পিন্টু রহমান



পিন্টু রহমান

নোনাজল

জল।
নোনাজল।
বন্যার তোড়ের মতো ঐ জলের গতিবেগ ক্রমেই উর্দ্ধমুখী। সহনীয় মাত্রার সীমারেখা প্রায় ছুঁইছুঁই। ইতিমধ্যে গা-হাত-পা ঘামতে শুরু করেছে। বুকের মধ্যে চিনচিনে ব্যথা। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ক্যাম্পাসময় প্রদক্ষিণ করলাম। নাহ, কাজ হল না-  শালা কপাল মন্দ! সম্ভাব্য স্থানগুলোতে লাইলি-মজনুর উত্তরসূরীদের  দৌরাত্ব ! নিরাপদ স্থানের খোঁজে আমি অস্থির।  হাঁটতে-হাঁটতে ক্যাফেটোরিয়ার সামনে পর্যন্ত এলাম। এদিকটাতেও ভিড়। ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে কেউ কেউ চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। অনেক পথ ঘুরে ঘুরে অবশেষে বিজ্ঞানাগারের সামনে এসে হাজির। সেখানেও বিপদ। স্যাররা আঁড়চোখে তাকিয়ে আছেন । এদিকে যন্ত্রনায় আমি কাতর। সময়ের হেরফের হলে কাপড় নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। বাধ্য হয়ে কড়ই গাছের ফাঁকে নিজেকে আড়াল করে হিঁসু শুরু করলাম।

আহ, নিমেষেই প্রশান্তি! মেজাজটাও ফুরফুরে। কিন্তু একটু পরেই বুঝতে পারলাম, এতক্ষণ যা হয়েছে তার সবটাই স্বপ্ন। তবে জলের অস্তিত্ব অলীক নয়। এবং কড়ই গাছের আড়ালেও নয়। হিঁসু করেছি নিজেরই বিছানায়।  চারপাশে নোনাজলের গড়াগড়ি । পরম তৃপ্তির মাঝেও অপার কৌতুহল। ঘোরলাগা চোখে বিছানার দিকে কেবল তাকিয়ে রইলাম...

মন্তব্যসমূহ