সজল সমুদ্র ও সঞ্জয় সাহা


সজল  সমুদ্র
শহর

চাবি হারানোর পর দরজাকে আজ প্রথম ইস্পাতের মনে হলো।

প্রতিবেশীদের বাড়িঘর, মনে হলো ভীনগ্রহীদের আস্তানা;
ট্রাফিক পুলিশের মতো পথের গাছগুলি কী রকম মারমুখী
তা দেখতে দেখতে মনে আসছে

সরে যাচ্ছে দক্ষিণ, হাওয়া আরো দূর দিয়ে এড়িয়ে চলেছে,
যারা ছিল আমাদেরই জানালার অধীন


কাঙ্ক্ষা

আমায় নিয়ে কিছু বলো--আকাশের উদাসীন তারা;

এই থৈ থৈ অলাতচক্রের ভেতর কোনো গান নেই, মুগ্ধতার। কোনো উড়োযান।
ভাষা হারানো দোয়েলটি রোজ শিস দিয়ে যায়। এই অস্তাচলে আমি ভাবি সেই বাস্তব গলাটির কথা,
যার কণ্ঠে দিয়ে যাবো নীরব কথাগুলোর ভার। রাক্ষসের মনোবল খেয়ে আমি দূষণের দিকে নেমে গেছি।
আমার অশ্রু নয়নাভিরাম নয়। পিঁপড়েরা বয়ে চলেছে সব ঝর্ণার গৌরব।
 কোনো অতিদুরূহ ডানার পাখি, কোনো স্ফীতনীলের ময়ূর কিছু বুঝে উঠবার আগে--

এবার আমায় নিয়ে কিছু বলো, আকাশের চিরউদাসীন তারা…










সঞ্জয় সাহা

চাঁদ,মোম ও সংলাপ


চাঁদ বিলক্ষণ জানে সে কথা


নদীর আড়াল থেকে দেখে নিচ্ছি সংলাপ


আমাদের বয়স বাড়ছে মোমের মতো


সংলাপের আড়াল থেকে দেখে নিচ্ছি নদীকেও


নদী ও সংলাপের ভিতর চাঁদের নিজস্ব মৌনতা


যাত্রা


যাও বৃষ্টি যাও মেঘ
পাহাড় ছাড়িয়ে, গাছ ছাড়িয়ে
          যাকে তোমরা নদী বলে ডাকো

পাহাড়ের শেষে আরও একটা পাহাড়

একমাত্র
নদীর তীরে দাঁড়ালেই সন্নাসী হতে ইচ্ছে করে 







মন্তব্যসমূহ