বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতার রিভিউ:
গ্লাদিস সেপেদা, কবি
বুয়েনোস আইরেস, আর্হেন্তিনা
মাঝেমাঝেই আমরা দেখি, কবিতার পথ এঁকে নিচ্ছে নতুন, নিরবধি এবং বিস্ময়কর সব জ্ঞাপন, আমাদের বিস্মিত ও হতবাক করে দেয় বিশেষ করে যখন সেই লেখাগুলি আসে অন্য সংস্কৃতি বা ভাষা থেকে। ভারতীয় কবিতার এই কন্ঠস্বরগুলি শুনতে পাওয়া আমাদের কাছে নতুন আবিষ্কারের মতোই। আশ্চর্য এক কবি বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতা পড়ার সৌভাগ্য হল আমাদের বন্ধু মৈনাকের অনুবাদে।
তাঁর কবিতা রহস্যময়তা আর অপার বিস্ময়ের জগৎ, অনিন্দ্যসুন্দর সুররেয়াল আমেজে ভরপুর, গগনচারী উড়ান যা আমাদের টেনে নিয়ে যায় মহাশূন্যের মতোই নির্মম গভীরতায়, অন্য বাস্তবতার কাছে। আধ্যাত্মিক নিষ্কর্ষতার অনুসন্ধানপর্বে কবি সংলাপে মেতে থাকেন, পাঠক এখানেই এসে আরো গভীরে আটকা পড়ে যায় কবির সাথে। সংলাপে ভেসে ওঠে জীবন এবং মৃত্যুর রাস্তা পারাপার নিয়ে কবির শাশ্বত জিজ্ঞাস্য, তাঁর কবিকন্ঠ উন্মুক্ত করে দেয়
তাঁর নির্যাতিত স্বপ্ন নিয়ে পৃথিবীর মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা, শান্তির সন্ধানের পথে অন্ধকার অশুভ ইঙ্গিত এবং কবিতাগুলি তাঁর অস্তিত্বের গভীর থেকে উৎসারিত,সঙ্গীতময়, চিত্রকল্পময়, সংজ্ঞাবহ এবং উজ্জ্বল। তাঁর প্রতিটি কবিতাই আমাদের ঠেলে দেয় বিশুদ্ধ কবিতার শিকড়ের পুনর্জন্মের পাড়ে, যেখানে সম্পূর্ণ নতুন ও নিভৃতচারী কবিতার আঙ্গিকে ঐন্দ্রজালিক ভৌগলিক চিত্র প্রতিভাত হয় এমনভাবে যেন আমাদের চোখের সামনে দিয়ে এক অদৃশ্য গাড়ি ফিরে আসে। কবি আমাদের আত্মানুসন্ধান করেন এবং তাঁর কবিতাগুলি যেন শিরার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা রক্ত বা সমুদ্রগামী জলস্রোত।
দিয়েগো দ্রামিয়েন ওয়েইরো, কবি
বুয়েনোস আইরেস, আর্হেন্তিনা
শুধু মৃতদের গল্প কত আর কাঁধে ঝুলে যাবে-তাঁর কবিতার আড়াল থেকে বিষ্ণু বিশ্বাস এই প্রশ্নটা আমাদের দিকে ছুঁড়ে দেন। তাঁর কবিতার হাত ধরে আমরা পৌঁছে যাই পথ থেকে অন্য পথে, দেখা হয় সৃষ্ট উজ্জ্বল সব মানুষের সাথে, মহাবিশ্বের বাস্তবতার বিভিন্ন স্তর। কবি আঁকেন আলোকময় পথ, অন্ধকারে বহমান সঙ্গীত, কদম, কল্পতরু আর নিমগাছের চিত্রকল্প,
যেখানে সাগরের দর্পণে আমরা দেখি অতীতচারিতা, রহস্যময়তা, মৃত্যু নিয়ে প্রতর্ক, শান্তির সন্ধানের পথে বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতার গল্পের কুমারের আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে তার এগিয়ে চলা।
.jpg)
লিলিয়ানা ভারেলা, কবি
বুয়েনোস আইরেস, আর্হেন্তিনা
অন্য দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির কবিদের গ্রন্থপাঠ আমাদের সমৃদ্ধ করে। বিদেশী পাঠকের কাছে খুলে যায় অন্য ভাষার সংস্কৃতি ও সমাজের জানালা। এক্ষেত্রে অনুবাদকের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি, তিনি কবির কথামালাকে পৌঁছে অন্য এক পৃথিবীর কাছে।
ভারতীয় কবি বিষ্ণু বিশ্বাসের অনূদিত কবিতাগুলি খুব মনোযোগ সহকারে পড়লাম এবং জীবনচরিতেই তাঁকে পেলাম।
বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতাগুলি সংজ্ঞাবহ ছবির এক সিরিজ: রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধে নিমজ্জিত তাঁর কবিতা। তাঁর শব্দচয়ন সাঙ্গীতিক এবং একই সাথে জীবনের গভীর প্রতিফলন। মনোজগৎ ও বস্তুজগতের বিস্তারিত বিবরণে ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হই। তাঁর কবিতার ভাষা নিরলঙ্কার এবং উজ্জ্বল, আবার লালিত্যময় ও মনোহর। তাঁর কবিতায় তিনি বলেন:
"গভীর সমুদ্রের নোনা হাড় নোনা দাঁতে তৃষ্ণা আমার
জল দেবে একটু আমাকে শীতল জলের প্রাণ?"
এই অমোঘ লাইনটি পড়ার পর পাঠকও এক অন্তহীন তৃষ্ণায় ডুবে যায়, যে তৃষ্ণায় পাঠক এই আশ্চর্য কবির আরো কবিতা পাঠে নিমজ্জিত হতে চায়।
.jpg)
লুইস রাউল কালভো, গীতিকার ও কবি
বুয়েনোস আইরেস, আর্হেন্তিনা
বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতা একটি নথিবদ্ধ নান্দনিক আলাপ, গভীর শিকড় এবং একটি নির্দিষ্ট অস্তিত্ববাদের ধার্মিকতায় উজ্জ্বল। প্রতিকূল এই জগতে অভিজ্ঞতাঋদ্ধ হওয়ার জন্য কবির আত্মানুসন্ধানের মধ্যে যেন আমার নিজেরই আত্মানুসন্ধান অনুভূত হয়:
"একটু আনন্দ কথা, গোলাপি স্তম্ভে স্থির রয়েছে
অন্ধ থেকে চোখে জেগে সমুদ্র দেখি বালির স্তূপে ।"
তাঁর কবিতার গভীর সৌন্দর্য রসাস্বাদনের সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।
কবিতা রিভিউগুলি স্প্যানিশ ভাষা থেকে অনূদিত।
অনুবাদ: মৈনাক আদক
গ্লাদিস সেপেদা, কবি
বুয়েনোস আইরেস, আর্হেন্তিনা
মাঝেমাঝেই আমরা দেখি, কবিতার পথ এঁকে নিচ্ছে নতুন, নিরবধি এবং বিস্ময়কর সব জ্ঞাপন, আমাদের বিস্মিত ও হতবাক করে দেয় বিশেষ করে যখন সেই লেখাগুলি আসে অন্য সংস্কৃতি বা ভাষা থেকে। ভারতীয় কবিতার এই কন্ঠস্বরগুলি শুনতে পাওয়া আমাদের কাছে নতুন আবিষ্কারের মতোই। আশ্চর্য এক কবি বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতা পড়ার সৌভাগ্য হল আমাদের বন্ধু মৈনাকের অনুবাদে।
তাঁর কবিতা রহস্যময়তা আর অপার বিস্ময়ের জগৎ, অনিন্দ্যসুন্দর সুররেয়াল আমেজে ভরপুর, গগনচারী উড়ান যা আমাদের টেনে নিয়ে যায় মহাশূন্যের মতোই নির্মম গভীরতায়, অন্য বাস্তবতার কাছে। আধ্যাত্মিক নিষ্কর্ষতার অনুসন্ধানপর্বে কবি সংলাপে মেতে থাকেন, পাঠক এখানেই এসে আরো গভীরে আটকা পড়ে যায় কবির সাথে। সংলাপে ভেসে ওঠে জীবন এবং মৃত্যুর রাস্তা পারাপার নিয়ে কবির শাশ্বত জিজ্ঞাস্য, তাঁর কবিকন্ঠ উন্মুক্ত করে দেয়
তাঁর নির্যাতিত স্বপ্ন নিয়ে পৃথিবীর মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা, শান্তির সন্ধানের পথে অন্ধকার অশুভ ইঙ্গিত এবং কবিতাগুলি তাঁর অস্তিত্বের গভীর থেকে উৎসারিত,সঙ্গীতময়, চিত্রকল্পময়, সংজ্ঞাবহ এবং উজ্জ্বল। তাঁর প্রতিটি কবিতাই আমাদের ঠেলে দেয় বিশুদ্ধ কবিতার শিকড়ের পুনর্জন্মের পাড়ে, যেখানে সম্পূর্ণ নতুন ও নিভৃতচারী কবিতার আঙ্গিকে ঐন্দ্রজালিক ভৌগলিক চিত্র প্রতিভাত হয় এমনভাবে যেন আমাদের চোখের সামনে দিয়ে এক অদৃশ্য গাড়ি ফিরে আসে। কবি আমাদের আত্মানুসন্ধান করেন এবং তাঁর কবিতাগুলি যেন শিরার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা রক্ত বা সমুদ্রগামী জলস্রোত।
বুয়েনোস আইরেস, আর্হেন্তিনা
শুধু মৃতদের গল্প কত আর কাঁধে ঝুলে যাবে-তাঁর কবিতার আড়াল থেকে বিষ্ণু বিশ্বাস এই প্রশ্নটা আমাদের দিকে ছুঁড়ে দেন। তাঁর কবিতার হাত ধরে আমরা পৌঁছে যাই পথ থেকে অন্য পথে, দেখা হয় সৃষ্ট উজ্জ্বল সব মানুষের সাথে, মহাবিশ্বের বাস্তবতার বিভিন্ন স্তর। কবি আঁকেন আলোকময় পথ, অন্ধকারে বহমান সঙ্গীত, কদম, কল্পতরু আর নিমগাছের চিত্রকল্প,
যেখানে সাগরের দর্পণে আমরা দেখি অতীতচারিতা, রহস্যময়তা, মৃত্যু নিয়ে প্রতর্ক, শান্তির সন্ধানের পথে বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতার গল্পের কুমারের আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে তার এগিয়ে চলা।
.jpg)
লিলিয়ানা ভারেলা, কবি
বুয়েনোস আইরেস, আর্হেন্তিনা
অন্য দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির কবিদের গ্রন্থপাঠ আমাদের সমৃদ্ধ করে। বিদেশী পাঠকের কাছে খুলে যায় অন্য ভাষার সংস্কৃতি ও সমাজের জানালা। এক্ষেত্রে অনুবাদকের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি, তিনি কবির কথামালাকে পৌঁছে অন্য এক পৃথিবীর কাছে।
ভারতীয় কবি বিষ্ণু বিশ্বাসের অনূদিত কবিতাগুলি খুব মনোযোগ সহকারে পড়লাম এবং জীবনচরিতেই তাঁকে পেলাম।
বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতাগুলি সংজ্ঞাবহ ছবির এক সিরিজ: রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধে নিমজ্জিত তাঁর কবিতা। তাঁর শব্দচয়ন সাঙ্গীতিক এবং একই সাথে জীবনের গভীর প্রতিফলন। মনোজগৎ ও বস্তুজগতের বিস্তারিত বিবরণে ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হই। তাঁর কবিতার ভাষা নিরলঙ্কার এবং উজ্জ্বল, আবার লালিত্যময় ও মনোহর। তাঁর কবিতায় তিনি বলেন:
"গভীর সমুদ্রের নোনা হাড় নোনা দাঁতে তৃষ্ণা আমার
জল দেবে একটু আমাকে শীতল জলের প্রাণ?"
এই অমোঘ লাইনটি পড়ার পর পাঠকও এক অন্তহীন তৃষ্ণায় ডুবে যায়, যে তৃষ্ণায় পাঠক এই আশ্চর্য কবির আরো কবিতা পাঠে নিমজ্জিত হতে চায়।
.jpg)
লুইস রাউল কালভো, গীতিকার ও কবি
বুয়েনোস আইরেস, আর্হেন্তিনা
বিষ্ণু বিশ্বাসের কবিতা একটি নথিবদ্ধ নান্দনিক আলাপ, গভীর শিকড় এবং একটি নির্দিষ্ট অস্তিত্ববাদের ধার্মিকতায় উজ্জ্বল। প্রতিকূল এই জগতে অভিজ্ঞতাঋদ্ধ হওয়ার জন্য কবির আত্মানুসন্ধানের মধ্যে যেন আমার নিজেরই আত্মানুসন্ধান অনুভূত হয়:
"একটু আনন্দ কথা, গোলাপি স্তম্ভে স্থির রয়েছে
অন্ধ থেকে চোখে জেগে সমুদ্র দেখি বালির স্তূপে ।"
তাঁর কবিতার গভীর সৌন্দর্য রসাস্বাদনের সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।
কবিতা রিভিউগুলি স্প্যানিশ ভাষা থেকে অনূদিত।
অনুবাদ: মৈনাক আদক
মন্তব্যসমূহ
Gracias
Felicitaciones para los escritores que han sido publicados aquí, en este blog.
Saludos.
Ana Lucía
.