দুটি কবিতা
১
আ বলতে আকাশ না রে, আলাজিবের ডগা,
নিরুত্তরের মেরু থেকে দেখতে আছে বগা।
এতটা লাল এতটা লাল এতটা লাল যে
কেটে যাচ্ছে ঠোকর দেবার সমূহ তাল যে!
অনেক নীচে নদী, তার আরও নীচে মুখ,
সাংবাদিকে চিল্লিয়ে কয়, 'হোয়াট
আ আউট লুক!'
না বলব? বলতে গিয়ে নারাঙ্গি ডাল কাঁপে,
আমার একটু ভাল্লাগছে তিন নম্বর ধাপে।
সাত তলাতে যেতে হবে, তার উপরে নাই,
হেথায় আমি চাদর পেতে বিছানা বানাই।
দে বলতে ইচ্ছা ছিল, বাড়েন যদি দেনা,
যদি আমায় ডুবিয়ে দেয় পিতৃকুলের সেনা।
বা বলতে বাহাস চলে হৃদয়পুরের হাটে,
কি ধোয় ওটা রক্তমাখা পুষ্কুরিনির ঘাটে।
গমক যখন আরম্ভিল, দম্ভিল দুই ডানা,
মাইটোকন্ড্রিয়ার বুঝি বন্ধ হল গানা!
২
নাস্তি-সুডৌল ব্যাধি- হ্লাদ-ক্রিয়া, মোটেও বিভু
না,
তারই ঢঙ ধরে আত্মস্বার্থে মৌনাবিরাম
ঝরছে অরেঞ্জ কত- আবার কি হবিগঞ্জ
যাব!
বৃথা এই যাত্রা আমার- এও বটে বঙ্গ বিদেশ,
রাস্তায় কত লোক দেখি, কেউ তো রুমা না,
হলে, হিল্লোল জাগত মনে, আহা সেইরাম!
এখন এ বৃত্ত বিধানে রহনিয়া আমি পস্তাব।
না নামিয়ে উতল চশমা পাহারিকা নির্ঝরা কেশ,
খাচ্ছ রঙ্গমঞ্চে দোল, আলোতে কি বিকট
তমসা!
এসবে ইস্তফা দিয়ে বরং দেখি গে’ চল অকাল বরষা...
মন্তব্যসমূহ