বিশ্বজিৎ কর্মকার
আলো
হঠাৎ আলো নিভে গেল। বাড়িতে আমি একা। বিদ্যুতের অল্প আলোতে মাঝে মাঝে গাছেদের মাতামাতি টের পাচ্ছিলাম। এরকম পরিবেশে এখন আর ভয় করে না।
এক সময় শিউরে উঠতাম। যখন হারিকেনের অল্প আলোতে বেশি দূরে দেখা যেত না।
এখন ঘরে অনেক আলো। তবে চোখের আলো কমে আসছে দিনে দিনে। এখন আলো মাখতে পারি না আর, আলোতে স্নান করতে পারি না।
সমস্যায় পড়ে গেছি। আলো প্রত্যেকটি রঙকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়। আমার এখন আর রঙ ভালো লাগে না। আমি অন্ধকারে থাকতে চাই।
অন্ধকারের মধ্যেও তো সব কিছু দেখতে পাচ্ছি। স্পষ্ট শুনেছি, অন্ধকারে সৃষ্টি হয় অনবরত।
মন্তব্যসমূহ