প্রিয় পাঠঃশূদ্রক উপাধ্যায়

ছবিঃ মনোজিৎ
হ্যারিক্যান


হ্যারিক্যানের আলোয়
দুঃখ গুলি কেঁপে উঠছে ;
লাল-নীল খয়েরি রঙ

দপ দপিয়ে যাচ্ছে
আমার শরীরে ...

থার্মোমিটারের মাত্রা বাড়লে
দুঃখের মাত্রা বাড়ে ...

সিগারেটের সহজাত ধোঁয়া
তোমার  আমার কথা বার্তায়
হারিয়ে যায় মন থেকে;

এই মাত্র নিঃশব্দে উঠে দাড়ালাম...

মনের সব কুয়াশা পরিস্কার হলে
দুঃখের খোলস থেকে
বেড়িয়ে পড়ে রোদ ;
হ্যারিক্যান অবিকল জ্বলতে থাকে...

সাদা ফেনায় তোমায় দেখি ;
লাল -নীল হাওয়া মেখে...

ট্রেন আসলে আমার ঘর
কেঁপে উঠে ;
যেমনটি তুমি এলে হয়
আমার বুকে...

ট্রেনের কামরায় দুলছি
 ;
ভালোবাসার মতো...!


আজ সারা রাত খুব কাঁদবো
 ;
সিগারেটর ধোঁয়ায় বাষ্পিত করবো
না রাখা কথা গুলিকে
হৃদয়ে গুপ্ত সম্রাজ্যে...!

বন্ধুত্বের মেরুতেই দাঁড়িয়ে
উত্তর গোলার্ধে ছুটে যাচ্ছে
পৌরাণিক চরিত্ররা ;
এখন ও বসন্ত আসেনি...


মৃত্যুতে কোন অহংকার নেই
 ;
শরীরের ক্ষতে কোন অভিযোগ
লিপি বদ্ধ হয়না গ্রীষ্মের খাতায়...

পানকৌড়ি র স্নানে বসন্তের দাগ
লেপে দেয় হৃদয় ; মাছরাঙা দ্বীপে...


            কৌণিক হাতল ।


এখন সমস্ত চরিত্র কবিতার
কৌণিক বিন্দু থেকে উঠে আসে ;
এই যে তুমি লাঙল চালাচ্ছো
সমান্তরাল ছেদ বিন্দু থেকে
নিরক্ষীয় অক্ষ রেখায় অভিলম্ব বরাবর ...

কোণিক হাতলে মাংসপিন্ড
চৌম্বকীয় আবেশ তৈরি করছে;
রেডিওগ্রাফ বার্তা পাঠাচ্ছে মস্তিষ্কে...

দশম ভঙ্গুরাকৃতি সরল বিন্দু গুলি
স্থান পরিবর্তন করে নিচ্ছে বায়ুকোণ
থেকে উত্তর দ্রাঘিমাংশের দিকে...

ক্ষেত্রফল অবিভাজ্য কবিতা ...
 

           

গ্রীষ্মের কবিতা-১

সমস্ত চরিত্ররা প্রতিদিন বাঁ হাত
  
কুড়াতে কুড়াতে নদী হয়ে যায়;
লিচুর শরীরে ডোরাকাটা ক্ষত...! 

কত গুলি হাঁস কালো জল
কেচে শরীর শুকোচ্ছে ;
হলদে পানে চুন লাগে না...!

বাঁ দিক থেকে উঠে এল সময় ;
এই গোলার্ধে এখন গ্রীষ্ম কাল...
          

এস এম এস
 

এস এম এস এ ভেসে যাচ্ছে নদী
 ;
তোমার সাথে কখনো প্রেম হয়নি ,
নদীর স্রোতে, সীমান্তে উড়ে চলেছে
হলদে কথা ; সমুদ্রের নাভি থেকে
তুমি হাত নেড়ে যাচ্ছো ক্রমশ...

বিকেলের প্রেম সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালছে
তুলসীঘাটে; একটাও ছবি তোলা হয়নি
তোমার সাথে; লাল মাটির শরীরে...! 

গাঙচিল আলো মেখে বারবার ছুটে গেছে
তোমার কাছে, এস.এম.এস

             
আলপনা
    
কবিতার গায়ে আলপনা
আঁকা থাকে শব্দের ; চিহ্নের,
এই মাত্র তুমি বেড়িয়ে গেলে
আকাশে, মেঘ দেখবে বলে!

সাত তলার উত্তাপ
মাটির নীচে এলো না ;
হৃদয় সিঁড়ি ভেঙে উঠছে...

টুপ টাপ বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিকর্ষ
বাদামে, ঝিনুকে, প্রেমে;
কবিতার গাঁয়ে আলপনা
এঁকে যায় কেউ নিঃশব্দে...


পৃথিবী সংক্রান্ত কবিতা-১
          
জানালা পর্যন্ত ইকুয়েস্ট্রিয়ান সাক্ষ্যাৎ ;
রাজনীতি ঘনীভুত হচ্ছে রামধনুতে!
অশোক কল্পনাশ্রয়ী; বৌদ্ধ ভিক্ষু...

    
ভালোবাসার অভিমান

হৃদয়ের সব অভিমান লিখে রেখেছি পদ্ম পাতায়;
নিজের মুখোমুখি দাড়িয়েছি নক্ষত্রের আলোয় একাকী...
ক্লান্তিজনিত অবক্ষয় লিপিবদ্ধ হচ্ছে শরীরে;
হাড়- মজ্জা- রক্ত - মাংসে মলাট জড়ানো রং বেরঙের...!

ভালোবাসার চুমু তে থুথু থাকেনা ;
ঘুমঘড়ি চুপ করে স্নান সেরে নিল হৃদয়ের জলাশয়ে...

মাঠের আল বেয়ে নেমে যাচ্ছে নীল ;
ফ্যাকাসে হয়ে গেছে নোনা ঠোঁট -আঙুল!
ফসলের মতো গোছানে থাকে প্রেম
হৃদয়ে - বৃষ্টিতে - উচ্ছাসে...

একটা রং নাম্বার ভেসে উঠেছে বৃষ্টির সাথে ভোর রাতে ;
রিং টোন বদলে ভেসে যাচ্ছে নদী! চৌকাঠ পেরিয়ে আলো ঢুকলো শরীরে...

পদ্ম পাতার অভিমান শুকিয়ে গেছে ;আকাশে
কালপুরুষ দ্রাঘিমা পরিবর্তন করতে চাইছে বহুবছর ধরে!
জোনাকির উন্মাদনা ক্রমাগত বাড়ছে
প্রেমের মলাটে...

আবার চুম্বন করলাম আমার ঈশ্বর কে...




ছবিঃ মনোজিৎ

মন্তব্যসমূহ