সম্পাদকীয়

      একটি শব্দ যা ধারণ করে কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল, মানবগোষ্ঠি, শ্রেণির যাপনের ইতিহাস। শব্দটির ব্যবহার কেন করছেন তার শব্দচয়নের অভিপ্রায় বুঝে নিয়ে বুঝে নিতে চাই তার সামাজিক একটি  সংকলন যে ‘সম্পূর্ণ’ অর্থে সম্পূর্ণ হতে পারে না তা স্বীকার করেনিয়ে কিছু দায় স্বীকার ও  দায় এড়ার কথা বলি। এই সংকলনে বাংলাদেশ পর্বের যে লেখাগুলো সংগ্রহ ও সংকলিত হল এরবাহিরে যে আরো গুরুত্বপূর্ণ লেখা থেকে গেল না, তা অবশ্যই নয়। বরং কয়েকজন কবির কবিতা এসময়ে কবিতার বুননে নব্যতা আনতে সচেষ্ট ও আংশিক সফল যা সমসময়ের সাথে তুল্যে স্বাতন্ত্র (Significance) দাবি করে। সেগুলোরএখানে থাকা জরুরী মনে করেছিলাম। কিন্তু, কেউ উন্নাসিক, কেউ এটাতে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করতে আগ্রহী হননি, কেউ কবিতার বিনিময়ে অর্থ দাবি করে দূরে থেকেছেন (যেহেতু, কবিদেরকে অর্থপ্রদান করে কবিতা নিয়ে এখানে স্থানদানে সম্পাদক অনাগ্রহী ছিলেন), কেউ সাহিত্যঘারানার রাজনৈতিক গোষ্ঠিবলয় ভাঙতে নারাজ থেকেই এপ্রচেষ্টাকে তুচ্ছজ্ঞান করেছেন। সুতরাং এ সংকলন সম্পূর্ণ নয়।
      মেধাবী নয়, এমন কেউ নয়; কিন্তু কেউ তো কমবেশি বিকশিত। তারও কারণ নানাবিধ সুবিধা প্রাপ্তি ও সুবিধা বঞ্চিতের। সুতরাং পাশাপাশি রেখেএইসব দুর্বলতা বুঝে বোঝা যেতে পারে রাষ্ট্রীয় রাজনীতি কীভাবে ভাষারাজনীতির প্রেক্ষিত রচনা করে, কীভাবে অপুষ্টমেধার সাথে শোষণের ইতিহাস আশ্লিষ্ট হয়ে যায়, বঞ্চনার ধারাটি কীভাবে সংগ্রামকে উসকে দেয়, এইসব। এই সংকলনকি এই প্রশ্নসমূহের উত্তর দেবে না? যদি দিতে ব্যর্থ হয় তো তারও কারণ খোঁজের প্রেক্ষিত কি এই সংকলনটাই সূচনা করতে পারবে না। মূলত আমাদের প্রচেষ্টা, আপাত ব্যর্থতা যদি হয়, কোনো একদিন ইতিহাস বীজ হবে। সকল পাঠকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন!

                                                          শামীম সাঈদ



  
  

মন্তব্যসমূহ