উপল বড়ুয়া


উপল বড়ুয়া
আমরা ছিলাম অসম্ভব স্বপ্নবাজ

মা জানতো আমাদের দুঃস্বপ্নের কথা। কেন দুঃস্বপ্নরা চুপিচুপি আমাদেরকেই টার্গেট করেছিল এই খবর ফার্স্ট এ্যানাউন্স করে আমার স্বপ্নবাজ পিতা। ফলন ঘোষণার পর এলাকায় রটে গেল তার স্বপ্নবিশারদ উপাধি।

আমার বোন তখনও জ্বলন্ত উনুন। নিবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ভেজে যাচ্ছিল অহেতুক কল্পনা।

প্রতিদিন সন্ধ্যেরা ঘরে ফিরতো। অথচ বাবার খালিহাত। প্রতিদিন আমার বোন সাজতো ভরদুপুর তারপর মুছে ফেলত নোনাজলে। আমরা ভাইরা জানতাম চুপচাপের ভাষা। কেবল মা জানতো শূন্যে রান্নার বিবিধ পদ্ধতি...


সহিস

ফেরার কথা ছিল; দুরত্বে ছিল পা
পাখিদের কুমন্ত্রনা কানে নিয়ে আমিও
স্কুল ইউনিফর্ম খোলে পেয়েছি সন্ন্যাস

নীতিশাস্ত্র পাঠ করে যেসব বালক ক্লান্ত চোখে
গৃহমুখী হয়; যাদের মা ঢেকে রাখে গ্লাস ভর্তি দুধ
এসব দুগ্ধপান¬- দুগ্ধবতী যুবতীর বুক আমাকেও খুব...

জীবন মানে বাদামের খোসা ছড়ানো; পাতা ঝরার গল্প
শিখেছি কেবল পায়ের নামতা
কালো রঙের যে ঘোড়া প্রতি সন্ধ্যায় গুহা থেকে
বেরিয়ে আসে মূলত আমি তার হয়েছি সহিস...

বর্ষাবন্দনা

প্রিয় সাম্যবাদী নদী
দল ভারী হলে এবার বুকের বাঁধন খুলে দিন
ও পাড়ার মেয়েরা এ পাড়ায় নেমে আসুক
ঘনঘোর বরষায় জলের পর্যাপ্ত চর্চা হোক।


যে সব বিষয়ে সমাধানে আসা গেছে

আমি বেতালের তালিকাভুক্ত শিল্পী। আজ রাতে প্রচারিত হবে উত্তাল সঙ্গীত।

রাত সম্পাদিত হচ্ছে চুপচাপ। ছাপাখানা থেকে বেরিয়ে আসছে ছারপোকা।

আমন্ত্রণপত্রের ভেতর ওঁত পেতে থাকে উপহাস। দামি উপহারের অনুরোধ।

রবীন্দ্রনাথ এক বিরাট ফ্লাওয়ার ভাস। বসে বসে বাড়ায় ঘরের শোভা।

অধিকাংশ মানুষের আগ্রহ স্নানঘরের প্রতি। তুমি ঢোকার আগে ঐখানে প্রবেশ করে অসংখ্য চোখ।

গুরুরা এতো দক্ষিণালোভী! দক্ষিণার দাবিতে একলব্যকে বানালেন পঙ্গু আর অঙ্গুলিমালকে পশু।

পাঠ্যপুস্তক ঘুমের মহাষৌধ। কালো অক্ষর ভাজা খেতে ভালো। যদিও অতিরিক্ত ভোজনে বদহজম করে।

চারকোণা বেড়াল। উপর হতে ভূতলে লাফিয়ে পড়ে শব্দ করল একবার। তারপর পৃথিবীকে খামচে ধরে মধ্যাকর্ষণ ভেদ করে মিলিয়ে গেলো হাওয়ায়। জীববিজ্ঞান জানাচ্ছেন বেড়াল বাঘ গোত্রীয়। সহজাত শিকারী। পোষ মানে। তবে সে ভয় পায় কুকুর।

মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
খুব ভাল লেগেছে... উপল,