গৌরাঙ্গ মোহান্ত


গৌরাঙ্গ মোহান্ত
অর্কিড ও অন্তর্গত দৃশ্য

প্রেম ও মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে আছি। ক্ষুদ্র জানালা দিয়ে দেখা যায় কেবল রোদদীপ্ত মেঘের মহড়া। সাদা মেঘের নিচে নীলের আলপনা তুলে আনে যমুনাকে। যমুনার মাঝে দাঁড়িয়ে মেঘের মধ্যে নদীর প্রতিভাস লক্ষ্য করি নি। মেঘের পাশে দাঁড়িয়ে নদীস্রোতে ভেসে যাই। আমি ভেসে যাই অদৃশ্য হাত ধরে। ভেসে গেলে মৃত্যুর কথা মনে আসে কেনো? ক্রাউন প্লাজার নির্জন কক্ষে বসে একা থাকতে পারি নি আজ সকাল বেলা। বিশাল আয়নায় বিন্যস্ত অর্কিডের  মাঝে প্রতিফলিত ছিলো অন্তর্গত দৃশ্য। দৃশ্যের ভেতরে ঢুকে, থেকে থেকে দেখেছি সূর্য-বিনাশের ছবি। বাস্তবতার সংকেতময় ভূমিকায় বিস্মিত হয়ে পড়ি। যন্ত্রের সহযোগী হয়ে ভুলে যাই ফুলজোড় নদীর নাম; যন্ত্রশব্দে কান রুদ্ধ হয়ে এলে গভীরবর্ণ জারবেরা অক্ষয় দেয়ালে লিখে রাখে উজ্জ্বল হাহাকার।

পাহারার অগ্নিবন্ধন
 দৃষ্টি নয়, পাহারার অগ্নিবন্ধন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উদগ্রীব থাকি। পথে গলিত আগুনের সর্পিল গতি। ব্যক্তিগত বিষাদ কিংবা স্পেসবন্দি আনন্দের ভেতর মাঝে মাঝেই ঢুকে পড়ে সাপ। নির্মোকে খোদিত থাকে সাপের নির্গমনকাল। সাপকে দেখা যায় না, সাপের অগ্নিময়, আকস্মিক শব্দে কেবল কেঁপে উঠি। স্নায়ুর ভেতর কম্পনসূত্র রেখে যায় মনোরোগের নটে বীজ; বীজের গোলাপি আভা আমার শক্তি ও অস্তিত্বকে উপহাস করে। আমি পরিবেশবন্ধন থেকে নিজের জন্য খুঁজি দূর কোনো গ্রহ।

মন্তব্যসমূহ