সাধারণ বিভাগঃ কবিতাঃ~ শিমুল মাহমুদ


কাকবিদ্যা
পুব থেইক্যে এলো কাগা
বইসলো পশ্চিম ডালে গে
আবেলাতে ডাইকলো কাগা
 কী আছে কপালে গে
উখুসুখু মাটি ফাটে খেতে নাহিক ধান
নদীমে নাহিক পানি কুথায় করবি চান…
  
কাম উত্তেজনায় ঝরে পড়ছে বকুল
কুড়িয়ে নাও বকুল--- শিশিরতুল্য ঘাম

এভাবে নয়, চোখকে সহনীয় হতে শেখাও
গাছের মুঠো থেকে নিয়ে আসো
পালখোলা চাবি।

ডুয়ার্সের পাহাড় থেকে নীল ঘ্রাণসহ
ঘুরপথে আসো।

ক্লান্ত কাকের আজ ঘরে ফেরার সময় হলো
তুমি ঘুমাও; অতল অথৈ। ঘুম থেকে সমুদ্র বরাবর।

আমি কাক-সওদাগর
কামকণ্ঠ ধরে রেখেছি হাতের মুঠোয়।


আকাশের নাভিমূলে বরফ জমে আছে।
বরফসীমায় উড়ছে কালোপাখি।
এভাবে নয়, দীর্ঘচোখে তাকাও,
উড়ে আসো ধীরে।
লবণজলে ভাসছে, প্রেমপত্র।

সমুদ্র বরাবর যাও, দুপুরটা জমা রাখো
বুক-পকেটের ভেতর। ভালো থেকো,
ক্ষিধে পেলে নেমে যাও পাতাল অবধি।

বিদ্যুৎতারে কাক বসে আছে
কামচাদরে লুকিয়ে আছে ঘুম, অতল অথৈ।


রাজহাঁসের মাংস নিয়ে দেহে, জেগে আছো তুমি।
এভাবে নয়, আরো ধীরে,
অথৈ আকাশের নিচে দাঁড়াও।

চাঁদপুকুরের জলে ব্যথা ভেসে আছে;
একজোড়া জলকাক জল সাঁতরায়।
চাঁদের যুবতি জোছনা জড়িয়ে ধরেছে দেহ।

টাইমলাইনের প্রোফাইল পিকচারে টাঙিয়ে দিয়েছি কাকছবি।
দূর-ভূগোলে জেগে থাকা রমণীর মতো, ভিজিট করো একবার।


ছবিঃ মনোজিৎ


মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
ভালো লাগলো, অসাধারন

Aunarjo Nayeem