অরবিন্দ চক্রবর্তী


মধ্যরাতের মস্করা-

আকাশের যথার্থ দক্ষিনে বয়স টাঙিয়ে রাখুন
ফুলকিশোরীর হ্যান্ডবলের বৈকালিক ভক্ত আপনি
ছাপাপত্র নিয়ে অফিসে গেলেন কী মরলেন
ওয়ারড্রোপ খুলছেন তো দেখলেন স্ত্রী চমৎকার
                        হেট ইউ বলতে শিখেছে।

দেয়ালের টিকটিকি দেখবেন সংসার বিবাগী ব্যথায়
                               তুখোড় মনোযোগী।
আয়ু ঝরে যাচ্ছে, দগদগে কামরাঙার পাশে
আপনার ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু অসহায় চিৎ আরশোলা আপনি।

রিমোটকন্ট্রোল হাতে সিরিয়াল কেন খুললেন, প্রশ্ন
পাশবালিশ করার আগে সিলিংফ্যান আরি সেজে বসবেন।

আচ্ছা বাপধন, কোনোদিন আপনি যে দাবা খেলো নি
এ লজ্জা প্রতিরাতে মশারি ছড়ানোর ভাণে কে এসে উসকে দিয়ে যায়?

মধ্যরাতের মস্করা-

শরীর দেখা হলো। এবার সতর্ক করে নিই।

পা ফস্কে গেলে, মনে করা যাক আমাদের গাছে উঠবার অভ্যেস ছিল।

প্রতিদিন সবার পাশে কৌতুকপ্রবণ রাত্রি আসে। অথবা তোমাকে কোনদিন পেতে হবে--
এই বানোয়াট সান্তনায় কোলবালিশের সত্যে রাথে গুড়ো গুড়ো ঘুমের তামাশা।

যদি বলি ভয় পেলে অরোহীগণ, স্বপ্ন তাড়ানোর ছলে ঘুম কেন তাড়ান? ভোর রাতে দরজায় রোদ
ওঠাবার নামে থার্মোমিটারবিহীন যার যার গায়ে কেন বাছেন জ্বরের উকুন।

লোকটা পালাতে চাইবে। অথচ সাহস করে জানতে চাইবে না
টিকটিকি ছুঁলে লেজ কেন ঝরে যায়!

মধ্যরাতের মস্করা-

যে কোনো নামের পাশে রাত্রিকে রেখে, তাহাদের বিড়ালটা শুধু শরীরের প্রসঙ্গই তুলল।

শিকে থেকে লাফিয়ে পড়ে, কথা দিল আদি পুঁথি অথবা অতিদীর্ঘিকা লিখবে।
যা লিখল তা আসলে আমাদের নাকের ওপর নরুন ঘোষজাতীয় পাঠকেরা নিশ্চয়ই
                                                                               জেনে রেখেছেন।

তবুও নাটকে, মাত্র দেয়ালকেই জাতির সামনে শেয়ানা পাগল সাজিয়ে
                              একজন কাহিনীকার
                                                   হতে চলছে রূপশ্রীকাতর,
                        গোপনে গোপনে হাসির সুতোয় লেলিয়ে দিচ্ছে গোয়েন্দা তামাশা।

আর কিছু বেকুব অতিমানব পবিত্র কামরাঙার হাঁটুতে বসে
                                                   একটা ছোটগল্পই এগিয়ে নিতে পারছি না।
আমার একজন একজনই আছে

সবুজ ভয় স্ক্রিপ্টে রেখে শহরের পাশ দিয়ে যাচ্ছি
আবেগের ঠিক বাম ঘেষে গ্রাম যায়...

একজন পরিযায়ী আলোর চোখে আঙুল তুলে
সে নদীই দেখাচ্ছিলাম...

ভয়, আজ আপনাকে খুব আদর ইচ্ছে করছে
আদর, আজ তোকে খুব আবেগ দেখাচ্ছে
নদী, আজ ক্যানভেসারের কথাবাক্সে ঢুকে যা

অথচ ভয় আদর নদী কাউকেই তুমি লাগছে না

তাহলে অসুখগ্রস্থ আনন্দ, রক্ত নয়
জলটিলা সাজিয়ে পত্তনের খুব উঁচুতে দাঁড়িয়ে
আপনাকেই বলছি,
                  
                     আমার একজন তুমি আছে
                     আমার একজন ঘর আছে
                     আমার একজন সরোদ  আছে  
                     আমার একজন তুমুল হেমন্ত আছে।
চিড়িয়াখানা বিষয়ে একখানা স্ক্রিপ্ট

ছেলেটির কথা হলো, অডিয়েন্স সায় দিল না।

স্ক্রিপ্টে ছিল চিড়িয়াখানার হালুমের চরিত্র
সিংহ আর ক্যাঙারুর পার্থক্য বিষয়ে পড়াশোনা কম,
                                  আমি হাড়গিলা চিনি।

আবাসিক হোটেলের কেয়ারটেকারকে ডেকে
দরজায় গিয়ে বললাম,
                         ওদের চা-নাস্তা খাওয়াতে।
ভয়খানায় ঢেকুরপেটুক বলে আমার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে
ফলে,আজ ভালুকের সঙ্গে ডাইনিং শেয়ার করছি না।

একদিন তাকে আমলকির পাশে অসহায় দাঁড়াতে দেখেছি
আমি সেই রঙধনুদেখকের চোখে একগাদা বুঁদবুঁদ ছিটিয়ে বুঝেছি
                               অন্যের প্রসঙ্গ তোলা মানে,
তোমাকে নিয়ে ননস্টপ ক্যানভেসারের ভূমিকা করা

নির্বাচনী এলাকা ২

মাথার ভেতর বাঘ বসিয়ে দিলাম।
নখসূচক ভাবলে রাতের ওমেনহোল থেকে থ্যাতলা
জখম, ১টা পলিব্যাগ, ১ জোড়া স্লিপার
অথবা হলুদ গন্ধ যুক্ত সন্দেহ জেগে উঠবে।

একজোড়া পা রাস্তা চষে খাচ্ছে
লাল হোন্ডা পেট্রোলের নির্দেশে ঝিম ঝিম উড়ে গেল
মিউয়ের বিরুদ্ধে হালুম তারস্বরে আদর বুলিয়ে ধুমধাম নিরামিশাষি ক্লাস নিচ্ছে।
এবার নড়েচড়ে বসলে ঠিক বোঝা যাবে
বিছানায় উঠে এলো যা আসলে তা সাপ কিনা।
খুব ক্লান্তি এলে পাশবালিশকে প্রজাপতি
বিষয়ক সিনে আখ্যান শোনাবো।

হুট করে মনাঞ্চল হয়ে বুঁদবুদ তুললে
শুধু বলবো, চুপ, জাতীয় সার্থে আমরা সকলে চুপ।  

  



মন্তব্যসমূহ