অ্যাম্বুলেন্স
প্রেমে পড়ার পর
মেয়েটি--- “আমার একটা গল্প আছে, তোমাকে বলতে চাই।”
“কী গল্প?”
“বৃষ্টির... একটি বৃষ্টির গল্প...”
“আজ নয়... অন্য কোনও দিন...”
“আজ নয় কেন?”
“আজ তোমাকে অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে যে।”
মধুচন্দ্রিমা
নববধু--- “সেই গল্পটা মনে আছে কি?”
“কোনটা বলো তো?”
“যে গল্পটা তোমাকে বলিনি সেদিন।”
“ও... বৃষ্টির, না? তুমি একটু পাগলী আছো। এসো...”
সন্তান
মা--- “খুব ক্লান্ত লাগছে, জানো?”
“ঠিক হয়ে যাবে। তোমার ফুটফুটে ছেলের মুখ দ্যাখো!
একদম আমার মতো!”
“শোনো...”
“কী?”
“আমার একটা বৃষ্টি ছিল...”
“আরে ধুৎ! মেয়ে হলে না হয় বৃষ্টি নাম রাখা যেত।
ঘুমোও একটু!”
বার্ধক্য
বৃদ্ধ-- “কথা বলো।”
বৃদ্ধা-- “কী বলব? সব কথা ফুরিয়ে গেছে।”
“আমার সঙ্গে কোনও কথাই তো বললে না!”
“বলতে চেয়েছি। শোনোনি।”
“ওই সেই বৃষ্টির কথা? ওর কোনও মানে হয়?
খেটে খেতে হয়েছে সারাজীবন। বৃষ্টি তো তোমার মতো
আদুরে মেয়েদের ব্যাপার।”
“বৃষ্টির মধ্যে এক ধরনের কান্না আছে, যে কান্না
কাঁদতে ভালো লাগে।”
“আমি জানি বৃষ্টি মানেই ছাতা বের করো। ছাতা
হারাও। যত্তসব!... চা বানাও দিকি!”
অবশেষে
চা বানানোর আগেই অ্যাম্বুলেন্স এল। বৃদ্ধা আকাশে তাকায়। একা।
( পুনর্মুদ্রণ/ দ্বৈপায়ন/ সম্পাদকঃঅমিতকুমার বিশ্বাস)

মন্তব্যসমূহ