আহমেদ মেহেদী হাসান নীল

নষ্টের সমুদ্র
এভাবেই, বলো?
কতো তছনছ গেলো, কতো ক্ষরণের আভরণ বুকের ভেতর
একবার ফিরেও দেখোনি
আমার সারল্য আর বেদনার্ত ব্যাপক ভাঙন নিয়ে
মুখে হাত টিপে খুব হেসেছো খেলেছো শুধু
আমার একটা পোড়া কপালের উপর বারবার ফেলেছো লবণ-ঝাল
এর ওর কানে আরোও কতো কী খুঁটিনাটি বলেছো তাচ্ছিল্যে
তবু আমি অবহেলা বুঝিনি

এভাবেই তোতাই না, বলো?
তুমি অতিরিক্ত তর্ক করে সুখি হয়েছো
আর আমিও কম যাই কীসে?
মাত্রাতিরিক্ত জেদ নিয়ে হোয়ে গেছি সমূলে নষ্টের সমুদ্র!
সেই সমুদ্র আমার রগে রগে খেলে যায় দামাল নেশার হিম
এভাবেই তোতাই না, বলো?
খুব ভাঙচুরে আমি ক্যামন বিনাশ, চুল ছাড়া দাড়ি ছাড়া তুমুল সন্ন্যাস
ভালবাসা-কামান-গোলাপ যতোবারই দিয়েছি নতজানু হয়ে
ততোবারই করেছো দাঁতে দাঁত চেপে ঘোরতর অসহ্য-ঘৃণা ভয়ঙ্কর অপমান
কিছুই বলিনি শুধু মুর্হূমুর্হূ বিপদ নিয়ে সরেই এসেছি
এভাবেই , বলো?
তুমি হয়েছো কঠিন সুখি বেঁধেছো বাসর সংসার
আমার তো সমস্ত সত্তায় নিরব তুফান; নেই কোনো ঘর

অগোছালো ছন্দ-

পালিয়ে যাবি?
কোথায় যাবি উঠোন ছেড়ে?
হৃদয়পুরে কড়া নাড়ে
হৃদয় ছেড়ে অনেকদূরে ...
পারবি যেতে?
কী ভাবছিস?
আমার ভাবের ভাবনা নিয়ে?
পরের ঘরে থাকিস বলে
সিঁথিতে সিঁদুর মাখা বলে
পর হয়ে গেছিস?
দূর পাগলি !
পরের ঘরে আছিস বটে মনের ঘরেও থাকিস
মনের ঘরে থাকিস বলেই পরের ঘরে আছিস|

আগুনের ফড়িং

কে জানে কী আছে এই নষ্টের কপালে
দুহাতের নিবারুন তালুতে জাদুকরি ভঙ্গিমায়
গুছিয়ে গুছিয়ে প্রেম ভালোবাসা
বছরের পর বছর গুপ্ত রেখেছি উষ্ণতা-দরদ
যদি ভালো না লাগে তোমার?অস্বীকারও তো করতে পারো!
ভয়ে ভয়ে তাই একটু অস্থির
দেবার সময় সত্যিই কী প্রসারিত করতে পারবো সব ফুল-
দশটি আঙুল?
উঁকিঝুঁকি পায়ে সত্যিই যদি চোরের মতোন সহজে আত্মসমর্পণ
না করি?পালিয়ে গেলে সভ্যতা ছেড়ে?
ফোঁটায় ফোঁটায় এতো উতলানো আদরএক ফোঁটা দু ফোঁটা থেকেই
আস্তে আস্তে সমস্ত পর্বত জুড়ে ছিটিয়ে পড়েছে প্রেম
কে জানে তার কোথাও কমতি হয়েছে কি’— না?
তা না হলে এই অদ্ভুত পর্বত অসন্তুষ্টের আঁকড় নিয়ে
মুখশ্রীতে ফুঁটবে কেনো তোমার?
এতো ভালোবাসা ঠেলে এনে হিমালয় থেকে
যদি পায়ের শুভ্রাতে না ঢলে তোমার?
চোখে মুখে তাই একটু লজ্জা,তাকাবো?নাতাকাবোনা?
তাকানোর সময় সত্যিই কী তাকাতে পারবো বরফে-
মমের মুখে?
কে জানে কী আছে এই নষ্টের কপালে
আগুনের ফড়িং রেখেছি হাতে
তোমার মুখ ধরলে তাই এতো লাফালাফি;ঘনঘন পুড়ে যাওয়া|





মন্তব্যসমূহ