পরিহাস
ধীরে ধীরে ঢুকে
যাচ্ছো বুঝতে পারছ না
হা করলে বলবে- ও হে
আধ ইঞ্চিটাক কমাও
মুখ বুজলেই ইঞ্চি
দেড়েক কিস্তি করে দেবে
পা দিয়ে চোখ মুছতে
হবে। প্রবেশ করছ ধীরে।
গাড়ি তোমার, নারী
তোমার। ডানলোপিলো সিট
নরম তুলোর মধ্যিখানে
একেকবার ফিট
পথও তোমার, রথও
তোমার, কিন্তু স্টিয়ারিং-এ
অন্যের হাত। মুখটা যে
তাও দেখতে পাচ্ছ না।
ঢুকে যাচ্ছ ধীরে
ধীরে... বুঝতে পারছ না।
চকমিলানো রঙিন জামা, মাঞ্জা
দেওয়া
দেওয়া সুতো
আঙুল ঢাকুক, বুঝবে
শুধু হাত-তো আছে দু'টো
পঞ্জিকাতে ষষ্টি যখন শ্বশুর বাড়ি যাবোই...
তুমি যুবক-- জামা-পরা
ঢোলাঢালা এক বাবা।
ধীরে ধীরে ঢুকে যাচ্ছ; বুঝতে
পারছ না
এক সকালে দেখবে জেগে
... ছদ্মনামে আছ।
প্রথম যেদিন ধূসর এক
ফর্মার এই বইটি হাতে পেলাম, তখন আমি বনগাঁ স্টেশানে। ট্রেন ছাড়বে সবে। সামনে
সুদীর্ঘ পথ অপেক্ষার। অথচ আমার কেন মনে হল আমি শুধু একটা কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে
আছি? যেন কাফির বিলম্বিত বারংবার 'সা' বাদিতে ফিরে ফিরে আসছি আমি। কবি মলয় গোস্বামী বনগাঁয় আমার দেখা এমনই একজন বিষ্ময়কর মানুষ, যার
কবিতা মুহূর্তে পাঠককে সম্মোহনের এই কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দিতে পাবে। যেন 'প্রবেশ করছ ধীরে'। এক ফর্মার অনালোকিত অথচ
বিষ্ময়কর 'খড়মবই' ( কথাটি কবির, 'চটিবই' কথাটির পরিবর্তে ব্যবহার করে থাকেন) 'মনখারাপের বিলম্বিত গরু' এই ভাবে আমাকে
সম্মোহিত করেছিল সেদিন।
বিস্ময়ের
প্রথম কারণ এক অদ্ভুত সহাবস্থান। ‘বিলম্বিত গরু’। এ কেমন কথা? বিলম্বিত লয় শুনেছি, বিলম্বিত সুর শুনেছি। কিন্তু গরু? প্রশ্ন
মাথায় আসতেই খুনসুটি করে বলে উঠল নির্মল আনন্দে। ‘এক
সকালে উঠব জেগে… ছদ্মনামে আছ?’ তবে
কি ছদ্মনামে আমরা সবাই? এ কেমন কথা? দমকা এক পশলা বৃষ্টির মতো মনে পড়ে যাচ্ছে কোনও স্লাভেনিক উপকথা। রুসাল্কা ডাকছে। এই উপকথায়
সেই সব মেয়েদের কথা বলা হয়েছে যারা জলে ডুবে বা অপঘাতে মরেছে। ঘন জঙ্গল। পেরোলেই এক নদী। সেই নদী থেকে জ্যোৎস্না রাতে কারা যেন
শিকারীর ডাকছে। ‘আয় আয়…..’। শিকারী নদীপারে পৌঁছে বিহ্বল। এক ঝটকায় ঠনুক
ফেলে ‘রসালকা’ নামক মেয়েটির জন্য সব ভুলে ঝাঁপ দিলেন
নদীতে। অথচ, মাঝনদীতে পৌঁছোন মাত্র রুসালকা পরিণত হল
একাকি বাদুরে। খিল খিল হাসতে উড়ে গেল কোথাও। আর শীতল নদীর জলে শিকারীর মৃত্যু হল। কবিতা নির্মাণ কাজ কঠিনতর। তবু এই অমোঘ হাতছানিই কি কবিতার কবিকে সে ছদ্মনামের দিকে ঠেলে দেয় না? শক্তি
চট্টোপাধ্যায় যেমন বলেছেন, 'বহুরকম মেলায়ভাঙা দেয়ালের
পাশে, চাঁদের রুজুরুজু উন্মাদ দৌড়ঝাঁপ এবং হৃদয়, হৃদয়ের চতুর্দিক ঘিরে ফেলার নেশা আমাদের পেয়ে বসে। এবং আমরা শব্দে
শব্দে ঘা মেরে বাজিয়ে, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেই সব আলেখ্যর কাছে এনে সবাইকে দাঁড় করাতে চাই। সকলে
দাঁড়ায় না। সবার দাঁড়ানোর কথাও না। কেউ কেউ দাঁড়ায়। তারা ঠুকরে ঠুকরে কবিতার ছবির
রঙ রস হৃদস্পন্দন খায়।
গোগ্রাসে যারা গেলে তারা কবিতার
শত্রু । যারা ঠুকরে খায়, তাঁর এদিক ওদিক ঠিকরে পড়ে। তাদের জ্বালার আর অন্ত
নেই।' ( কা কবিতা? ) যেন সেই অবধারিত মৃত্যুর হাতছানি। তবু স্বরণ কলস্র সামনে ‘বিলম্বিত’ পতঙ্গের মতো অবস্থা আমাদের। এই হাতছানি অমোঘ, অবচেতনের। এই আকুল হাতছানি থেকে নিষ্কৃতি কোথায়?
‘কুয়াশা’
মলয়দা’র প্রিয়তম বিষয়। মলয়দা এক
সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যে ভাবে জীবন যাপন করি, অন্যদের সঙ্গে তো মেলাতে পারি না। শিল্পের দিক থেকেই বল আর জাগতিক দিক
থেকেই বল। এক এক সময় মনে হয় আমি কুয়াশায় মোড়া অন্যরা কুয়াশার বাইরে। আবার এর
উলটোটাও মনে হয়। আমি লিখে। গান গেয়ে, নাটক করে এই
কুয়াশাটাকে সরাতে চাই। এমনি একটি কুয়াশার সন্ধান পাই কবির প্রশ্নে, ‘আমি কি ঝাঁপিয়ে সাপ? মুঠি ঘোরাও যদি তুমি…’
। প্রশ্ন আমারও। কোনটা বেশি প্রয়োজনের। কবির কবিতা? না-কি কবিতাজীবন? না-কি দুটোই? এক অদৃশ্য দানব বালখিল্য করছে বাংলা কবিতা নিয়ে। তাঁর হাতে পড়ে কোনটা
সিদ্ধি পাবে প্রথমে? কবিতাজীবন সিদ্ধি পেতে হলে দরকার
মিথ্। যেটা বিনয় মজুমদার বা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে ছিল। বা কোনও স্ট্যাম্প্।
আমি অমুকদের প্রতিনিধি, আমি তমুকের প্রতিনিধি। এর দুটোই
যার জীবনে নেই, দানবটার তাদেরকে ঘোর অপছন্দ। নিতান্ত
অবহেলায় পাচার হয়ে যাওয়া গরুর মতো দু-একটা কবিতা হয়তো তাঁর সুস্বাদু মনে হল।
ব্যাস্। সেখানেই
ইতি। বাকিটুকু তাঁর কাছে মিইয়ে যাওয়া বিস্কুটের মতো। অথচ সৃষ্টিশীল কবির তাতে বয়েই গেল। বয়েই গেল কারণ কবি শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, থাকে সব, ফলের ভিতর বীজ, বীজের ভিতরে আরো পত্রশাখা… ( সবুজ বাগান)।
এমনই এক বীজের সন্ধান দিয়েছেন মনোবিদ কার্ল গুস্তাফ ইয়ুফ। ইয়ুফ মনের ব্যাক্তিকরণ বোঝাতে গিয়ে পাইনগাছের বীজের উপমা
ব্যবহার করেছেন। বীজের মধ্যে যেমন ঘুমিয়ে আছে ভবিষ্যতের সুবিশাল পাইনবন, তেমনই
মানুষের, বহির্চেতনায় ঘুমিয়ে আছে অন্য কেউ। সেই কি তবে
কবে? কি তাঁর নাম? নাকি ছদ্মনাম?
তিনি কি স্বামী? নাকি স্ত্রী?
কবির
অবচেতনে ও কবিতার কবিতায় গতি অনেকটাই বটগাছের শিকড়ের মতো। বটশিকড় যেমন তাঁর পথে হঠাৎ করে পাওয়া কোনও
পাথরকে অতিক্রমও
করে না,
আবার উচ্ছেদও করে না, বরং পাশ কাটিয়ে
নতুন মাটির দিকে এগিয়ে যায়, কবিমনও কি তেমন নয়? সে পথে প্রথম কে?
পুরুষ? নাকি স্ত্রী? সৃষ্টিশীলতার কি সে অর্থে কোনও লিঙ্গ হয়? অপরার্থে সৃষ্টিশীলতা
কি উভয়ক্ষেত্রেই প্রাসঙ্গিক নয়? এই বিতর্ক উঠত না যদি না পূর্ণিমা
গোস্বামী সেই অবিস্মরণীয় লাইনগুলো লিখতেন—
কে কবিতা লেখে? আমি না আমার স্বামী এই প্রশ্ন নিয়ে
খারাপ হাওয়ারা আমায়
রান্নাঘরে প্রবেশ করলে আমি আঁচল
দিয়ে ছেলের মাথা ঢেকে
দিই। সে তখন আমার যন্ত্রণার
লাল রক্ত থেকে তৈরি – হওয়া
সাদা তরল কবিতা পান করতে
থাকে। উত্তঙ্গ
হাওয়ারা ফিস ফিস করে। বলে,'তুমি কী
লুকালে? কী
লুকাএ তুমি?’ আমার নারী-লজ্জা হয়।
হাওয়ারা কী পাষাণ গো!
( কবিতার স্পষ্ট)
( কবিতার স্পষ্ট)
এই অন্তরঙ্গ লাইনগুলো
পড়েই দানবটি হতচকিত হয়েছিল কয়েকদিন। যেন বয়ঃসন্ধির প্রথম মুহূর্তগুলো এক ঝটকায়
ঘটে গেল তাঁর জীবনে। দানবটা পরিণত হয়ে উঠল। প্রথম প্রেমের প্রেমিকাকে খুঁজতে পাগল
দানবটা একদিন চেপে বসল বনগাঁ লোকালে।
কনুইয়ের
গুঁতো খেয়ে ওভারব্রিজ ক্রশ করতে করতে দানবের দূত মিলিয়ে নিচ্ছিল ঠিকানা। এ
অন্তরঙ্গ মানুষটি তখন লিখছেন—
স্বামী তখন অন্য ঘরে দু’মুঠো চাল নার জন্যে এর ওর
জীবন ছেনে পাতার পর
পাতা লিখে চলেছেন গদ্য। উনি
আধ মরা শব্দকে ছন্দের
স্টেরয়েড দিয়ে কবিতা রচনা করবেন
কি না জানি না ।
কিন্তু আমি উষ্ণ হাওয়াদের সঙ্গে
নীরব যুদ্ধ করে আমার
স্তন থেকে বের হওয়া সাদা কবিতা
ছেলের ভেতরে পুরে
দিই। ধীরে ধীরে ও আমার জীবন্ত
কবিতা হয়ে ঘরের মধ্যে
গঙ্গা ফরিং-এর মতন লাফাতে থাকে।
( কবিতার
স্পষ্ট)
কবিতা তো আসলে
মাতৃদুগ্ধই! এই লাইনটি পড়েই সেদিন নিশ্চই দানবটা ভেবেছিল, ঈশ্
! এই লাইনটি পড়ে আগে কেন কেউ ভাবল না। এতটা আন্ত্রিক মাতৃত্ব থাকতে পারে তো শুধু
একজন নারীরই। সেই মাতৃদুগ্ধই তো পাঠককে জীবন্ত করে তুলেছে প্রতিমুহূর্তে। একজন
নারীইতো পারে? একজন নারীই কি শুধু পারে! প্রাচীন ইয়ুরোপিয়
আলকেমিস্টদের ডায়েরিতে এমন এক নারীর উল্লেখ পাওয়া যায়। সে নারীর নাম ‘অ্যানিমা’ । পুরুষ মনের মধ্যে লুক্কায়িত নারী। এমন নারীসত্ত্বার
উপস্থিতিকে মনোবিদরাও স্বীকার করে নিয়েছেন। এমন নারীসত্ত্বার উপস্থিতি পাওয়া যায়
ডান্তের ‘প্যারাডাইসো’ তেও!
সেখানে অ্যাপুলিয়াসকে দেবী আইসিস অন্তর্চেতনা হয়ে আধ্মাতিকতায় উদ্বুদ্ধ করেছেন।
ইয়ুৎ এই ‘অ্যানিমা’ র চারটি
স্তরকে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রথম স্তরে ‘ইভ’। সেখানে
নারী শুধুই কামনা। দ্বিতীয় স্তরে ‘হেলেন’। সেখানে প্রেম আর সৌন্দর্য মিশে
যাচ্ছে ওতপ্রোত। তৃতীয় স্তর ‘মেরি’। প্রেম
সেখানে ঐশ্বরিক। চতুর্থ ও চূড়ান্ত
স্তরে ‘সাপিয়েন্সিয়া’। পুরুষমনের সেই নারী সেখানে পবিত্রতা ও প্রাজ্ঞতায়
উত্তুঙ্গ পর্যায়। কবি মলয় গোস্বামীর ‘অ্যানিমা’ , কবি পূর্ণিমা গোস্বামী এই চতুর্থ পর্যায়ভুক্ত। জাগতিক ও প্রাথমিক
দ্বিধাগ্রস্থতা কাটিয়ে তিনি পবিত্র নারীত্বের প্রতিনিধি। অথচ মিনশে দানব এসব না
বুঝে , দাঁত খুটে, ইছামতীপাড়ে
রোদন রোদন করতে করতে সেদিন ফিরে গিয়েছিল। এক মুহূর্তের জন্য সে বুঝল না, কুয়াশার ওপারেই
হাতিমতাইয়ের গুপ্ত সাম্রাজ্য অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য।
স্বনামধন্য কবি বিভাস রায়চৌধুরী একটি গদ্যে বলেছেন, মলয়ের
দেখাটা বেশ অদ্ভুত। বোঝা যায়। গাছের পাতাকে তৃষ্ণার্ত জিভ্মনে করেন যিনি, তাঁর জীবনে নিশ্চিত ‘না-পাওয়া’ এবং ‘অপেক্ষা’ আছে।”
কবি মলয় গোস্বামী যে ভাবে আছিলায় বলে দেন ‘কে বলে ছন্দে লিখি? পশুর মতো গন্ধে লিখি?' যে অনাকৃষ্ট ছন্দে পুরনো ডাক্তারি প্যাডে লেখা একগুচ্ছ অপ্রকাশিত
কবিতা অনায়াসে বের করেন বিছানার গদির তলা থেকে, অথচ প্রতিটি স্তবকে, ছন্দে, কৌমুদীতে যাঁর ছন্দমাত্রিকতা, ধ্রুপদ ও
ব্যঞ্জনার সহাবস্থান, সেই কবি মলয় গোস্বামী ‘কবিতার স্পট’- এ পূর্ণিমা গোস্বামীর জন্ম দিয়ে
কবিতা মননের একটি বৃহত্তর দরজায় কড়াঘাত করলেন। যে প্রজ্ঞা একমাত্র কোনও ‘নারীবাদী’ কবিরই থাকা স্বাভাবিক, মলয়দা সেই গোপন শক্তি
কীভাবে হরণ করলেন, এ
কথা বিস্ময়ের! তবে অসম্ভবের নয়। এ কাজ কবিগুরু করে গেছেন বটে। “তুমি
একটু কেবল বসতে দিও পাশে” অথবা “ওহে অন্তরতম, মিটেছে কি তব সকল তিয়াস আসি অন্তরে মম?” এই
লাইনগুলোতে কোনও কবির
নামোল্লেখ না থাকলে ‘অজ্ঞানী’ পাঠক একে ‘নারীবাদী’ কবিতা ভেবে বসতেই পারেন। কবি মলয় গোস্বামী
সৃষ্টিশীলতার সেই আদিমতম সত্যে সহোদর, সহচর
বাদুরদের বাঁচাতে কোনো বাদুর রক্তগিরণ করে। যাকে জৈববিদরা ‘অলট্রইস্ম’ নাম দেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘সঙ্গীত’ নামক প্রবন্ধে বলছেন , সংসারে কখন নির্দোষ
সুন্দর মনুষ্য পাওয়া যায় না; যত মনুষ্য দেখি, সকলেরই কোন না কোন দোষ আছে, কিন্তু সে সকল দোষ
ত্যাগ করিয়া , আমরা সুন্দরকান্তিমাত্রেরই সৌন্দর্য মনে
রাখিয়া, এক নির্দোষ মূর্তির কল্পনা করিতে পারি এবং তাহা
মনে কল্পনা করিয়া, আমরা নির্দোষ প্রতিমা প্রস্তরে গঠিত
করা যায়। এইরূপ উৎকর্ষের চরম সৃষ্টিই কাব্য, চিত্রাদির
উদ্দেশ্য। কবি পূর্ণিমা গোস্বামী তাই কবি মলয় গোস্বামীর
থেকে অভিন্ন। এ-এক কাকতালিয় ঘটনা যে কবিপত্নিও একই নামে খ্যাত!
‘মনখারাপের
বিলম্বিত গরু’-তে যে ব্যাঙ্গ হাস্যরসাত্মক বিশ্বরূপ আমাকে
সম্মোহিত করেছিল, সেটাই ভাঙতে ‘কবিতার
স্পট’- এর শেষ কয়েক লাইন তুলে দিলাম।
ওগো,
কে কবিতা লেখে? তুমি, না আমি?
স্বামী রুগ্ণ চোখে
আমার দিকে উঁচু করে তাকালে তাঁর চোখ
দিয়ে ঝুর ঝুর পড়ে
শনিবারের ফিচার, বানানো গদ্য,
ক্রাইম থিলার আর চোখের জল!
আমি যন্ত্রণায় তিলে
তিলে মরতে মরতে তিল হয়ে
বাংলার
আধুনিক কবিতা-সংগ্রহগুলির উপর উড়তে থাকি।
তারপর স্বামীর ভেঙে
-যাওয়া মুখের উপর বসি। ভাবি -বাংলা
অন্তত একবার ভাবুক
আমার স্বামীর মুখে একটি জীবন্ত
কবিতার স্পট রয়ে
গেছে।
![]() |
ছবিঃ সৌরদীপ্ত চৌধুরী |
মন্তব্যসমূহ