লিপিবদ্ধের অপেক্ষায়
মানুষের
যত পিপাসা গড়িয়ে যায় তা কেউ যদি লিপিবদ্ধ করতো
তৃষ্ণাব্যস্ত
রাতে কাঁটা ভেঙে খসে পড়তো পদ্ম তার পাঁচটি অসীম আঙুলে।
কাঠ
কাঁটার পর কাঠুরির, ঢেলা ভাঙার পর কৃষকের
দীর্ঘ
তমসা ভেঙে মন পথিকের কি মানসিক তৃপ্তি!
দুর্দশাই
তাদের শেষ কথা নয়, তবু আমরা শেষতক দাঁড়াতে পারিনা
বেঁকে
থাকি দুর্দশার ভারে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চুমুর কি ক্লান্তিবিষ জমা হয় অন্ধকারের নখে
কোন
প্রেমিকের আশাতুর বুক খতিয়ে দেখেনি তা অন্তিম সাহসে।
কেউ
লিপিবদ্ধ করে যায়নি জলরঙের কি সমার্থক
কত
নিভৃত পিপাসা প্রেস থেকে ছাপা হয়ে মিনিট কয়েক উষ্ণ থেকে মলাটের আচ্ছাদনে
মনখারাপের
উপকরণ হয় অসংযতভাবে,
সেই সব খবর সাংবাদিকরা পায়না।
কত
ক্ষুধা-তৃষ্ণা সাপের মতো পেঁচিয়ে রেখেছে নিসর্গকে
আমাদের
বাস অযোগ্য মৃত পটভূমিকে।
কর্ণফুলী
তুমি
আমি কথা বলি, শুনছে কেবল কর্ণফুলী
নৌকার
ইঞ্জিন শুষে নেয় লোভনীয় সংলাপ
শব্দ
পাচ্ছিনা, ইশারায় পরস্পর ভাবের উৎস খুলি।
তুমি
আমি চোখে চোখে বন্দী,
উদ্ধারের ডাক দিতেই ছুটে এলো কবিতার পঙক্তি।
জলে
মুগ্ধতা ছড়িয়ে সাঁতরে যায় কচুরি ফুল
কবির
জন্মগত নির্জনতার মতো সুন্দরের শক্তিও জন্মগত।
তুমি
আমি অহরহ ডুবছি অথচ জীবন্তের দলে
খানিক
থেমে সূর্যের আত্মহত্যা নৌকার পেছনের জলে।
তুমি
আমি নিঃশ্বাস ছাড়ছি হৃদস্পন্দন জাগে কাঁকড়ার দেহে
তুমি
আমি সেতু গড়ে চলি; পার হয় সমাজ সংসার,
থেকে
থেকে বড় হয় বুঝে উঠার ফাঁকগুলি।
তুমি
আমি কথা বলে চলি। শব্দ
শুষে নেয় নৌকার ইঞ্জিন,
শুনে কেবল কর্ণফুলী।
মন্তব্যসমূহ