ভোরের নিমগ্নতা
ভোরের নিমগ্নতার ভেতর ঝরনার শুভ্র
চাদর উড়ে এলে তুমি চোখ খোলো। তোমার চোখে শরতের স্বপ্নরং; শুভ্রতার রূপজমিনে আঁকো সবুজ
আলপনা।
সংরক্ষিত পলিপ্রান্তর সবুজে আচ্ছাদিত হলে বইতে থাকে প্রসন্ন বাতাস। ষোলো বছর যে বাঁশি
বাজে নি তা বাজতে থাকে,
সুরের পাখি সমাজকালের অগ্নি প্রাচীর পেরিয়ে অকৃত্রিম অন্নভূমির
দিকে ছুটে চলে। উড়াল-পথে পড়ে থাকে অবিনশ্বর পালক। তুমি কম্পিত চাদরে
ঢেকে রাখো অমল শরীর।
পোড়া গন্ধ ও হেমন্ত
পোড়া গন্ধে ভরে আছে সমুদ্রতীর। দুর্গত তট বিস্তৃত
হয়েছে নগর ও গ্রামে। ভঙ্গুর বেলপাতা কতো বলদৃপ্ত যে হেমন্তকে পরিস্রুত করে ? শ্রাবণ-ভাদ্রের সকল প্রস্তুতি উদ্বেল আমনের পুষ্টি নিশ্চিত করবে এমন কোনো কথা
নেই। আমাদের
করতলে রাত্রিরেখার আঁকিবুঁকি; অগ্নিগর্ভ পাথরের স্বপ্নকে আমরা বন্দি করে রাখি। আমাদের চোখে কাশ-কলমির উজ্জ্বল
আহ্বান প্রতিফলিত হয় না। কালবৈচিত্র্য কি রেটিনার স্বভাব
বদলিয়ে ফেলে ?
![]() |
ছবিঃ আন্তর্জাল |
মন্তব্যসমূহ