নৈরিৎ ইমু


কবিতাশীতপ্রেম প্রেমিকা

কুয়াশার চিঠি পেয়ে চলে যাচ্ছি শীতের দেশে রোদ আর বৃষ্টির ভাব হলে নগরে তোমার, লোকে বলে শেয়ালের বিয়ে! তখন তুমি মেঘের ওড়না সেলাই করতে বসো জানালায় জানি তাও ইচ্ছের ঘোড়া! আর ভুলে যেও- সেই যে শ্যামা মেয়েটা আমাকে জ্বালায় সারাক্ষণ, অথচ আমি তাকে ভুলতে চাই নি তার জন্য হৃদয় তোমার জেলাসের জেলিফিশ!

যদি নিশ্চিন্ত হতে পারো, হাতের রেখায় আমার আর কোন প্রেম নেই আমি কেবল অতিথি পাখির মতো উড়ে যাই শীতের কোলে প্রেমিক হলে শাদা ফুল ঝরে যায়, আমার হাতে- গলে পানি হয়ে যায় বরফের মাছ; নিজস্ব বন্ধু-সকল

শিশুতা পাঠ
আমিও গড়িয়ে পড়তে চেয়েছি নিশানা গর্তে মার্বেলের মতন...
খেলার সংসারে সবুজ ফার্নের নরম অংশের সওদা, মনে পড়ে? বুনোফুল ঘ্রাণে স্কুল পালানো সময়
ময়নার বুলি ফোটানোর শিক্ষক আমিতো কেবল চেয়েছি বলুক সে আমার নাম
বেত পাতা বাঁশির শব্দ কানে আসে... কাশি এলেই মিছরির দানা; বায়না মেলার
বিকেলের রোদগুলো মেলা চেনে, নাড়ু খায়, চড়ে নাগরদোলায়...
বেহেশতী খুশবু আসে, আজও সে, টিনের ছাদে শুকোতে দেয়া আচারের বয়াম হতে...
ডেকে যায় কমজোরি ব্যাটারির খেলনা গাড়ি

চেয়ে আছি, এক লাফে দৌড় দিলো খরগোশ ছানা !! আমার বয়সের জ্বর

আয়ুক্রন্দন
গায়েবীগাছের তলে পোড়াতে গিয়েছ বিপর্যাস স্বপ্নমালা
কাঁচা পথের সস্তা কবিতায় ফোটালে মদীয় রেণুর ফুল

সীমান্তের ওপারে রেখে এসে কুয়াশা বন্ধু
গুনতে বসেছো চিত্ত সাঁকোর দোল ...
নদী-জলে সাঁতার দিয়েছে রক্তকথা

দিগন্তের অন্তভাগে নরম অনুভূতির গলন
মায়াবী আঁধারে স্নেহআরামের বাতাস বিছিয়ে আছে ...

অজস্র জীবন ডেকে চলেছে কোথাও

বাঁচার জন্য কেঁদে উঠেছে প্রাণ



মন্তব্যসমূহ