উত্তম পুরুষ
তোমার
বাঁদিকে এক বেশ্যালয়,
ডানে ধর্মসঙ্গীত, মন্দির
পিপাসার
পাকদণ্ডি বেয়ে তুমি মাঝামাঝি, আছ প্রথাবন্দি
মাস্তুলে
তুফান এসে অশনি-সংকেতভরা মেঘকে পাঠাক
চুম্বক
দুদিকে টানে, সমুদ্রবণিক জানে কম্পাস কাঁটাকে
সামাজিক
মানুষেরা পর্দাঘেরা,
টালিছাদে টেনে রাখে আব্র“
মধ্যপন্থী
পায় গন্ধবহ সঙ্গম-তাড়না; বীর্য আর ভ্রুণ
বাঁদিকে
রহস্য-বন, নরক দরজা আর ডাইনীর সভা
মায়াগৃহ
খুলে মধ্যবর্তিণী পেতেছে গোলাপি বেডকভার
গির্জার
চুড়োকে ছোঁও, মাংসের পলল স্তরে দূর্গ গেড়ে বস
ডানের
সন্ন্যাস আসে, রুদ্রাক্ষের মালা হাতে গেবুয়া বসন
তোমারই
দেবালয়, বেশ্যাপাড়া, মসজিদ... শেষ আর শুরু
নারী
অধঃস্থিত, রুদ্ধ; সর্বত্র প্রবেশ্য তুমি উত্তম পুরুষ!
জন্তু
তোমার
জন্তুকে বলো, আচমকা এভাবে সে যেন দাঁত না বসায়
ওটা
কতদিন পর এভাবে ছিঁড়ল প্রেইরীর ঘাস?
বিদ্যুতের
লতাজালভর্তি অবগুণ্ঠিত ঝরোকা,
তাদের
সময় দিতে বলো উন্মীলনের,
ক্ষতচিহ্ন পেতে
এইতো
সাজানো ফল উন্মোচিত,
একা
সে
কি নিতে পারবে সৌরচুল্লীতে জন্মানো ধাতুমঞ্জরী,
শূন্যে
তোলা দু’পা, প্রাচীন মহেঞ্জোদারো অথবা হরপ্পা
খুঁড়ে
বের করে আনো চাঁদ, ধারালো চোয়ালে
তোমার
জন্তু কি যেতে পারে অতটা পাতালে,
যখানে
তৃষ্ণার্ত চিতা উন্মুক্ত করেছে বুক?
তোমার
জন্তুকে বলো খুবলে রক্তাক্ত করবার আগে
আরো
একটু ধ্যানী হতে, জ্ঞানী হতে
এমন
গতি ও তাড়নায় ভয় পায় আধবোজা ছোট সে ঝিনুক!
মন্তব্যসমূহ