অব্যয় অনিন্দ্য/অচেনা যাত্রী-১১/ পাতা-


অব্যয় অনিন্দ্য
বনমালী 

‘রাই জাগো, রাই জাগো’ গাইতে গাইতে যে বোষ্টমী সকালবেলা রাইকে না পেয়ে আমাকে জাগাত, তাঁর চোখেই প্রথম রাধাকে দেখেছিলাম - কলির বাল্যবিধবা রাধা – যে কিনা কাক-ডাকা প্রভাতকে নিজের চিরঅধরা অভিসারের নিমন্ত্রণ কোকিলস্বরে দিয়ে যেত।

আমি এখন সারা দিন রাইকে জাগানোর ছুঁতা খুঁজি; নিবুও ব্যাপারটা বোঝে তাই জেগে জেগে ঘুমানোটা অভ্যেস করে নিয়েছে। ‘কিশোর প্রেমের সাথে মার্কসবাদ ভালো যায়’ - কথাটাকে মিথ্যে প্রমাণ করে নিবু হয়েছে অপারেটিং সিস্টেম আমি করণ কারক বিনোদন প্রোগাম - ফলাফলঃ শ্রেণিযুক্ত ভালোবাসা।

রাধা বুঝি বনমালীর ঝাল এ জন্মে আমার উপর ঝারছে – না হলে বাঁশিটা নিবুর হাতে কেন?



মাকড়শা

আমার মৎস্যোপজীবী বাবা মাছ ধরাটা শিখাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল; কিন্তু বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় হতে গিয়ে আমি মাছ না ধরে জাল বানানো শিখেছি।

কিমাশ্চর্য জাল-অর্থ, প্রতিপত্তি, যশ সবই ধরে ফেলল; শুধু সুখ উড়ে গেছে – কারণ সুখ নাকি প্রাগৈতিহাসিককাল থেকেই একটা পাখি; পাখিটা জাতিস্মর - ডিএনএতে জাল হ্যাকিং-এর সূত্র খোদাই করা।

পাখিটার ফেরার শর্ত পূরণে এখন জালটা ছিঁড়তে প্রাণপণ চেষ্টা করছি; অভিজ্ঞ সনাতন তেলাপোকাটার গুচ্ছ চোখ বলছে - মানুষের মাকড়শা গুণ নেই, মাকড়শা নিজের জালে ধরা পড়ে না।

মন্তব্যসমূহ