নাজনীন খলিল

কাঁচ অথবা পাথর 


অদ্ভূত  শিসের শব্দে শ্যাম্পেনের ছিপি খুলে গেলে
আনন্দের ঘ্রাণরং বেজে ওঠে
বাতাসের পরতে পরতে

ক্রিস্টাল পানপাত্রে ফ্লুরোসেন্ট জ্যোৎস্না ছলকে ওঠে
মাতাল গন্ধের রেশ...


বাজপাখির ডানায় একটা  আদিগন্ত মাঠ পোড়ানোর মতো
যথেষ্ট আগুন ছিল

তবুও একটা শীতলহাত রেখেছে ঢেকে একখন্ড হরিৎ ;
পথ জুড়ে তপ্ত ছাই
কাঁকরের ব্যাথা

সবুজগুলো বারবার দ্বিখন্ডিত হচ্ছে
দ্বিধাগ্রস্থ রাতের অন্ধকারের মতো

চোখে কি মাখলে তবে ভিন্ন  রংয়ের  কাজল
সবুজকে দেখছো তীব্রনীল অথবা খয়েরি
!


যে কথাগুলো কেবল উথালপাতাল  ঘুরে
জলের ভেতর মাছের মতো
ঘূর্ণির মতো
সেসব অর্থহীন...নিয়েছি মেনে


দেয়ালতো দেয়ালই
কাঁচ
অথবা
পাথর...



ল্যান্ডস্কেপ

উজ্জ্বলঅনিন্দ্য সব ল্যান্ডস্কেপ থাকে শুধু স্বপ্নের ভেতরে
তুমি জানো
তোমার দেয়ালে  পুরোটা ঝুলবে
নাকি
এক খন্ডাংশ



শূককীট থেকে বেরিয়েই উড়ে যাচ্ছে প্রজাপতি
গাছের বাকলে ফেলে যাচ্ছে কালো তার ছায়া
এবং
একটি খোলস

ডানায় কোন রঙ স্থির হবে সেটা অন্য প্রশ্ন ;
আলাদা

কিন্তু
এইযে হুট করে খুলে দিলে রোদের বোতাম
ছায়াটা কোথায় রইলো ?
ছায়ার পেছনে ছায়া
তার পেছনে...


কাসকেটে জমিয়ে রেখেছি ধুলোছাই

ছবি সৌজন্যঃ আন্তর্জাল

মন্তব্যসমূহ

নাজনীন দি, কপি রাখলাম। আর... কুর্ণিশ...।