ভাগ্যধন বড়ুয়া


নীলগিরি পর্ব : এক

দ্বিমাত্রিক রোদ খেলা করে পাহাড় মেঘে
বিচ্ছুরিত রেশ থাকে কৌতুহলী চোখে
পথ মাপে পায়ে পায়ে মেঘের ভ্রমণ
সংক্ষিপ্ত বাজার শেষে নিজস্ব ডেরায়...

ঢেউয়ের চূড়া জুড়ে ধোঁয়া উড়া কাল
আমাকে আবিষ্ট করে আমলকী শাখা
জুমের বাড়ন্ত বেলা শালিকের মেলা
চিহ্নিত বিচিত্র ডাক কান পেতে শুনি...

রেখেছি নিমগ্ন মায়া মেঘের ঔরসে
এঁকেছি কল্পিত রেখা অখণ্ড পাথরে
বার্তা নিয়ে কানাকানি জনপদে ভীড়
এতদূর কারা আনে গোপন বাসনা!

হরদম ঘোষণা করি পাহাড়ী প্রেরণা
অবিচল স্থির থেকো বেদনা নেড়োনা...
নীলগিরি পর্ব : দুই
মিথুনে প্রমত্ত মেঘ পর্বত চূড়া
পুলকিত পুষ্প বৃক্ষ আর মাটি মাখা লতা
লজ্জাবতী উঁকি দেয় পাহাড়ের পিঠে
ঘুঘুর আওয়াজ বাজে উপত্যকা জুড়ে...

বৈসাবি আসার আর বেশী দিন নেই
জুমের ফলনে পাই পিতার পরশ
পাহাড়-পাথর-মদে জমাট জীবন
নড়ি না; জমাই কথা বুকের খাঁচায়...

সরল চাহনি জুড়ে অহিংস আভাস
ভূমিপুত্র রোদে পুড়ে আর জলে ভিজে
খোরাক জোগায় রোজ হাড় জোড়া দিয়ে
পেটে-পিঠে লেগে আছে লাল মাটি দাগ...

অবিভক্ত মেঘে মেঘে বেলা হলো পার
কখনো আলোকচ্ছটা কখনো আঁধার






মন্তব্যসমূহ