অর্ঘ্য মণ্ডলের কবিতা


যদি ওই নীচু মেঘ, ওই নীচু অন্ধ শ্রাবনে
হা-অন্ন বশত আলো-মোছা প্রদীপের ঠোঁট গোনে

যদি উপ-পাতালের তুমি ঝড়, রাত্তির সমান
চৌদিকে নূপুর বাজে, আর মরুচোখে অর্গান

যদি আরো জলছোঁয়া, ঠোঁট দিচ্ছে অন্য ঠোঁটে আলো
সারা-বিশ্বে না, আমার হাতেই ভ্রমর চমকালো

জ্বেলেছ সবুজ শাড়ি পাহাড়ের করতল দেশে
যুদ্ধে যাবোনা আজ, ঘুমোলাম যোদ্ধার বেশে

( কবিতাটি 'রাত্রি নিজেকে লিখছে' ( ১৯৯৮)  কাব্যগ্রন্থের প্রথম প্রবেশক  


হ্যাঁ
অসামান্য ভঙ্গিমায় সামান্য দাঁড়ায়
বীজের সরব-জন্ম
          এই মোহনায়

ভালোবাসা আছে কিন্তু নিমন্ত্রণ নেই

( কবিতাটি 'রাত্রি নিজেকে লিখছে' ( ১৯৯৮)  কাব্যগ্রন্থ থেকে অব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে  



মৃত্যুর একটু আগে শীত লাগে, ঘেন্নাও লাগে, আর ওকে
একা দেখে মনে হয়, আরেকটু থাকলে বেশ দেরি হয়ে যেত

কবিতাটি 'রাত্রি নিজেকে লিখছে' ( ১৯৯৮)  কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় প্রবেশক)

চিরদিনের
পায়রা উড়িয়ে করতল আসমানী

ও পাথর , আমি আগুন জ্বালতে জানি

সন্ধ্যা বলেনি চেনা-অচেনার কাছে

কণ্ঠের ক্ষত কঙ্কণে লেগে আছে



(কবিতাগুলি 'রাত্রি নিজেকে লিখছে' কাব্যগ্রন্থ থেকে অব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে)




মন্তব্যসমূহ