কবিতা,
তোমার জন্য
সানাই
বাজেনি, বাজেনি ঢাক।
না। উচ্চারিত হয়নি কোনো মন্ত্র।
উলুধ্বনি
দেয় নি কোনো এঁয়োতি
সামনে
ছিল না কোনও দেবতা
ছিল
না মন্দির, মসজিদ, গির্জা
কিংবা
প্যাগোডা।
কোলাহল
মুখরিত উদ্যানে
প্রজ্জ্বলিত
শিখা চিরন্তনী
একবিন্দুতে
মিলিত আন্দোলিত
দৃষ্টি
ব্যাকরণের
সূত্র ছাপিয়ে উপচে পড়া
হৃদয়
সামনে
শুধুই শিখা চিরন্তন।
কি
মন্ত্র জপেছিলে সেদিন?
আমিই বা কি পড়েছিলাম?
বলো, কি যায় আসে তাতে?
সময়ের
কাঁধে চড়া দিনরাত্রি
পেরিয়ে
হিসাব মেলানো
নিষ্প্রয়োজন।
শুধু
জানি-
গোঁধূলির
সেই রাঙা আলোর সময়টুকু
আমাদের।
সেদিন
থেকে তুমি আমার।
শুধুই
আমার।
সমর্পণ
রাতের
নিস্তব্ধতা তোমাকেই দিলাম
মিটিমিটি
জোনাকি আলো---তাও
দিলাম
প্রতিটি
নিশ্বাস দিলাম।
প্রজাপতি
মন আকাশ বানাও।
আমি
শুধু দৃষ্টিতে সৃষ্টির উল্লাসে
অশ্রুজলে
ভাসাবো হৃদয়
এভাবেই
পেরিয়ে যাবে অযুত নিযুত কাল।
আঁখি
নীড়ে ভিজে ভিজে গাইবো
অমরত্বের
গান।
মন্তব্যসমূহ