সৌমিত্র চক্রবর্তী

কেউই আসেনি তারা
কেউই আসেনি তারা
যাদের আসার কথা ছিল,
কিভাবে সব বিস্মৃতির তলায়
একে একে রেখে দিল
শেষ স্মরণ চিহ্ন সকল।
সমস্ত দরজা খুলে রেখেও
সিদ্ধ ও নিষিদ্ধ ঘন্টাধবনি
একটানা অক্লান্ত বাজিয়েও
কেউই এলোনা হেমন্ত সন্ধ্যায়।
দুহাতের তালুর কেন্দ্রে
দুটুকরো বিষকণা ঝকমক,
পারিজাত আর হেমলক
একই সারিতে জ্বলজ্বল করে।
সিক্ততার সৌন্দর্যের ক্ষণস্থায়ী
ভালোলাগায় চুপটি বাস,
অরন্যকন্দর থরথর কেঁপে
ক্ষিপ্রতায় আসে ভয় ও অবিশ্বাস।
মারা যাওয়ার আগে শেষ
খাবি খায় অনন্ত রোদ্দুর,
বন্ধুর সম্পর্ক গ্রাফে তিলতিল
মৃত্যু পরোয়ানা কালো ছোপ ফেলে।
এরপরেও রাত নামবে গম্ভীরা
গানের সুতীক্ষ্ণ আশ্লেষে,
শুধু ঘর ফাঁকা থেকে যাবে
বাসজন আসবে না কেউই।

প্লাবন এবং প্লাবনের পরে
সেই অখণ্ড মিনিট গুলো শুধুই জলোচ্ছাসের গুমগুম শব্দে চার দেওয়াল থেকে বাকি সব টুকটাক আওয়াজ মুছে ফেলেছিল।
একঝাঁক উষ্ণ মেঘ কুন্তলচূর্ণের ছদ্মবেশে লাফিয়ে পড়েছিল ভালোলাগার সুস্থির ঘরকন্নাকে একবার, শুধু একবার ছুঁতে।
অজানিত যত আশংকা, দরজায় টোকা দেওয়ার কাল্পনিক ভয় সত্বেও নদী দুকুল তছনছ করে এধার ওধার খুঁজেছিল সত্যকাম বালকঠিকানা।
অসহায় অন্ধকার দুহাত মাথায় রেখে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেই মিলিয়ে গেছিল ক্রতু নক্ষত্রের গর্ভে, পেটের বহির্তকে শুধুই কাটাকুটি খেলা।
প্লাবন শান্ত নিবেশে স্থির হয়ে এলে বিশ্বাস নিবিড় হয় শাক্ত বন্ধনে, তখন অবিশ্বাস মূর্খ সম্পত্তি, মৃত পশু হয়ে ঝোলে দমবন্ধ হয়ে আসা সিক্ত পুরাণ ডালে।






ছবিঃ রাজা সরকার 

মন্তব্যসমূহ

Soumitra Chakraborty বলেছেন…
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শারদ শুভেচ্ছা অচেনা যাত্রী র রূপকার দের।