নাজনীন খলিল


ছবিটা নিখুঁত হয়না

আবারো সেই হিমগন্ধের বিভীষিকা ,নিঃশ্বাস আগলে রাখা  কালো হাত।

মেঘের প্যাস্টেলে আঁকা  বহুবর্ণ ছবিগুলো উলটে পালটে দিয়ে
ছুটে যাচ্ছে উন্মাতাল এক মৃত্যুরং ঘোড়া ;
কিংকর্তব্যবিমূঢ় লাগাম-----

সময় কখনো ইজেরের কোমরে বাঁধা ইলাস্টিক ফিতে নয় যে
চাইলেই --- দীর্ঘ অথবা হ্রস্ব হবে ।
তবু
তীব্র জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কখনো বা ভেসে যাচ্ছে সময়ের কাঁটা

হতাশ্বাসের বিষবাষ্পে ক্রমশ  বিবর্ণ  হচ্ছে সবুজ পত্রপুষ্পশাখা ।


হয়ত নিখুঁত  আকাশের ছবি চাইছে এক বিফল চিত্রকর।



শেষ বিন্দুতে

শব্দতরঙ্গে কম্পন জাগে।
দূর দিগন্তরেখায় অচেনা এক বর্ণআলেখ্য------
কুয়াশা ভেঙ্গে অঙ্কুরিত হয়ে ওঠে একটা ছায়া অথবা শব্দ ।
কোথাও পাতার বাঁশি বেজে ওঠে ;
ধ্রুপদী সুরের মীড়ে মিশে আছে
এক অতলান্ত সবুজ ঘ্রাণের মতো নীরবতা ;
স্রোতস্বিনীঢেউয়ের মতো বিলম্বিত এক লয় গড়িয়ে যাচ্ছে
মহাসমুদ্রের দিকে ।


তুমি নুপুর নও ।
নদী নও।
রং-তুলিও নও ।
তবু বাতাসে পেন্সিল ঘুরিয়ে এঁকে নিচ্ছো এক শূন্যবলয়
সেই বৃত্তের ভেতরে আরেক বৃত্ত ;
এভাবে একটা বিন্দুতেই শেষ।এবং

স্থির।










মন্তব্যসমূহ