শঙ্কর দেবনাথ
মা মরে না
ধড়া বেঁধে বাড়ি ফিরি। দেখি মা বারান্দায় বসে। অপেক্ষায়।
--মা!
অবাক হই। ডাকি।
মা হাসেন। বুকের মধ্যে। বলেন, চোখ ঝাপসা কেন পাগল? মা মরে না। চিতার কাঠ বৃথাই পড়ে।
ছেলেটা এবং মেয়েটা
মেয়েটা আগুন। জ্বলে । জ্বালায়। ছেলেটা পতঙ্গ। ওড়ে। পোড়ে। ছেলেটা আদিম। হাত বাড়ায়। মেয়েটা রমণী। হাত ধরে।
বৃষ্টি ঝরে।
পৃথিবী পল্লবিত হয়।
বিষ ও ফুল
গল্পের ভেতরে সাপ শুয়ে থাকে। সংগোপনে । রাত বাড়ে। গল্প ঘুমোয়। কবিতা জাগে। সাপ ফণা তোলে। বিষ ঢালে।
ডালে ফুটফুটে ফুল হাসে।
আগ্রাসি
চাঁদ। স্নিগ্ধ প্রেমিক। ## রাত্রি। তৃষ্ণাতুরা। প্রণয়িনী। দুজন মুখোমুখি। মাখামাখি।
চাঁদ হাসে। রাত্রি ভাসে। ডোবে। মুগ্ধতায়। আর আশরীর অশরীরী হতে থাকে। ক্রমশ।
চাঁদ রাত্রিকে খোঁজে।--তোমাকে দেখতে পাচ্ছিনে কেন, রাত্রি?
--আমি হারিয়ে গেছি।
-- কোথায়?
--তোমার আগ্রাসি আলোয়।
কষ্টরতি
ফুল। মুখে হাসি। বুকে মধু। মধুকর। মুখে বিষ। বুকে খিদে। ফুল ডাকে। রঙিন ইশারায়। মধুকর দিশাপায়। খুন শোনায়। গুনগুন।
হুলের প্রেমে ফুলের হাসি ঝরে।
পাপড়ি বাঁশি হয়।
ফুল মরে। কষ্ট রাতির পরিনতীতে।
গাছ ফলবতী হয়।
এভাবেই
মুখ ঘামে। # কথারা থামে। # রাত্রি নামে। # যাত্রিহীন।
চোখ শুধু চেয়ে থাকে। # শব্দরা প্রেম মাখে। নিঃশব্দে। মনে। কোণে। কবিতা ডাকে- এসো। কবি বলে -- এভাবেই ...ভালবেসো!
রাত ও লোকটা
লোকটা জেগে আছে। একা । চারদিক অন্ধকার। ছন্দহীন। পাশে বউ ঘুমোচ্ছে। নিশ্চিন্তে। তার স্বামী আছে। ছেলেমেয়ে ঘুমোচ্ছে। তাদের বাবা আছে। লোকটা ঘুমোয় না। জেগে থাকাই পথ।
হঠাৎ বউটা জাগে।--ঘুমোবে না?
-না।
বউটা চুপ। আবার ভ্যাবসা। ছেলেটা কেঁদে ওঠে। ভয়ের স্বপ্ন দেখে। হয়তো।
-- মা ! মা!
লোকটা মাথায় হাত বুলায়। ছেলেটা ঘুমিয়ে যায়।
রাত নিশাচরী দাঁত বের করে। ভ্যাম্পায়ারের মতো। বিশ্রী হাসতে থাকে। মেয়েটা আড়মোড়া খায়। -- বাবা!
--বল।
-- রাত পোহানোর আর কত দেরি, বাবা?
লোকটা উত্তর দিতে পারে না।
অভিনেতা
--কী চাই?
-- ভোট।
--হবে না।
--কেন?
--নেতারা নষ্ট।
--আমি নেতা নই।
--তবে?
--অভিনেতা।

মন্তব্যসমূহ