ঠোঁটকাটা


ঠোঁটকাটাঃ 
ভীড় ট্রেন।  আটটা আটের বনগাঁর ঠ্যালাঠেলি লোকাল। আর এর মধ্যেই  কিম্ভূতকিমাকার ভোকাল," দেবো নাকি দাদা ছাল ছাড়িয়ে  লবণ মাখিয়ে!" সবকটা ভয়ে কাঠ। সাউথের রিমেক দেখা বাঙালি ঘেমে হদ্দ। ভিতুর ডিম! সারাদিন হ্যান ছেড়েঙ্গা ত্যান ফোড়েঙ্গা! এমন সময় একটা কোলে হিসি করা  বাচ্চা হেসে উঠল। ওই "রাজা তোর কাপড় কোথায়?"- স্টাইলে !যাক, সব্বাই রিল্যাক্সড্ ! বাঙালি  আবার বাঙালি হয়ে উঠল। বোঝা গেল গিমিকবাজ  শসা - বিক্রেতার ভেল্কি আর  সস্তায় কুড়ানো হাততালি।  না ,আমরা এরকম ভাবে আসিনি। আবার সিজারের মতো প্রবল প্রতাপ নিয়েও  আসা হয় নি। তবু এগোচ্ছি। এগোতে থাকবো।কারণ আমরা ঘাসবনে শুয়ে শুয়ে শুনছি লালন আর   "প্রথম আলোর চরণধ্বনি"।

এখানেও ব্রুটাস? হা হা! আইডেন্টিফায়েড  আইডেন্টিফায়েড!! হা হা  হা ! সে তো  এখন দেওয়াল  জুড়ে মুত্রাঘাতে ব্যস্ত এবং  বিপন্নও বটে। উত্তরাধুনিক মধুমেহ। গেট ওয়েল সুন মামু! আমাদের বুক খোলা। জামা খোলা। প্যান্ট বাদে। ঘামের গন্ধ যা একটু আছে, যদিও রোজ সাবান মাখি। আসতে পারো। সামনে বা পিছনে! রক্তপাতের পরও উঠে দাঁড়াবো , কারণ আমরা যে বাংলায় কথা বলি। সে অহংকার আছে এবং থাকবে। থাকবে 'অচেনা যাত্রী'ও। সে তুমি আমাদের দেখে  যতই  জলপাই ক্ষেতে লুকিয়ে পড়ো আর আবডাল থেকে দেখে যাও আকাশের হাসি আর 'পাখিদের বাংলা খাতা' ।

সেবারে তমাল। মানে 'কবি বিষ্ণু বিশ্বাস'-সংখ্যায়। ওই একটা সংখ্যা নয়। আমরা অষ্টম সংখ্যা থেকেই টানা ভালো কাজ করে আসছি। পুরোনো  কাজগুলো একটু দেখতে অনুরোধ করি।  আর এবার কবি সুবীর সরকার। কাজ ভালো হয়েছে। নিঃসন্দেহে। পাঁচ পর্বের উদ্যোগে  আজ অভিষেক।  সামনের দিনে আরো ভালো হবে --এ প্রত্যয়ও আছে। শুধু চাই একটু বেশি ভালোবাসা। বন্ধুত্বা।  সত্যিই চাই। চেয়ে যাবো। ব্রুটাস সুস্থ হোক বা না হোক।

অনেক হল। এবারে থামি।  শুরুহোক আমাদের  'মেঘেদের গামবুটে কাঁটাতার'!    

অমিত কুমার বিশ্বাস



মন্তব্যসমূহ