্ষা করে। কিন্তু মা’র মুখের পানে তাকিয়ে কিছুতেই চোখের জল ধরে রাখতে পারে না!
জল!
চোখের জল!
আহারে, চোখের জল!
উঁহু, বুঝি না, বুঝি না তোর শেষ কোথায়...



---------------------------------------------------------------------------------------
না পড়ে চলে যাবেন না মতামত রেখে যান এখানে পোস্ট করার সময় আপনার ই-মেল পাসওয়ার্ড চাইতে পারে দিন ওটা আপনি গুগলকে দিচ্ছেন একবারই দিতে হবে আর যদি প্রযুক্তিগত কারণে বার বার মতামত পোস্ট করা সত্বেও মতামত যদি পোস্ট না হয় তাহলে সম্পাদকের ফেসবুকের ইনবক্সে পোস্ট করুন পরে এখানে পোস্ট করে দেওয়া হবে নাহলে achenayatri@gmail.com-এ মেল করুন অনেক আন্তরিকতার সাথে আমরা এই কাজটা করি তাই এই লোভটা সামলাতে পারি না সমালোচনা করেই লিখুন কিন্তু লিখুন আশায় আছি ধন্যবাদ

মন্তব্যসমূহ