অরোরা, তুমিও ঘাসফড়িং হও
প্রতিসন্ধ্যায় শীত-আঁধারের হাতছানি; আমি হয়ে উঠি
অশ্রময় টিথোফাস
দেখি, মধ্যাহ্নের ধুলোয় হাঁড়ের বিস্তৃত বাহু
অবসরের নীরিহ চুম্বনে অবসন্ন স্বাদ
আমি কম্পিত ঠোঁট বয়ে বয়ে একা হয়ে যাই
কামনার যতটুকু; কবেইতো হয়েছে শেষ
হাঁড়ের জঙ্গলে ফোঁটা ফোঁটা অশ্র তোমার বিষাদের
ছায়ানিবাস; তবু কেন প্রার্থনা শান্তির পরিমিত আশ্রয়?
অরোরা, তুমিও হয়ে ওঠো ঘাসফড়িংয়ের বিস্তীর্ণ মাঠ
অথবা শরীরের মরমী গান
ভাঙনের গীত ছেড়ে এসো পূবের জন্মে হাঁটি
সমান্তরাল...
বন্দীত্বের রোজনামচা
গচ্ছিত ভাবনায় মিশে থাকে আকাক্সক্ষার স্যানাটোরিয়াম
পায়ের তলায় অতল জলের কোরাস
জীবন আর মৃত্যুর মধ্যখানে
নির্বাপিত বুক নিশ্চল গোপন ভিজিয়ে রাখে
বিধ্বস্ত জাহাজের ছবি আঁকে;
মেঘের সৌর্যে
পাঠ করে ঝড়ের আর্তনাদ
কারার অশ্র“তে উঠে আসে নিষিদ্ধ ভায়োলিন;
কনডেম্ন্ড সেল-এর ঝুলন্ত জিহ্বায়
অসংখ্য নক্ষত্র মরে যায়
আর নাগরিক চোখ অগনিত প্রতীক্ষায় বিশ্বাস জাগিয়ে রাখে।
দ্রোপদী হাত
আরাধনার রাতে তুমি ডাকলে আমি স্বর্গভূক হয়ে যাই
দিনের আলোয় নিভে থাকি সৌর্র্যের ব্যবস্থাপত্রে।
হাসপাতালের বিছানায় প্রতি সন্ধ্যায় বিহ্বল বাতাস
গড়িয়ে যায়
প্রসন্ন হাসির সেবিকা বাড়িয়ে দেয় দ্রোপদীর হাত...
এমন সন্ধ্যায় তুমি ডাকনি বলে অ্যাপ্রনের শুভ্রতায়
লুকানো স্তনে তোমারই স্পর্শ খুঁজি;
পেতে চাই শামীম স্মরণীর স্বপ্ন-বিকেল
মন্তব্যসমূহ
টিথোফাস- টিথোনাস
সেৌরের- সেৌর্যের