নিখিল নওশাদ ও নিষাদ নয়ন


নিখিল নওশাদ
মা কিংবা মানুষ বিষয়ক

কার হাত ধরে এগুবো বলো!
পৃথিবীর হাতে হাতে আগুন-অঙার...

শৈশবে মায়ের হাত থেকে ছাই হয়ে ঝরে পরা আমি যৌবনে খুঁজে পেলাম আরেক মাকে। নিউমার্কেটের গেটে উলঙ্গ
দাঁড়িয়ে থাকা সে মা আমাকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরে বললো, ‘জানিস আমার একটা ছেলে হবে,যে আমাকে দেখে
সিগারেট লুকোবে না, যৌনাঙ্গ মেলে ধরে বলবে চিরকাল- ইস,এখানে কেমন জ্বালাচ্ছে মা এই সিঁদুর পোকা’।
তার আলিঙ্গন থেকে মুক্ত হতেই; ছাই হয়ে ঝরে গেল সে মা! তারপর নিজেকে উলঙ্গ করে সে-সব ছাই দিয়ে বানিয়েছি একটি অনিঃশেষ সিগারেট।

তেরোর্ধ কাউকে দেখে আমি আর সিগারেট লুকোই না। কারণ আমি তো জানি,
পৃথিবীর সমস্ত মায়ের মৃত্যু হয় সন্তানের তেরোয়।

আদালত/এক

 ভূখন্ডের সমস্ত অনুলিপি পাঠ শেষে
আদালত এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে,
পৃথিবীর সমস্ত অন্ধকারের আক্ষরিক অনুবাদ হলো আলো।
না হলে মার্ক্সের চিঠি
কিভাবে রেশমা হয়ে এলো!




নিষাদ নয়ন
প্রেম অথবা অপ্রেম


প্রেম শরীর ছাপিয়ে মনের লাবণ্য ছুঁয়ে যায়,হঠাৎ বৃষ্টিতে ধোয়া বাতাসের আঘ্রাণে
এত সুন্দর হয়ে ওঠে সবকিছু। তখন শুধু মন নয় তার ক্যারিকেচার প্রেমের সুর ও
আকর্ষণ ধরে রাখে, রেখা-আল্পনার মতো গায়ের পুরনো জামার ভিতর লুকানো
থাকে; যে আগুনের অশেষ ভালোবাসা- কী চাও তুমি? পুলক না প্রেম, না কি
হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো মনের ভূগোল; উত্তর-দক্ষিণমেরুর বিমুখী মাহূর্তিক
মেরুণসুখ



যৌথজীবন

আবদ্ধ জলা আর আমি বয়ে চলেছি স্রোতহীন
তবু পুড়তে চাই শ্মশানের চিতাকাঠের বেদনে
চিতাভস্মের সাথে ধুয়ে নামিয়ে দাও আমাকে
আরো একবার। জল দিয়ে, জলের কাছে
মোহনার উৎসমুখের দিকে মুখ রেখে ভাসতে
ভাসতে পেরিয়ে যাবো নিকটবর্তী লোকালয়
আমার প্রথম জন্ম নদীকে ঘিরে, তাই সমুদ্রই
কেবলমাত্র হতে পারে অভিমুখের অধিগম্য

গন্তব্য- তোমার আমার যৌথসংসার- খেলা




মন্তব্যসমূহ

neeta বলেছেন…
নিখিল নওশাদ এর 'মা ও মানুষ বিষয়ক' কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। এক বোধ ও বিষাদ-চেতনায় মাখামাখি কবিতাটি। শুভেচ্ছা নওশাদ। নীতা বিশ্বাস।
অনেক ভালোবাসা নীতদি!!