কচি রেজা


কচি রেজা
অবিশ্বাস বেড়ালের নূপুর

প্রতিদিন যে-বেদনা প্রদক্ষিণ করি তাকে প্রশ্ন করেছি যখন আমার  
 আঙুল থেকে ধুয়ে ফেলেছি আগুন তখন কেন জ্বলে উঠেছ?  
আর খেরো খাতায় বছরের পর বছর যে-নীল হিসেব আমি জমা
 রাখি, সে অন্ধকার তুমি পড়তে পারনি অন্ধ?
এখন কোষ্ঠী হারানো ক্ষতে ভুল করে তক্ষক ডেকে উঠলে  
 নূপুরগুলো খুলে খুলে যায়, দুপুর হারানো বালিকার শরীর অবশেষে
 বিতর্কিত দর্শন? জীবনভর কিছু অপরাধ মানুষই করে, আমিও  
পার হয়ে আসি ঝড়-জল মাপা আঙুল, এখন ছায়ারা অপেক্ষা করে না
 , আমিও মনোনিবেশ করি বিস্ময়ে, যমুনায় সর্বনাশ বেজে উঠলে
রাত্রীর শরীরে কবে জমেছিল এত নুন? আরো একবার দেখতে ইচ্ছে  
করে শরীরে বেড়ে ওঠা তক্ষক, ছায়া অঙ্কুরিত হয়েছে কতটা,
 টেবিলে আনমনাপড়ে থাকে দু'টিমাত্র হাত, জানতে ইচ্ছে করে,
 এখন তুমি রবীন্দ্রনাথ পড়ো না পড়াও?

আমার মৃত্যুসংবাদ

আমার মৃত্যুসংবাদ লেখা হচ্ছে পাখিদের ভোরের দৈনিকে
বিষাদ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখি ,  নদীসম্পর্কিত নিঃশ্বাস আমার ও ,
আমিও  আটকে গেছি  একেকটি জানালায়
 কিযে অসম্ভব এই বোতাম
 জানা ছিল  আগের জন্মেও আমি আত্মহত্যাই করেছিলাম
আসলে বড়োবেশি পাথরপ্রবণ আমরা আর  যখন ছাপা হচ্ছে মৃত্যু  
 আমি  সতর্ক করি  মৃত্যুকেই
মাত্র  একটা জীবন ,   মৃত্যুঅভিমুখী  অবিশ্বাস কি   দিচ্ছি না
 পাখিদের  ?

মন্তব্যসমূহ