সূরজ দাশ


সূরজ দাশ
প্রশ্বাসের সাথে

কখন আসবে তুমি ? পশ্চিমে ব্যাঙডুবি ধানক্ষেত ।
পুবের সরণি ধরে যেতে যেতে পারি না এগোতে, রাত গুনি শুধু ।
গুনি রাত ; তিন দুই এক ... ।  বিড়ির শেষের টানে কি যাদু –
থেমে যায় অন্ধকার, রাত্তিরের নিশি পাওয়া চেনা ও অচেনা স্তব ।

মিথ্যা রাত-পাহারার ছলে বৃথা কি নয় এই বসে থাকা ?

প্রশ্বাসের সাথে ডেকে ওঠে ভোরের মোরগ ।

দুচোখে নির্জন ঘুম ।  এইসব দখিনা আবেগ
কোথাও লিখিনি কোনোদিন ।  উত্তুরে দরজা খুলে
একমাত্র আমিই জানি, আকাশের তারা গোনা ছাড়া
তোমার নামে তারাদের নাম দেওয়া ছাড়া
আর করি না কিছুই । কিছুই করি না আর !



আকুলতা, রিমঝিম , তুমি

এসো চৈত্রমাস, আকাশের পাশে রাখো হাত, দিন
বদলের নামে জন্ম জ্বলে যায় , ফসলের ঠোঁটে
পুড়ে যায় সোনারোদ, গঞ্জের জটলা থেকে উঠে
আসে কীটনাশকেরা, নীতির বাতাসে বিভাজন

এত উৎকণ্ঠা কেন, ঘাতকের ভয়ে বন্ধ কেন
সদর দরজা, খোলো, খুলে দাও, উঠোনে ঢুকুক
দাম্ভিক জোয়ার, মুছে যদি যাই, তাই ভালো, তবু
জেনে রেখো, ভয় নেই, মৃত্যু নেই শ্রাবণধারার

অপর্ণার ডালে লেগে থাকা তীর,লতানো জীবন
সেই কোন আর্য  থেকে আজ এই অনার্য অবধি
পেঁচানো শূন্যতা ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলে
বিদ্রূপের জেটি ভেঙে, কাঁধে কাঁধ, বসুধা গোলার্ধ

হে জখম, রিমঝিম আকুলতা, ফেরাও শরীর
দুরন্ত বিস্ময় রাতে জ্বালাও আগুন, চুষে দাও
গাছের কুমারী স্তন, ঢালো ঢালো, যোনিতে তুফান
তুলে, বৃষ্টি ছেঁচে সারারাত, জরায়ুতে রাখো বীজ  

মন্তব্যসমূহ