দেবাশিস বিশ্বাস /অচেনা যাত্রী-১১/ পাতা-


দেবাশিস বিশ্বাস 

অথচ সাহস ছিল পাড়াগাঁ'র টমেটম ভোর 

কাস্তে বগলে তুলে সরিষার বাগানে এল ধূপ
ধূপের গন্ধে মরা কলসি ও ব্যবহার কম হয় ভেবে
রগড় দেখতে আসো বেদনার পৃথিবীতে তুমি
জটিল বৃক্ষতলায় অথবা কোনো এক স্বর্গের মোড়ে
মরা শিশুটির খুলি নিয়ে নাচেন ঈশ্বরী
অথবা, ট্রাফিক নেই, নতুন পীচের রোডে
মহুয়া পাগল জ্যোৎস্না ফিনকি দিয়ে ঝরে।

একদিন এইসব নরম মণির স্বাদ পেতে গিয়ে,
আমিও পৈতে পরি...নাড়াচাড়া করি।


বিক্রেতা 

মহানিতম্বের ধারে বসে আছে পৃথিবী
দু'চারটে পাখির ভুল করে ওড়া
এই মতো ভাঙা রোদ এসে
ছেলেটির ট্যুরিস্ট-ব্যাগে ঝুঁকে পড়ে,
তারপর কোনো এক অগভীর খাদে--
দিন ও রাত
এই পৃথিবীর
সন্ধের দিকে ভালো আপেল বিক্রি করে...




































যেসব কবিতা বোঝা যায় না-১
টো টো দুপুরে একটি ষাঁড় ঘুরে বেড়াচ্ছে
অন্তত এমন দৃশ্যটাই দেখছি আমি
তার  চারটে চিরুনি-পা, তার দু'টো শিং যেন ফুঃ
যেন খুলি এই গ্লুকোজ শুকোনো রাস্তায় কাকতাড়ুয়া!
এরই মাঝে একটি কাক উড়ে আসে
কানের ভিতরে ঠোঁট নিয়ে বলে, শিকারি বন্দুক দেখালে জেব্রা শুয়ে পড়ে রাস্তায়...

সে শুধু চেয়ে থাকে অপলক
যেন ঝিম মারা মহাদেব!


 ছবিঃ সৌরদীপ্ত চৌধুরী

যেসব কবিতা বোঝা যায় না-২

মুখ পুড়ে যায় পথ ঘাটের বিকেল দুপুর হয়ে রয় তার বুকের কার্নিশে মায়ের দ্বিতীয় বিবাহ বিবাহ দেখতে ভিড় করে সবাই কিন্তু কেউ কেউ বিয়ে না দেখেই চলে যায় পাখির প্রসঙ্গে তুমি যে মুহুর্তে খ্যাপা–ঠাকুর হতে চেয়েছ দেবতা দেবতা ভাব এলো চৈতন্যদেবের

এই যে ওলটপালট লিখলাম উপরে তারও তো মতামত থাকতে পারে মতামত সেই মুহূর্ত যখন প্রেমিকার মুড-গম্ভীর মাই ছলাত করে উঠেছিল হাতে

যৌনতার মুহূর্তে মাকে মনে পরে না কারোর...

মন্তব্যসমূহ

নামহীন বলেছেন…
tor lekhar dike takiye roilam... anek suvechcha, bhai... well done...-tanmoy da