নিলাম
কখনও না দেখা ঘরের আড়ালে রেখে
কিছু হাসি কিছু কান্নার প্রস্তাব,
উপনগরীর পথ ধরে হেঁটে হেঁটে
খুঁজে নিই কিছু পুরাতন আসবাব
যা কিছু তোমার বাতিলের খাটা থেকে
রাস্তায় এনে ফেলে রেখেছিল কেউ,
তখনও টেবিলে কত পতনের দাগ!
স্পষ্টত আছে, আছে কিছু আড়ালেও।
তাদের দেখলে দৌড়ে ঝাপিয়ে আমি
মাথা পেতে নেব গণহত্যার দায়।
তুমি ডাকলে না, যদি এই আসবাব
এতদিন পরে আমাকেই কাছে চায়?
শহর
কেন ছলনার মতো বেজে উঠে শহরে এসেছ
এখানে নিষাদ-তির সর্বদা যেন লক্ষ্যকামী
ক্লান্তিহীন শব্দ খোঁজে আরোহণ আর পতনের
বধিরতা তাই শ্রেয় ঊর্ধ্বগামিনীর
কেন কুসুমের হাতে তুলে দিলে নিজ বর্ণমালা
কন্ঠ জুড়ে অবিরাম ভাষান্তর বাজে
কিছু বা গোচর হলে স্বর কিন্তু যতিচিহ্নময়
আর ছায়া সরে যেতে মৃত স্বপ্ন সব জেগে ওঠে
ইতিপূর্বে বহুবার শুনিয়েছ এই কৈফিয়ত
কিছুতো নতুন হবে কাহিনি-সন্ধান, মনে করো,
শহর নিষাদময়, ছলনায় ক্ষত ঢেকে রাখা
অনুমান,
একদিন ভেঙে যাবে এ মহেঞ্জোদারো !
আলো-ছায়া
তুমিই
রয়েছ ঘর জুড়ে – এই ভেবে
ঘুরে
দাঁড়ানোর সময় ছিল না কোনও।
আলো-ছায়া
মেখে যেদিকে দাঁড়াব ভাবি,
সেদিকেই
দেখি, অভিযোগ টেনে আনো!
আমারও তো
কিছু বলার ছিল না আজ।
একটাই
ঘর, মনে হল কত দূর...
আলোর
পাঁচিল ছায়া দিয়ে ঢেকে রাখা
মধ্যের
পথ উৎরাই- বন্ধুর।
পথ জুড়ে
তুমি ঘরের কাছেই বসে
দিলে না
সময় অভিযোগ তুলে নিতে
প্রেমতন্ত্রের
জন-গন-মন-অধি
আশ্রয়
নিল আলোহীন ঘরটিতে!
অঙ্ক শিক্ষক
মিলনদৃশ্য
প্রস্তাব দিল যেরকম অভ্যাসে
ঠিক
সেভাবেই আঁকতে বসেছি সম্পাদ্যের ক্লাসে।
জলের
ছায়ায় পেন্সিল দিয়ে অভিনব যত সূত্র
কম্পাস
ধরে চক্ষে দিয়েছি হিজিবিজি রেখাচিত্র।
নতুন
আকাশ সাজিয়ে সাজিয়ে পেন্সিল সার্পারে
ভুল হলে
সুর মুছে দিতে চাই নন্-ডাস্ট ইরেজারে।
তবুও
আড়াল? বেশ তবে এসো গ্ল্যু-স্টিক মাখামাখি
সবাই
জানুক শরীরের নাম অচেনা ত্রিকোণমিতি
খুললেই
তুমি লজ্জায় লাল, বল, যাহ্, দস্যিটি !
অদেখা
ত্রিকোণ- উপপাদ্যের পরেও তুমি না ! সত্যি!
পারোও যা
হোক, মিলিয়ে মিলিয়ে, লোকে কী বলবে, ভাবলে?
অমনি
বন্ধ অঙ্কের বই, দূর-সমাধান গুবলেট।
সংসার
আর এরকম এক সন্ধ্যায়
এক শালিখ-ভর্তি বাগানে
তুমি উড়ে এসেছিলে, সত্যি,
তুমি উড়ে এসেছিলে স্বপ্নে
তবু সন্ধ্যায় বাঘ বেরোনোর
যত হাহাকার ভরা আপোষে
দিল আহা-উহুময় প্রহসণ
আমি শুনলাম, শুধু উদাসীন
এক শালিখ ভর্তি বাগানে
তুমি তখনও ডিমের স্বপ্নে
ছিলে মশগুল, সংগোপনে...
মন্তব্যসমূহ