শামীম সাঈদ

যদুমঙ্গল কাব্য-
আমার বুকের নিদয়া তাপ
এই নিঃশ্বাস বাতাইসে উড়াই,
যিরম পুড়ে গহীনের পানি,
ভাপ উইটি যায়, ভাপ উইটি যায়!
কেডা চাইচে মেলাখানি? একটুখানি চাই!
সায়রে আছে অনেক জানি,
তাও,
বিন্দু আমারে সিন্দু চিনাই গো,
ইন্দু বিহনে চকোরে মানি মিটেনা তিয়াস,
বিন্দু বিহনে তিষ্ষি আমার কী দিয়া মিটাই!


বাটপার আখ্যান

আমার কি গজায়লো না?
মুনে মুনে গজা খাই-ই তো,
মজা পাইলেও লুকায়া রাখি
লুকায়া আরো খাই, ইহাই আমার রুজা,
আমি তো বদের ধ্বজা, ভিতরে সুমন্দর ছলকায়,
ঝাঁকাইলে কয়েক বিন্দু ঝরে, যে ভজিলো আমারে
আমি ঢুকি তার ঘরে, সে দরজা খুইলে দেয়,
আমি চুরি করি, সেও তো চোরের উপরে বাটপারি করে!

বর্ষার লগে দুষ্টমি

ও বর্ষা
একদিন তোর পাছার কাপড় মাথায় তুলে
তোর ও-চোখের লজ্জা ঢেঁকেছিলি,
আমিও তোর মেঘে কেটে বিলি
দেখেছিলাম তোর সে-ভেজা দৃষ্টি
আমার মনের মেঘগুলো সব উড়িয়ে দিয়েছিলো!

আকাশ বোধহয় তৃতীয় নয়ন,
দিব্য যখন তুই
আমার বৃষ্টি লুকিয়ে রেখে তোর বৃষ্টিকে ছুঁই,
দুষ্ট আমার মধ্যমাটা, সেঁধিয়ে গিয়েছিলো,
আমি চাইলাম ওলান পেতে, তুই চুনিয়ে দিলি!



মূলত: আমার ভাষা নাই

মূলত আমার ভাষা নাই,
কাকের ডাকের মুতন চিল্লায়া কাকে জানাই-
কস্মিন কালেও আমার ভাষা তারা বুঝতে নারি...

একদিন খরায় আধা পোড়া ঘাসের উপর করছি পাঁয়চারি-
দেখছি, কেমন নিমগ্ন ঘাস খায় গাই!
আমিও হাম্বা হাম্বা চিল্লাই, গাই বুঝে না;
আমি কার চেলা, লেও ঠ্যালা, আমার বাছুরপনা
মায়ের পালান পানাইতে চায়, মুনে হয় একটু দুধ খাই;
করি ফরিয়াদ- দে পানা, দে পানা!
মায়ে যে ক্যান দুধ কেউটেরে খাওয়ায়!
আমি তো ওহির ভাষা শিখি নাই,
মন্ত্রপড়া তাবিজেও বীজ নাই গো!
তন্ত্রগাথা মুখস্তের দলে ফলত: আমি গণ,
রণ মনমূলে, বনে যাই, কাটাকাটি চর্চা করি বহু,
তবু অহির প্রতিকূলে নকুল হওয়াটাও
আমার মুনে হয়, নাহ, ছহি হয় নাই...

ছবিঃ আইরিন সুলতানা 



মন্তব্যসমূহ