নিষাদ নয়ন

ভাঙাস্বপ্ন, শিশির এবঙ রোদপোহানো ওম
কয়েক সেকেন্ডে ঘুরে আসি একপৃথিবী মাঠে
তারপরও স্বপ্ন কেন মিলিযে যায়, হারিয়ে যায়
দৃশ্যান্তরে; তারা পালিয়ে দিগন্তরেখাকে সঙ্গ দিয়ে
বহুদূর তেপান্তরের মাঠের ভিতর ম্রিয়মাণ অপু 
                      স্বপ্ন-সংসারে
রাত শিশির জমাতে থাকে সকালের স্টোররেুমে
এবঙ মিলিয়ে দেয় কবন্ধ রোদভেলার ভাসানে
শুধু মন, মনের কাছেই রেখে যায় শিশিরের
              মলিন দাগ, স্মৃতির ভাঁজপত্র
আর থেকে যায় পর্ণমোচীর
পাতায় লালিত একতরফা প্রেমের খতিয়ান, বস্তুত
সেঁটে থাকে করতলে পাতার আয়ু হারানোর অসুখ
শীতসকালের অপ্রেমিক রোদের আদরে প্রেমিকার
ঠৌঁটের নোনাস্বাদের থেকেও বেশি প্রিয় হয়ে থাকে
বাড়ন্ত সকালের রোদ পোহানো ওম আর নিযুতপ্রেম


    
প্রতিবিম্ব
প্রতিদিন দেখা হয় মুখোমুখি চোখে চোখ রেখে নিজেকে দেখতে ভালই লাগে প্রতিবিম্বের মতো দৈর্ঘ্যপ্রস্থের এ এক আত্মপ্রেম কিছু বোঝার আগেই ঘটে আত্মমৈথুনপর্ব কৈশোরের বারান্দায় পা রাখার সাথে সাথে কে যেন করে গোপন ইশারার ভিড় আলোর নীরব উপস্থিতির মতো জলের ওপর প্রতিবিম্বের মমি হয়ে যাই, হয়ে থাকি নার্সিসাস স্বচ্ছতোয়ায় প্রতিচ্ছায়া ভেসে ওঠে জলআয়নার মন্দিরে আয়নার পিছনের পারদ জানে না সে প্রতিনিয়ত প্রতিবিম্বের জন্ম দিয়ে চলেছে আর তার আয়ু শুধুমাত্র আলোর মন্ত্রসূত্র মনস্থ করে বেচেঁ থাকে আলো ছায়ার মৃত্যু, বাধাপ্রাপ্ত আলোতেই ছায়ার জন্ম

ছবিঃ মনোজিৎ ভঞ্জসাহা


মন্তব্যসমূহ