পলিয়ার ওয়াহিদ

রেসের ঘোড়া -

একপাল ঘোড়া উড়ে আকাশের সানসেটে খুরের আঘাতে আঘাতে রঙধরা আস্তরগুলো ধূলোয় ধূ ধূ পথ দেখা যায় না এমনকি ঘোড়ার মুখও না তবে ঘোড়ার ডানার অলঙকার বড় সাংঘাতিক রকমের বিবর্ণ এই ছবি কোন রঙের কাঠামোতে আটকানো গেল না জানালার ওপাশে ঐশির একটা মলিন ছবি চমৎকার ফিগার কিছুদিন হলো বাব-মাকে খুন করে সে জেলে এখন নাকি ধর্মে মাথা মোড়ায় আমার বরাবর হাসি পায় সময়ের কাজটা আমরা বড় অসময়ে করে ফেলি!

ঐশির পুলিশ অফিসার বাবা মা সেদিন নরকে জ্বলতে জ্বলতে বলতেছিলো মা ঐশি আমাদের খুন করে ফেল! হায় একি দুঃসময়!

রেসের ঘোড়া -

হাজার হাজার নাবালেক চোখ তাকিয়ে আছে রেসের মাঠে গোলাঘাটের মাঠে এসেছে কালাপাহাড়, সাদ্দাম, লাকি, বিউটি এরকম নান্দনিক নামের সব দৌড়ের ঘোড়া একটা ঘোড়া আমাদের দূর-আত্মীয় কড়েখালী বেগমপুরের দবীর নানার দুরাত সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমলো আর ওর চাটি খাওয়ার ভয়ে আমরা বালক দূরত্ব রেখে চলে হাত দিয়ে বসতাম সত্যজিৎ রায়ের মতো ভাবনা নিয়ে রাতে আমার ঘোড়ার মতো ঘুম হতো না দেখতাম ঘোড়া দৌড়াচ্ছে আমি ধুলোর নিত্যে খুরের লয়ে হারাতাম তাবৎ ঘুম

শিমের ফুলে আলসেমির বিষ ছড়াতে ছড়াতে আমার উপলব্দি-- কেন রেসের ঘোড়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমায়!



মন্তব্যসমূহ