দৃষ্টি বিভ্রম
নিরুক্ত জীবনের শিল্প ফোটে গুহার দেয়ালচিত্রে
নারী বা দেবী যেথায় ছায়া-বাস্তবতা
করপুটে থাকে যার মৃত্তিকা, রঙে ভরা
পট—
সময়ের আধখানা চাঁদ এপারে পুড়ে যায়
সূর্যের দাপটে গলেও যায়,
বাকিটা ওপারের দখলে; স্বত্ত্বহীন
জ্বলে যায় জুম পোড়ানো উৎসবের বাজি।
সন্ধ্যার হাওয়াই ওড়ে—
মুহুর্মুহু করতালি আর আর্তনাদের দেহে
অনার্য দর্পিত বিম্বে ঈশ্বরের ছায়া কাঁপে
চোখে চোখে নেশা ওড়ে
ওড়ে সিডেটিভ ঘুমবাতি।
ফটোগ্রাফি
গ্রন্থির মালসায় আঁকা থাকুক আঁধার ছাপ
চাঁদেরও কলঙ্ক যা আছে তাই থাকুক
ইন্দ্রজাল থেকে কখনোই ধার করবো না প্লাস্টিকের ফুল
তার চাইতে যতক্ষণ বিবেক আছে ভুত হয়ে বসে থাকবো!
অন্য রূপান্তরে তুলসীতলায় কেউ একজন হয়ে কান্না করো না
তুমি আমার সমর্পণ বোঝো নি নিষাদ—
দ্বন্দ্বের সন্দেহে ডুবিয়ে রেখেছো আত্মার ভালোবাসা
তাই, বন্ধু স্পর্শের সাবলীলতাকে
আলাদা করতে পারছো না।
ভুল বিজ্ঞাপন টানানোর ইচ্ছে হয়নি, যেমন—
‘তোমার ডানার নীচে ঘুমিয়ে আছে হাইড্রা।’
চোখের অভ্যন্তরে চোখে জেগে থাকা রঙধুন আঁকো
তবে হ্যাঁ, ভ্রমণ শুরু করবার
আগে পরিণতির ম্যাপ দেখে নিও
নুনের সৌন্দর্যে নাবিকটি পুরাণ ঐতিহ্যিক
বরফ নৃত্যের ওঙ্কারে নৌ-যুদ্ধের
সাহসী সি-গাল!
ব্যাপক বিচ্ছিন্নতার ফটোগ্রাফি আমি করবো না।
কেনো না
বায়োগ্রাফি’তে সন্তের তৃষ্ণার্ত
অগ্নিক্ষরা চোখ
বাস্তবতা বিবর্জিত স্বপ্ন দেখে না
এই দিন হোম, এই রাত্রি ট্যাবু।
ফাঁক-ফোকরের দৃশ্যাম্ভন্তরে চোখের
ওপর চোখ রেখেই বললুম
কিউবিক ধ্বংসচিত্রের অন্তরালে
আত্মজদের ক্ষতির কারণ হবো না
ভালোবাসি না, কখনোই বলবো না।
মন্তব্যসমূহ